চলতি মাসের শুরু থেকেই দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে ডায়রিয়ার রোগীর সংখ্যা। এরই মধ্যে ডায়রিয়ার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশু, বৃদ্ধসহ নানা বয়সের মানুষ। হাসপাতালে ভর্তি ছাড়াও প্রতিদিন গড়ে ১৪-১৫ জন ডায়রিয়া রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে।
ঋতু পরিবর্তন ও অতিরিক্ত গরমে এমনটা হচ্ছে। তবে অতিরিক্ত গরমে বাইরের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা এবং নিরাপদ পানি ও রসালো ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার দাস।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির দেওয়া তথ্যমতে, গত মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগী। ৪ এপ্রিল থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ১৮জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। প্রতিদিন ভর্তিও হচ্ছে আবার অনেকে পর্যায়ক্রমে শুস্থ হয়ে বাড়ি যাচ্ছে। এছাড়াও বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ১৪ থেকে ১৫ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা বলেন, গত কয়েক দিনে পাতলা পায়খানা হচ্ছে। স্যালাইন খেয়ে কমছে না। বাধ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছি। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। তারা জানায়, দিনের বেলায় অনেক গরম আর রাতের শেষ ভাগে ঠান্ডা লাগে। ঠান্ডা আর গরমের কারণে এমনটা হচ্ছে মনে হয়।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার দাস জানান, ঋতু পরিবর্তন ও অতিরিক্ত গরমের কারণে কয়েকদিন ধরে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলত এই গরমে বাহিরের খাবার ও বাঁশি খাবার কিংবা বেশি ভাজা-পড়া খাওয়ার কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। আর আক্রান্ত হয়ে বেশির ভাগ শিশু ও বৃদ্ধরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। আমরা তাদেরকে চিকিৎসা দেয়ার বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছি। তবে অতিরিক্ত গরমে বাইরের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা এবং নিরাপদ পানি ও রসালো ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি আরও জানান, অন্যান্য রোগী ছাড়াও ৪ এপ্রিল থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ১৮ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি থাকলেও বৃহস্পতিবার ১১ জন রোগী সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম