শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ০৩ এপ্রিল, ২০২৪ আপডেট:

বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ : বিদেশিদের বিড়ম্বনা

মেজর (অব.) আখতার
প্রিন্ট ভার্সন
বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ : বিদেশিদের বিড়ম্বনা

বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের মান্যবর রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ‘এক দিন এক দিন করে’ বাংলাদেশে দুই বছর পার করে তিন বছর পুরো করতে চলেছেন। আশা করি ‘এক দিন এক দিন করে’ উনার তিন বছরও পুরা হয়ে যাবে। ‘প্রতিদিন এ দেশের সম্ভাবনা, জনগণের শক্তি ও সহনশীলতা’ যে উনাকে মুগ্ধ করেছে তার জন্য অবশ্যই আমরা উনাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে পারি। তবে হয়তো দুঃখের সঙ্গে উনাকে জানাতে হচ্ছে তিনি যে ‘প্রাণবন্ত নাগরিক’ সমাজ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন তারা কিন্তু এদেশের আপামর জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না এবং তাদের বেশির ভাগ উনাদের দেশেরই নাগরিক। তবে সুখের বিষয় হলো উনারা মানে ‘প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজের’ প্রায় সবাই পিটার হাস সাহেবদের দেশের স্বার্থ ও প্রতিনিধিত্ব করে।

মান্যবর রাষ্ট্রদূত গত ১৫ মার্চ ২০২৪ তারিখে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রাণবন্ত, অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও আমাদের জাতির জন্য দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য লিখেছেন। লেখাটি পড়ে আমি খুব আপ্লুত ও আনন্দিত হয়েছি। লেখাটির জন্য মান্যবর রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আমি লেখাটিকে ২৩ ভাগে ভাগ করে কয়েকটি বক্তব্যকে নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে দেখতে চাই ‘বাংলাদেশের সামনে যে সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ তিনি দেখানোর চেষ্টা করেছেন, বাংলাদেশের দৃষ্টিতে তা কতটুকু অর্থ বহন করে। উনার বক্তব্যকে ক্রমান্বয়ে ১ থেকে ২৩ পর্যন্ত সাজিয়েছি যার থেকে ক্রম নং উল্লেখসহ আলোচনা করার চেষ্টা করছি।

(১) ‘প্রতিদিন এ দেশের সম্ভাবনা, জনগণের শক্তি ও সহনশীলতা এবং এর প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজ আমাকে মুগ্ধ করে। যেমনটা আমি গত বছর বলেছিলাম, বাংলাদেশ তার জন্মলগ্ন থেকে অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে। ভবিষ্যতের দিকে তাকালে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এক দিন এক দিন করে এগিয়ে আসে এমন এক ভবিষ্যৎ আমি দেখতে পাই, আমি এ দেশের সামনে সম্ভাবনা দেখতে পাই। তবে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জও চোখে পড়ে।’ ভাবতে আমার খুব ভালো লাগছে জেনে যে এ দেশের সম্ভাবনা মান্যবর রাষ্ট্রদূতকে প্রতিদিন মুগ্ধ করে। কী সম্ভাবনা প্রতিদিন উনাকে মুগ্ধ করে তার কোনো বর্ণনা অবশ্য আমরা উনার লেখায় পাইনি, হয়তো আমাদের তেমন অন্তর্দৃষ্টি না থাকার কারণে। তবে তিনি যদি একটু খোলাসা করে এ অজ্ঞ বধির জাতির সামনে আমাদের সম্ভাবনাগুলো বলে দিতেন তাহলে সম্ভাবনাগুলো অর্জন করতে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়তে পারতাম। তারপরে তিনি বলেছেন, ‘জনগণের শক্তি’ প্রতিদিন উনাকে মুগ্ধ করে। খুবই উৎসাহব্যঞ্জক এবং উদ্দীপক কিন্তু ‘জনগণের শক্তি’ বলতে উনি কী বুঝাতে চেয়েছেন বা কাদের বুঝাতে চেয়েছেন তা আমাদের কারও কাছেই মনে হয় পরিষ্কার নয়। কারণ আমাদের জনগণ এখন দুটি ভাগে সুস্পষ্টভাবে বিভক্ত। যদিও আমাদের জনগণের সহনশীলতাও মান্যবর রাষ্ট্রদূতকে মুগ্ধ করে। মুগ্ধ করতেই পারে কারণ সহনশীলতা ছাড়া আমাদের আর আছেইবা কী!

(২) ‘২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির সংসদীয় নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে কথা বলেছিল, যা বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষাকে প্রতিফলিত করবে। কিন্তু তা ঘটেনি।’ একটি অতীব চমৎকার বক্তব্য, যার মাধ্যমে পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছে বিগত নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের চানক্যময় একটি অবস্থান। তবে তাদের কাক্সিক্ষত প্রত্যাশা পূরণের ব্যর্থতার পুরো দায়দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হলো এদেশের শক্তিশালী ও সহনশীল জাতির কাঁধে। পিটার হাস সাহেবের বক্তব্যে নতুন একটি ধোঁয়া উঠল যে, জনগণের গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষা প্রতিফলিত হতে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি। বক্তব্যটির সঙ্গে জনগণ একমত, কিন্তু সরকার তা স্বীকার করে না। অথচ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার প্রকাশ্যে সরকারের অবস্থান স্বীকার করে নিয়ে এখন রাষ্ট্রদূতের এহেন বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অবস্থানের বিপরীত হয়ে গেল না! অবশ্য এ ধরনের কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হলে রাষ্ট্রদূত বলতেই পারেন যে এটি উনার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত! তবে এটি স্পষ্ট যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা রাষ্ট্রদূত কেউ-ই সম্ভবত বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে নয়- উনারা মূলত উনাদের স্বার্থের পক্ষে!

(৩) ‘যুক্তরাষ্ট্র এখনো বাংলাদেশ ও বিশ্বের সর্বত্র গণতন্ত্রের বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তা করে। সহজ করে বলতে গেলে, আমরা বিশ্বাস করি, দেশের মানুষের কল্যাণে গণতন্ত্র হলো স্থায়ী অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের সর্বোত্তম উপায়।’ রাষ্ট্রদূত মহোদয়ের এ বক্তব্যটি খুবই চানক্যময়। একদিক দিয়ে বলছেন, দেশের মানুষের কল্যাণে গণতন্ত্র হলো স্থায়ী অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের সর্বোত্তম উপায়, আবার বলছেন গত নির্বাচনে বাংলাদেশে জনগণের গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি, তাহলে এখন আমরা কোনটাকে সত্য বলে মেনে নেব?

(৪) ‘আমরা সাহসী নাগরিক সমাজ এবং মানবাধিকার কর্মীদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখব।’ এখানে তিনি তার বক্তব্যের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অত্যন্ত পরিষ্কার করে দিয়েছেন। তিনি জনগণের প্রতি তার কোনো সমর্থন বা দায়বদ্ধতা প্রকাশ না করে অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাষায় সাহসী নাগরিক সমাজ এবং মানবাধিকার কর্মীদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। বক্তব্যটি অতীব পরিষ্কার, এতে কারও কোনো সন্দেহ আছে বলে মনে হয় না। তিনি স্পষ্ট ভাষায় এবং আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ‘সমর্থন অব্যাহত রাখব’ বলে যে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তাতে জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণ চায় কি না সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। মনে হতে পারে এদেশের জনগণের স্বার্থের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। (৭) ‘আমরা আরও উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক সমাজের পথকে সুগম করতে অর্থপূর্ণ রাজনৈতিক সংলাপের আহ্বান জানানো অব্যাহত রাখব।’ এখানে মোটা দাগে যা বলেছেন তা গৎবাঁধা বুলি যার কোনো সুস্পষ্ট অর্থ নেই এবং কোনো পক্ষপাতিত্বেরও সুযোগ নেই। একদম কূটনৈতিক ভাষায় মূল সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে সরকার ও বিরোধী দল উভয় পক্ষের কাছে সমার্থক বাক্য, যা যে যার মতো বুঝে নিতে পারে এমনভাবে বলে দিয়েছেন। তবে সরকারের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন থাকবে তা প্রকারান্তরে বুঝাতে কোনো ত্রুটি রাখেননি। পিটার হাস রাজনীতিতে আন্দোলন সংগ্রামের পথ পরিহার করে আরও উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক সমাজের পথকে সুগম করতে অর্থপূর্ণ রাজনৈতিক সংলাপের আহ্বান জানিয়ে উনার বা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। উনার এহেন বক্তব্যের পরে রাজপথে কোনো আন্দোলন সংগ্রামের পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেল। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি হলো শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমেই উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক সমাজের পথকে সুগম করতে হবে।

(১১) ‘আমাদের দুই দেশ এবং এ অঞ্চলের মধ্যে নিরাপত্তার সম্পর্কও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’ (১২) ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ধ্বংসাত্মক প্রভাব কমাতে একসঙ্গে কাজ করার সক্ষমতা বাড়ানোর আরও উপায় খুঁজে বের করছেন।’ উল্লিখিত বক্তব্যটি খুবই রহস্যময় ও অর্থবহ, যেখানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও তাদের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখা হয়েছে এবং বিরোধী দলগুলোর আস্থা অর্জন করার জন্য নিষেধাজ্ঞার লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে সেখানে এ বক্তব্যের মোজেজা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের বোঝার ক্ষমতার বাইরে। আমাদের দুই দেশের নিরাপত্তার সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাতে কারও বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। আমাদের ক্ষুদ্র দেশ হলেও জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের অনেক দেশ থেকে বড়। তাই আমরা অবশ্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়লে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি। একইভাবে আমাদের নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়লে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের পাশে দাঁড়ালে আমরা অবশ্যই অনেক বেশি নিরাপদ বোধ করতে পারি। কিন্তু এ অঞ্চলের নিরাপত্তা হুমকিতে পড়লে কীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ তা আমাদের অনেকের কাছে বোধগম্য নয় বলেই অনেকে মনে করেন। তাই পিটার হাস সাহেবের বক্তব্যটির উদ্দেশ্য অনেকের মনে অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ রয়েছে। (১৩) ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রেও আমরা ভূমিকা রাখতে পারব বলে আশা করছি।’ বক্তব্যটি ভীষণ স্পর্শকাতর। কারণ শুধু সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণের বিষয়টি ভবিষ্যতে অনেক ভুল  বোঝাবুঝি সৃষ্টি করতে পারে। সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণ কোনো অবস্থাতেই দেশের বাইরে থেকে কোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলা করার সামর্থ্য বৃদ্ধি বুঝায় না। আন্তসীমানা নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলা করতে হলে গোটা সশস্ত্র বাহিনীসহ সব নিরাপত্তা বাহিনীর আধুনিকীকরণ ও নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলা করার সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। তবে এরকম উচ্চাভিলাসী প্রতিরক্ষা কার্যক্রম কোনো অবস্থাতেই নিকট প্রতিবেশীরা ভালো চোখে দেখবে না। যার ফলে ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ সৃষ্টি হবে এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়াতে সরাসরি সহায়তা করবে। তা ছাড়া শুধু সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণ ভবিষ্যতে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে এবং সরকারের স্থিতিশীলতা বা নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়তে পারে। (১৬) ‘সুনির্দিষ্ট উন্নয়ন সহায়তা প্রদানসহ শ্রম অধিকারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে সমর্থন দিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ শ্রম অধিকারের পূর্ব শর্তই হলো ন্যায্য পারিশ্রমিক, স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ, চাকরির নিরাপত্তা, চাকরি থেকে অবসর-উত্তর মানসম্পন্ন জীবনের নিশ্চয়তা। কিন্তু আমাদের আর্থসামাজিক অবস্থা ও ক্রয়ক্ষমতায় শিল্প উন্নয়নের তেমন বড় সুযোগ নেই। আমাদের পার্শ্ববর্তী অনেক দেশ অনেক কম মূল্যে ভোক্তাপণ্য উৎপাদন করতে পারে। যার ফলে মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে আমাদের টিকে থাকা কঠিন। ভোক্তাপণ্য হিসেবে আমাদের বিশাল পোশাক শিল্প রয়েছে কিন্তু মনোপলি চাহিদা রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। তারা যদি আমাদের পোশাক আমদানি না করে তাহলে একদিনেই পোশাক শিল্প বসে যাবে। তখন পোশাক শিল্পে নিয়োজিত সব শ্রমিক শুধু কর্মহীনই হবে না তারা চরম বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়ে যাবে। পোশাক শিল্পের অস্তিত্ব শতভাগ নির্ভরশীল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের মন-মর্জির ওপর। এখন যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন সাহেবের নির্দেশ মোতাবেক আমরা বৈশ্বিক শ্রমকৌশল নির্ধারণ করে শ্রম অধিকারকে অগ্রাধিকার দেই তাহলে বাংলাদেশ থেকে একটি মার্কিন কোম্পানিও কোনো পোশাক আমদানি করবে না। কারণ হলো বৈশ্বিক শ্রমকৌশল মেনে এবং শ্রম অধিকারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হলে শ্রমিকদের বেতন ও ভাতা বাড়াতে হবে এবং শ্রমিকদের উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে হবে, যার ফলে পোশাকের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। বাড়তি উৎপাদন খরচ দিতে যদি মার্কিন কোম্পানিগুলোকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন সাহেব রাজি করাতে পারেন তাহলে পিটার হাস সাহেবের কথামতো বাংলাদেশের আইন, নীতি ও অনুশীলনকে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে এক মাসও সময় লাগবে না। কিন্তু মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন হলো ন্যায়সংগত শ্রমমূল্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা আমাদের কাছ থেকে পোশাক আমদানি করতে রাজি হবেন কি না? যদি রাজি থাকেন তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা লাগবে না, বাংলাদেশের মাটিতে উন্নত ও বিশ্বমানের শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠা জনগণই করে ফেলবে।

(১৮) ‘পারস্পরিক সুবিধার জন্য আমরা আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে কার্যকর করতে পারি এবং তা করা উচিত।’ এ বক্তব্যটি খুবই সাদামাটা কিন্তু বাক্যটির শেষে ‘উচিত’ শব্দটি ব্যবহার করে বাংলাদেশের ওপর সরাসরি চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে যা জনগণ মেনে নিতে পারছে না। তবে যদি পিটার হাস মহোদয় ‘উচিত’ বলতে তাদের উচিত বলে মনে করে থাকেন তাহলে জনগণ অবশ্যই সাধুবাদ জানাবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি বাংলাদেশ থেকে ন্যায্যমূল্যে পোশাক আমদানি আরও বৃদ্ধি করে, পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তির শিল্প কারখানায় বিনিয়োগ বাড়ায়, ডিসকাউন্টেড বা তাদের উৎপাদন মূল্যে তেল, চিনি, ভুট্টা, গম, তেলবীজ ও শিল্পের বিভিন্ন কাঁচামাল, তুলা, খনিজ ও রাসায়নিক দ্রব্য, লোহা, ইস্পাত, সার ও উচ্চ প্রযুক্তি বিশেষ সুবিধায় বাংলাদেশে রপ্তানি করে তাহলে বাংলাদেশের জনগণ তার জনবল দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশে সবসময় থাকবে। প্রয়োজনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকিতে বা অন্য যে কোনো নিরাপত্তা সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশ তাদের পাশে জনবল নিয়ে থাকবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্বশস্ত্র বাহিনীসহ তাদের মিল-কারখানা, বড় বড় স্থাপনা, পৌর কর্মকান্ডে ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় সৈনিক, পুলিশ, শ্রমিক ও শ্রম ও পেশাজীবীর সর্বস্তরে ন্যায্য ও ডিসকাউন্টেড শ্রমমূল্যে ৫ থেকে ১০ বছরের ফ্রি ভিসায় জনগণ বাংলাদেশ থেকে সহায়তা করবে। এ ব্যাপারে ব্যক্তি পর্যায়ে আলোচনা করতে রাজি আছি।

