শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ০৩ এপ্রিল, ২০২৪ আপডেট:

বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ : বিদেশিদের বিড়ম্বনা

মেজর (অব.) আখতার
প্রিন্ট ভার্সন
বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ : বিদেশিদের বিড়ম্বনা

বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের মান্যবর রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ‘এক দিন এক দিন করে’ বাংলাদেশে দুই বছর পার করে তিন বছর পুরো করতে চলেছেন। আশা করি ‘এক দিন এক দিন করে’ উনার তিন বছরও পুরা হয়ে যাবে। ‘প্রতিদিন এ দেশের সম্ভাবনা, জনগণের শক্তি ও সহনশীলতা’ যে উনাকে মুগ্ধ করেছে তার জন্য অবশ্যই আমরা উনাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে পারি। তবে হয়তো দুঃখের সঙ্গে উনাকে জানাতে হচ্ছে তিনি যে ‘প্রাণবন্ত নাগরিক’ সমাজ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন তারা কিন্তু এদেশের আপামর জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না এবং তাদের বেশির ভাগ উনাদের দেশেরই নাগরিক। তবে সুখের বিষয় হলো উনারা মানে ‘প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজের’ প্রায় সবাই পিটার হাস সাহেবদের দেশের স্বার্থ ও প্রতিনিধিত্ব করে।

মান্যবর রাষ্ট্রদূত গত ১৫ মার্চ ২০২৪ তারিখে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রাণবন্ত, অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও আমাদের জাতির জন্য দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য লিখেছেন। লেখাটি পড়ে আমি খুব আপ্লুত ও আনন্দিত হয়েছি। লেখাটির জন্য মান্যবর রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আমি লেখাটিকে ২৩ ভাগে ভাগ করে কয়েকটি বক্তব্যকে নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে দেখতে চাই ‘বাংলাদেশের সামনে যে সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ তিনি দেখানোর চেষ্টা করেছেন, বাংলাদেশের দৃষ্টিতে তা কতটুকু অর্থ বহন করে। উনার বক্তব্যকে ক্রমান্বয়ে ১ থেকে ২৩ পর্যন্ত সাজিয়েছি যার থেকে ক্রম নং উল্লেখসহ আলোচনা করার চেষ্টা করছি।

(১) ‘প্রতিদিন এ দেশের সম্ভাবনা, জনগণের শক্তি ও সহনশীলতা এবং এর প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজ আমাকে মুগ্ধ করে। যেমনটা আমি গত বছর বলেছিলাম, বাংলাদেশ তার জন্মলগ্ন থেকে অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে। ভবিষ্যতের দিকে তাকালে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এক দিন এক দিন করে এগিয়ে আসে এমন এক ভবিষ্যৎ আমি দেখতে পাই, আমি এ দেশের সামনে সম্ভাবনা দেখতে পাই। তবে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জও চোখে পড়ে।’ ভাবতে আমার খুব ভালো লাগছে জেনে যে এ দেশের সম্ভাবনা মান্যবর রাষ্ট্রদূতকে প্রতিদিন মুগ্ধ করে। কী সম্ভাবনা প্রতিদিন উনাকে মুগ্ধ করে তার কোনো বর্ণনা অবশ্য আমরা উনার লেখায় পাইনি, হয়তো আমাদের তেমন অন্তর্দৃষ্টি না থাকার কারণে। তবে তিনি যদি একটু খোলাসা করে এ অজ্ঞ বধির জাতির সামনে আমাদের সম্ভাবনাগুলো বলে দিতেন তাহলে সম্ভাবনাগুলো অর্জন করতে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়তে পারতাম। তারপরে তিনি বলেছেন, ‘জনগণের শক্তি’ প্রতিদিন উনাকে মুগ্ধ করে। খুবই উৎসাহব্যঞ্জক এবং উদ্দীপক কিন্তু ‘জনগণের শক্তি’ বলতে উনি কী বুঝাতে চেয়েছেন বা কাদের বুঝাতে চেয়েছেন তা আমাদের কারও কাছেই মনে হয় পরিষ্কার নয়। কারণ আমাদের জনগণ এখন দুটি ভাগে সুস্পষ্টভাবে বিভক্ত। যদিও আমাদের জনগণের সহনশীলতাও মান্যবর রাষ্ট্রদূতকে মুগ্ধ করে। মুগ্ধ করতেই পারে কারণ সহনশীলতা ছাড়া আমাদের আর আছেইবা কী!

(২) ‘২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির সংসদীয় নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে কথা বলেছিল, যা বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষাকে প্রতিফলিত করবে। কিন্তু তা ঘটেনি।’ একটি অতীব চমৎকার বক্তব্য, যার মাধ্যমে পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছে বিগত নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের চানক্যময় একটি অবস্থান। তবে তাদের কাক্সিক্ষত প্রত্যাশা পূরণের ব্যর্থতার পুরো দায়দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হলো এদেশের শক্তিশালী ও সহনশীল জাতির কাঁধে। পিটার হাস সাহেবের বক্তব্যে নতুন একটি ধোঁয়া উঠল যে, জনগণের গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষা প্রতিফলিত হতে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি। বক্তব্যটির সঙ্গে জনগণ একমত, কিন্তু সরকার তা স্বীকার করে না। অথচ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার প্রকাশ্যে সরকারের অবস্থান স্বীকার করে নিয়ে এখন রাষ্ট্রদূতের এহেন বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অবস্থানের বিপরীত হয়ে গেল না! অবশ্য এ ধরনের কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হলে রাষ্ট্রদূত বলতেই পারেন যে এটি উনার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত! তবে এটি স্পষ্ট যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা রাষ্ট্রদূত কেউ-ই সম্ভবত বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে নয়- উনারা মূলত উনাদের স্বার্থের পক্ষে!

(৩) ‘যুক্তরাষ্ট্র এখনো বাংলাদেশ ও বিশ্বের সর্বত্র গণতন্ত্রের বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তা করে। সহজ করে বলতে গেলে, আমরা বিশ্বাস করি, দেশের মানুষের কল্যাণে গণতন্ত্র হলো স্থায়ী অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের সর্বোত্তম উপায়।’ রাষ্ট্রদূত মহোদয়ের এ বক্তব্যটি খুবই চানক্যময়। একদিক দিয়ে বলছেন, দেশের মানুষের কল্যাণে গণতন্ত্র হলো স্থায়ী অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের সর্বোত্তম উপায়, আবার বলছেন গত নির্বাচনে বাংলাদেশে জনগণের গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি, তাহলে এখন আমরা কোনটাকে সত্য বলে মেনে নেব?

(৪) ‘আমরা সাহসী নাগরিক সমাজ এবং মানবাধিকার কর্মীদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখব।’ এখানে তিনি তার বক্তব্যের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অত্যন্ত পরিষ্কার করে দিয়েছেন। তিনি জনগণের প্রতি তার কোনো সমর্থন বা দায়বদ্ধতা প্রকাশ না করে অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাষায় সাহসী নাগরিক সমাজ এবং মানবাধিকার কর্মীদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। বক্তব্যটি অতীব পরিষ্কার, এতে কারও কোনো সন্দেহ আছে বলে মনে হয় না। তিনি স্পষ্ট ভাষায় এবং আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ‘সমর্থন অব্যাহত রাখব’ বলে যে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তাতে জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণ চায় কি না সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। মনে হতে পারে এদেশের জনগণের স্বার্থের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। (৭) ‘আমরা আরও উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক সমাজের পথকে সুগম করতে অর্থপূর্ণ রাজনৈতিক সংলাপের আহ্বান জানানো অব্যাহত রাখব।’ এখানে মোটা দাগে যা বলেছেন তা গৎবাঁধা বুলি যার কোনো সুস্পষ্ট অর্থ নেই এবং কোনো পক্ষপাতিত্বেরও সুযোগ নেই। একদম কূটনৈতিক ভাষায় মূল সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে সরকার ও বিরোধী দল উভয় পক্ষের কাছে সমার্থক বাক্য, যা যে যার মতো বুঝে নিতে পারে এমনভাবে বলে দিয়েছেন। তবে সরকারের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন থাকবে তা প্রকারান্তরে বুঝাতে কোনো ত্রুটি রাখেননি। পিটার হাস রাজনীতিতে আন্দোলন সংগ্রামের পথ পরিহার করে আরও উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক সমাজের পথকে সুগম করতে অর্থপূর্ণ রাজনৈতিক সংলাপের আহ্বান জানিয়ে উনার বা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। উনার এহেন বক্তব্যের পরে রাজপথে কোনো আন্দোলন সংগ্রামের পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেল। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি হলো শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমেই উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক সমাজের পথকে সুগম করতে হবে।

(১১) ‘আমাদের দুই দেশ এবং এ অঞ্চলের মধ্যে নিরাপত্তার সম্পর্কও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’ (১২) ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ধ্বংসাত্মক প্রভাব কমাতে একসঙ্গে কাজ করার সক্ষমতা বাড়ানোর আরও উপায় খুঁজে বের করছেন।’ উল্লিখিত বক্তব্যটি খুবই রহস্যময় ও অর্থবহ, যেখানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও তাদের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখা হয়েছে এবং বিরোধী দলগুলোর আস্থা অর্জন করার জন্য নিষেধাজ্ঞার লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে সেখানে এ বক্তব্যের মোজেজা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের বোঝার ক্ষমতার বাইরে। আমাদের দুই দেশের নিরাপত্তার সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাতে কারও বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। আমাদের ক্ষুদ্র দেশ হলেও জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের অনেক দেশ থেকে বড়। তাই আমরা অবশ্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়লে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি। একইভাবে আমাদের নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়লে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের পাশে দাঁড়ালে আমরা অবশ্যই অনেক বেশি নিরাপদ বোধ করতে পারি। কিন্তু এ অঞ্চলের নিরাপত্তা হুমকিতে পড়লে কীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ তা আমাদের অনেকের কাছে বোধগম্য নয় বলেই অনেকে মনে করেন। তাই পিটার হাস সাহেবের বক্তব্যটির উদ্দেশ্য অনেকের মনে অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ রয়েছে। (১৩) ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রেও আমরা ভূমিকা রাখতে পারব বলে আশা করছি।’ বক্তব্যটি ভীষণ স্পর্শকাতর। কারণ শুধু সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণের বিষয়টি ভবিষ্যতে অনেক ভুল  বোঝাবুঝি সৃষ্টি করতে পারে। সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণ কোনো অবস্থাতেই দেশের বাইরে থেকে কোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলা করার সামর্থ্য বৃদ্ধি বুঝায় না। আন্তসীমানা নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলা করতে হলে গোটা সশস্ত্র বাহিনীসহ সব নিরাপত্তা বাহিনীর আধুনিকীকরণ ও নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলা করার সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। তবে এরকম উচ্চাভিলাসী প্রতিরক্ষা কার্যক্রম কোনো অবস্থাতেই নিকট প্রতিবেশীরা ভালো চোখে দেখবে না। যার ফলে ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ সৃষ্টি হবে এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়াতে সরাসরি সহায়তা করবে। তা ছাড়া শুধু সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণ ভবিষ্যতে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে এবং সরকারের স্থিতিশীলতা বা নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়তে পারে। (১৬) ‘সুনির্দিষ্ট উন্নয়ন সহায়তা প্রদানসহ শ্রম অধিকারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে সমর্থন দিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ শ্রম অধিকারের পূর্ব শর্তই হলো ন্যায্য পারিশ্রমিক, স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ, চাকরির নিরাপত্তা, চাকরি থেকে অবসর-উত্তর মানসম্পন্ন জীবনের নিশ্চয়তা। কিন্তু আমাদের আর্থসামাজিক অবস্থা ও ক্রয়ক্ষমতায় শিল্প উন্নয়নের তেমন বড় সুযোগ নেই। আমাদের পার্শ্ববর্তী অনেক দেশ অনেক কম মূল্যে ভোক্তাপণ্য উৎপাদন করতে পারে। যার ফলে মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে আমাদের টিকে থাকা কঠিন। ভোক্তাপণ্য হিসেবে আমাদের বিশাল পোশাক শিল্প রয়েছে কিন্তু মনোপলি চাহিদা রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। তারা যদি আমাদের পোশাক আমদানি না করে তাহলে একদিনেই পোশাক শিল্প বসে যাবে। তখন পোশাক শিল্পে নিয়োজিত সব শ্রমিক শুধু কর্মহীনই হবে না তারা চরম বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়ে যাবে। পোশাক শিল্পের অস্তিত্ব শতভাগ নির্ভরশীল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের মন-মর্জির ওপর। এখন যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন সাহেবের নির্দেশ মোতাবেক আমরা বৈশ্বিক শ্রমকৌশল নির্ধারণ করে শ্রম অধিকারকে অগ্রাধিকার দেই তাহলে বাংলাদেশ থেকে একটি মার্কিন কোম্পানিও কোনো পোশাক আমদানি করবে না। কারণ হলো বৈশ্বিক শ্রমকৌশল মেনে এবং শ্রম অধিকারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হলে শ্রমিকদের বেতন ও ভাতা বাড়াতে হবে এবং শ্রমিকদের উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে হবে, যার ফলে পোশাকের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। বাড়তি উৎপাদন খরচ দিতে যদি মার্কিন কোম্পানিগুলোকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন সাহেব রাজি করাতে পারেন তাহলে পিটার হাস সাহেবের কথামতো বাংলাদেশের আইন, নীতি ও অনুশীলনকে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে এক মাসও সময় লাগবে না। কিন্তু মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন হলো ন্যায়সংগত শ্রমমূল্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা আমাদের কাছ থেকে পোশাক আমদানি করতে রাজি হবেন কি না? যদি রাজি থাকেন তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা লাগবে না, বাংলাদেশের মাটিতে উন্নত ও বিশ্বমানের শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠা জনগণই করে ফেলবে।

(১৮) ‘পারস্পরিক সুবিধার জন্য আমরা আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে কার্যকর করতে পারি এবং তা করা উচিত।’ এ বক্তব্যটি খুবই সাদামাটা কিন্তু বাক্যটির শেষে ‘উচিত’ শব্দটি ব্যবহার করে বাংলাদেশের ওপর সরাসরি চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে যা জনগণ মেনে নিতে পারছে না। তবে যদি পিটার হাস মহোদয় ‘উচিত’ বলতে তাদের উচিত বলে মনে করে থাকেন তাহলে জনগণ অবশ্যই সাধুবাদ জানাবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি বাংলাদেশ থেকে ন্যায্যমূল্যে পোশাক আমদানি আরও বৃদ্ধি করে, পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তির শিল্প কারখানায় বিনিয়োগ বাড়ায়, ডিসকাউন্টেড বা তাদের উৎপাদন মূল্যে তেল, চিনি, ভুট্টা, গম, তেলবীজ ও শিল্পের বিভিন্ন কাঁচামাল, তুলা, খনিজ ও রাসায়নিক দ্রব্য, লোহা, ইস্পাত, সার ও উচ্চ প্রযুক্তি বিশেষ সুবিধায় বাংলাদেশে রপ্তানি করে তাহলে বাংলাদেশের জনগণ তার জনবল দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশে সবসময় থাকবে। প্রয়োজনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকিতে বা অন্য যে কোনো নিরাপত্তা সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশ তাদের পাশে জনবল নিয়ে থাকবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্বশস্ত্র বাহিনীসহ তাদের মিল-কারখানা, বড় বড় স্থাপনা, পৌর কর্মকান্ডে ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় সৈনিক, পুলিশ, শ্রমিক ও শ্রম ও পেশাজীবীর সর্বস্তরে ন্যায্য ও ডিসকাউন্টেড শ্রমমূল্যে ৫ থেকে ১০ বছরের ফ্রি ভিসায় জনগণ বাংলাদেশ থেকে সহায়তা করবে। এ ব্যাপারে ব্যক্তি পর্যায়ে আলোচনা করতে রাজি আছি।

(২০) ‘মিয়ানমারের নিরাপদ পরিস্থিতি সাপেক্ষে সবার নিরাপদ, স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাব।’ বক্তব্যটি খুব ধোঁয়াশাপূর্ণ। প্রথমত ‘টেকসই মানবিক সহায়তা প্রদান’ বলতে কোন সহায়তাকে বলা হয়েছে নির্দিষ্ট করা হয়নি। ‘টেকসই মানবিক’ শব্দগুচ্ছ খুবই উচ্চমাত্রার বিভ্রান্তিকর শব্দ। পৃথিবীতে কোনোকিছুই টেকসই নয়। সবকিছুরই একটি পরিসমাপ্তি বা রূপান্তর আছে। তেমনি পরিসমাপ্তি বা রূপান্তর আছে ‘মানবিক সহায়তার’। অনন্তকাল ‘মানবিক সহায়তা’ চলতে পারে না। কাজেই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় বাস্তবসম্মত নয়। বক্তব্যটির তাৎপর্যও ভয়াবহ। মিয়ানমার একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ। সে দেশের ‘নিরাপদ পরিস্থিতি’ দেখার দায়িত্ব কোনো অবস্থাতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা বাংলাদেশের ওপর বর্তায় না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের এহেন বক্তব্য উসকানিমূলক যার সঙ্গে কোনো অবস্থাতেই বাংলাদেশ একমত পোষণ করতে পারে না। রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র পথ মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার মাধম্যে চিরস্থায়ী ও টেকসই প্রত্যাবর্তন সম্ভব বলে বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বাস করে। পিটার সাহেব যেভাবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের পথ খুঁজছেন তাতে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশকে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হবে যা প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছেন।

(২২) ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণের পাশে রয়েছে এবং আপনারা সেই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণের পাশে রয়েছে তা অতীব সত্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি জনগণ অসীম কৃতজ্ঞ। তবে আমরা কোনো ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি বলে যে তিনি ইঙ্গিত করেছেন তা জনগণের কাজে বোধগম্য নয়। (২৩) ‘আপনাদের এ যাত্রায় আমরা সব সময় আপনাদের সমর্থন করব।’ কাজেই তিনি কোন যাত্রায় আমাদের নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তাও জনগণের কাছে স্পষ্ট নয়। তারপরেও জনগণের পক্ষ থেকে অজস্র সাধু ও ধন্যবাদ উনার সুচিন্তিত যা আমাদের হয়তোবা মঙ্গলজনক কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা বুঝতে পারছি না ওই সুলিখিত বক্তব্যের জন্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের পাশে আছে এ জন্য জনগণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও জনগণের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞ।

                লেখক : স্বতন্ত্র মনোভাবাপন্ন

এই বিভাগের আরও খবর
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
সর্বশেষ খবর
মুমিনের অসুস্থতা পাপমোচনের মাধ্যম
মুমিনের অসুস্থতা পাপমোচনের মাধ্যম