(২০) ‘মিয়ানমারের নিরাপদ পরিস্থিতি সাপেক্ষে সবার নিরাপদ, স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাব।’ বক্তব্যটি খুব ধোঁয়াশাপূর্ণ। প্রথমত ‘টেকসই মানবিক সহায়তা প্রদান’ বলতে কোন সহায়তাকে বলা হয়েছে নির্দিষ্ট করা হয়নি। ‘টেকসই মানবিক’ শব্দগুচ্ছ খুবই উচ্চমাত্রার বিভ্রান্তিকর শব্দ। পৃথিবীতে কোনোকিছুই টেকসই নয়। সবকিছুরই একটি পরিসমাপ্তি বা রূপান্তর আছে। তেমনি পরিসমাপ্তি বা রূপান্তর আছে ‘মানবিক সহায়তার’। অনন্তকাল ‘মানবিক সহায়তা’ চলতে পারে না। কাজেই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় বাস্তবসম্মত নয়। বক্তব্যটির তাৎপর্যও ভয়াবহ। মিয়ানমার একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ। সে দেশের ‘নিরাপদ পরিস্থিতি’ দেখার দায়িত্ব কোনো অবস্থাতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা বাংলাদেশের ওপর বর্তায় না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের এহেন বক্তব্য উসকানিমূলক যার সঙ্গে কোনো অবস্থাতেই বাংলাদেশ একমত পোষণ করতে পারে না। রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র পথ মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার মাধম্যে চিরস্থায়ী ও টেকসই প্রত্যাবর্তন সম্ভব বলে বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বাস করে। পিটার সাহেব যেভাবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের পথ খুঁজছেন তাতে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশকে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হবে যা প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছেন।

(২২) ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণের পাশে রয়েছে এবং আপনারা সেই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণের পাশে রয়েছে তা অতীব সত্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি জনগণ অসীম কৃতজ্ঞ। তবে আমরা কোনো ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি বলে যে তিনি ইঙ্গিত করেছেন তা জনগণের কাজে বোধগম্য নয়। (২৩) ‘আপনাদের এ যাত্রায় আমরা সব সময় আপনাদের সমর্থন করব।’ কাজেই তিনি কোন যাত্রায় আমাদের নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তাও জনগণের কাছে স্পষ্ট নয়। তারপরেও জনগণের পক্ষ থেকে অজস্র সাধু ও ধন্যবাদ উনার সুচিন্তিত যা আমাদের হয়তোবা মঙ্গলজনক কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা বুঝতে পারছি না ওই সুলিখিত বক্তব্যের জন্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের পাশে আছে এ জন্য জনগণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও জনগণের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞ।

                লেখক : স্বতন্ত্র মনোভাবাপন্ন

এই বিভাগের আরও খবর
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
ভ্যাকসিন-সংকট
ভ্যাকসিন-সংকট
মহররম মাসের ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব
মহররম মাসের ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব
মননশীল চিন্তক আবুল ফজল
মননশীল চিন্তক আবুল ফজল
বনপথে ছোটা মায়াহরিণী
বনপথে ছোটা মায়াহরিণী
রাজনীতির কুহক : মূর্শেদী থেকে সাকিব আল হাসান
রাজনীতির কুহক : মূর্শেদী থেকে সাকিব আল হাসান
মহররম ও আশুরার তাৎপর্য-মর্যাদা
মহররম ও আশুরার তাৎপর্য-মর্যাদা
ভিসা জটিলতা
ভিসা জটিলতা
বাণিজ্যে অচলাবস্থা
বাণিজ্যে অচলাবস্থা
প্রাপ্তির খাতা শূন্য
প্রাপ্তির খাতা শূন্য
নৈতিকতার পতন : আদর্শবান তরুণ থেকে ঘুষখোর কর্মকর্তা
নৈতিকতার পতন : আদর্শবান তরুণ থেকে ঘুষখোর কর্মকর্তা
এক-এগারোর চেয়ে অনেক ভয়ংকর
এক-এগারোর চেয়ে অনেক ভয়ংকর
সর্বশেষ খবর
পানিতে গলে যাওয়া স্মার্ট মেমোরি চিপ বানালেন কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা
পানিতে গলে যাওয়া স্মার্ট মেমোরি চিপ বানালেন কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

‘নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে বিএনপির প্রার্থীকে নির্বাচিত করাতে হবে’
‘নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে বিএনপির প্রার্থীকে নির্বাচিত করাতে হবে’

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন
জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শারজায় প্রবাসী ফেনীবাসীদের মিলনমেলা
শারজায় প্রবাসী ফেনীবাসীদের মিলনমেলা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কপক্ষে ৮৫ জন নিহত
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কপক্ষে ৮৫ জন নিহত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জেলা প্রশাসক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন ‘নীলফামারী ক্যাপিটালস’
জেলা প্রশাসক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন ‘নীলফামারী ক্যাপিটালস’

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ
ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪ তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পিএসসি
৪৪ তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পিএসসি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০৩১ সালে চাঁদে আঘাত হানতে পারে বিরল গ্রহাণু
২০৩১ সালে চাঁদে আঘাত হানতে পারে বিরল গ্রহাণু

৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ছেলের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে প্রাণ গেল দম্পতির
ছেলের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে প্রাণ গেল দম্পতির

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লব কারাগারে
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লব কারাগারে

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের হামলায় ইরানে নিহত বেড়ে ৯৩৫
ইসরায়েলের হামলায় ইরানে নিহত বেড়ে ৯৩৫

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছেলের সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরা হলো না, ট্রেনের ধাক্কায় গেলো দম্পতির প্রাণ
ছেলের সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরা হলো না, ট্রেনের ধাক্কায় গেলো দম্পতির প্রাণ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাবির ১০৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মঙ্গলবার
ঢাবির ১০৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মঙ্গলবার

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা
ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই দিন আগেই একাদশ ঘোষণা করলো ইংল্যান্ড
দুই দিন আগেই একাদশ ঘোষণা করলো ইংল্যান্ড

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’
‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এআইইউবি ইন্টার কলেজ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু
এআইইউবি ইন্টার কলেজ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

৮৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত
৮৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা
গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গ্রাম্য ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ
গ্রাম্য ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদা আদায় বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
চাঁদা আদায় বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান
রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মির্জাপুরে বন বিভাগের সাড়ে ৭ একর জমি দখলমুক্ত
মির্জাপুরে বন বিভাগের সাড়ে ৭ একর জমি দখলমুক্ত

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল
গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ইসরায়েলি আগ্রাসন : পাকিস্তানের ‘সাহসী অবস্থানের’ প্রশংসায় ইরানের সেনাপ্রধান
ইসরায়েলি আগ্রাসন : পাকিস্তানের ‘সাহসী অবস্থানের’ প্রশংসায় ইরানের সেনাপ্রধান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু
মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নেতানিয়াহুকে ‘অবশ্যই চলে যেতে হবে’: সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
নেতানিয়াহুকে ‘অবশ্যই চলে যেতে হবে’: সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ফলাফল অতিরঞ্জিত করেছেন ট্রাম্প: খামেনি
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ফলাফল অতিরঞ্জিত করেছেন ট্রাম্প: খামেনি

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যে শর্ত দিলেন ট্রাম্প
ইরানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যে শর্ত দিলেন ট্রাম্প

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভালোবেসে বিয়ে, স্ত্রী তালাক দেওয়ায় দুধ দিয়ে গোসল
ভালোবেসে বিয়ে, স্ত্রী তালাক দেওয়ায় দুধ দিয়ে গোসল

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নায়কের মুখে দুর্গন্ধ, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিপাশা!
নায়কের মুখে দুর্গন্ধ, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিপাশা!

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আদালতের কাঠগড়ায় হাসিমুখে তুহিন, নিশ্চুপ মমতাজ
আদালতের কাঠগড়ায় হাসিমুখে তুহিন, নিশ্চুপ মমতাজ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্র রয়েছে : এ্যানি
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্র রয়েছে : এ্যানি

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে নিখোঁজ মাহিরা উদ্ধার
এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে নিখোঁজ মাহিরা উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই ছানা হত্যায় প্রধান আসামি গ্রেফতার
তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই ছানা হত্যায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সক্ষমতা এখনও আছে, ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সক্ষমতা এখনও আছে, ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান
ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রের ক্ষতি আসলে কতোটা?
ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রের ক্ষতি আসলে কতোটা?

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পিআর ইস্যুতে যা বললেন মঈন খান
পিআর ইস্যুতে যা বললেন মঈন খান

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘ইরানকে উপড়ে ফেলার ইসরায়েলি চেষ্টা ব্যর্থ’
‘ইরানকে উপড়ে ফেলার ইসরায়েলি চেষ্টা ব্যর্থ’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অক্টোবরের আগে ভাঙা রাস্তা মেরামত, সরবে পুরনো বাস : পরিবেশ উপদেষ্টা
অক্টোবরের আগে ভাঙা রাস্তা মেরামত, সরবে পুরনো বাস : পরিবেশ উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মঙ্গলবার ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে
মঙ্গলবার ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ সার্কুলার ২০২৫, মঙ্গলবার থেকে আবেদন শুরু
পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ সার্কুলার ২০২৫, মঙ্গলবার থেকে আবেদন শুরু

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কক্সবাজারে বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে বাধার পাহাড়
কক্সবাজারে বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে বাধার পাহাড়

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’
আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’

৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি
ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনায় ফিরতে হলে হামলা না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান
আলোচনায় ফিরতে হলে হামলা না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল আজ
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল আজ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩০ জুন)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩০ জুন)

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান
রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে ফেলে পালালেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন
গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে ফেলে পালালেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
থমথমে নির্বাচন কমিশন
থমথমে নির্বাচন কমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা
গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই জুলাই শুরু আজ
সেই জুলাই শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

কেমন আছে সেন্ট মার্টিন
কেমন আছে সেন্ট মার্টিন

পেছনের পৃষ্ঠা

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ

শিল্প বাণিজ্য

সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন
সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন
ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা
বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা

প্রথম পৃষ্ঠা

শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা
শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে
ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ
রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ

নগর জীবন

পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়
পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়

প্রথম পৃষ্ঠা

এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ
এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ

মাঠে ময়দানে

সংকট জুলাই সনদ নিয়ে
সংকট জুলাই সনদ নিয়ে

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি
বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি

নগর জীবন

মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!
মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে প্রকল্প বাতিলে উদ্বেগ চীনা বিনিয়োগকারীদের
বাংলাদেশে প্রকল্প বাতিলে উদ্বেগ চীনা বিনিয়োগকারীদের

পেছনের পৃষ্ঠা

আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পেছনের পৃষ্ঠা

এনসিপির ‘জনতার দুয়ারে জুলাই পদযাত্রা’ শুরু আজ রংপুর থেকে
এনসিপির ‘জনতার দুয়ারে জুলাই পদযাত্রা’ শুরু আজ রংপুর থেকে

নগর জীবন

মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই
মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই

নগর জীবন

পিআর পদ্ধতির উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল
পিআর পদ্ধতির উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল

নগর জীবন

আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী
আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী

পেছনের পৃষ্ঠা

ইরানের শোকবইয়ে স্বাক্ষর জামায়াতের
ইরানের শোকবইয়ে স্বাক্ষর জামায়াতের

পেছনের পৃষ্ঠা

অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বার্তা থাকবে
অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বার্তা থাকবে

নগর জীবন

জাগপার জুলাইব্যাপী গণসংযোগ
জাগপার জুলাইব্যাপী গণসংযোগ

নগর জীবন

সরকার জনগণের ভাষা বুঝতে পেরেছে
সরকার জনগণের ভাষা বুঝতে পেরেছে

নগর জীবন

নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ

নগর জীবন

পোশাক খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা চায় বিজিএমইএ
পোশাক খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা চায় বিজিএমইএ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের নতুন ডিভিশনাল ডিরেক্টর জঁ পেসমে
বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের নতুন ডিভিশনাল ডিরেক্টর জঁ পেসমে

নগর জীবন