১ সেকেন্ড আগে | ইসলামী জীবন

স্বল্প ব্যয়ে উন্নত ন্যানোম্যাটেরিয়াল তৈরির কার্যকর প্রযুক্তি উদ্ভাবন
স্বল্প ব্যয়ে উন্নত ন্যানোম্যাটেরিয়াল তৈরির কার্যকর প্রযুক্তি উদ্ভাবন

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

জকসু নির্বাচনে ৩৪ পদের বিপরীতে মনোনয়ন সংগ্রহ ৩১২
জকসু নির্বাচনে ৩৪ পদের বিপরীতে মনোনয়ন সংগ্রহ ৩১২

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যুক্তরাষ্ট্র সফরে সৌদি যুবরাজ সালমান, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান নিয়ে আলোচনা
যুক্তরাষ্ট্র সফরে সৌদি যুবরাজ সালমান, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান নিয়ে আলোচনা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিকে এফ-৩৫ দিতে রাজি ট্রাম্প
সৌদিকে এফ-৩৫ দিতে রাজি ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্লাস্টিকে সামুদ্রিক প্রাণীদের সর্বনাশ!
প্লাস্টিকে সামুদ্রিক প্রাণীদের সর্বনাশ!

৪ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাগে ফেটে পড়লেই কি কমে ক্রোধ?
রাগে ফেটে পড়লেই কি কমে ক্রোধ?

৫ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

হাসিনার পক্ষে স্ট্যাটাস, ঢাবির ডেপুটি রেজিস্টার আটক
হাসিনার পক্ষে স্ট্যাটাস, ঢাবির ডেপুটি রেজিস্টার আটক

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধানের শীষে ভোট চেয়ে কাজী আলাউদ্দিনের গণ সংযোগ
ধানের শীষে ভোট চেয়ে কাজী আলাউদ্দিনের গণ সংযোগ

৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ইসলামে আখলাকে হাসানার গুরুত্ব
ইসলামে আখলাকে হাসানার গুরুত্ব

৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ফ্রান্সের কাছে ১০০ রাফাল চায় ইউক্রেন, এই যুদ্ধবিমানের বিশেষত্ব কী?
ফ্রান্সের কাছে ১০০ রাফাল চায় ইউক্রেন, এই যুদ্ধবিমানের বিশেষত্ব কী?

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মাত্র ১৮ আলোকবর্ষ দূরে বাসযোগ্য অঞ্চলে গ্রহের সন্ধান
মাত্র ১৮ আলোকবর্ষ দূরে বাসযোগ্য অঞ্চলে গ্রহের সন্ধান

৮ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

আসলে কে ভিক্টোরিয়া ফলস আবিষ্কার করেছিল?
আসলে কে ভিক্টোরিয়া ফলস আবিষ্কার করেছিল?

৮ ঘণ্টা আগে | পর্যটন

গাছে চড়ে শিকার ধরত প্রাগৈতিহাসিক কুমির!
গাছে চড়ে শিকার ধরত প্রাগৈতিহাসিক কুমির!

৮ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা
যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অ্যাটকোর মহাসচিব হলেন ইটিভি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম
অ্যাটকোর মহাসচিব হলেন ইটিভি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের হুঁশিয়ারি, চাপের কাছে নতি নয়
ইরানের হুঁশিয়ারি, চাপের কাছে নতি নয়

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওমরাহযাত্রীদের বাস দুর্ঘটনা : নিহত বেড়ে ৪৫
ওমরাহযাত্রীদের বাস দুর্ঘটনা : নিহত বেড়ে ৪৫

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মহাকাশে আধিপত্য বিস্তার, পরিণতি কি?
মহাকাশে আধিপত্য বিস্তার, পরিণতি কি?

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

চাকরি স্থায়ীকরণ দাবি করায় বিদায়ী প্রশাসকের বিরুদ্ধে ‌‘গুলি করার হুমকি’র অভিযোগ
চাকরি স্থায়ীকরণ দাবি করায় বিদায়ী প্রশাসকের বিরুদ্ধে ‌‘গুলি করার হুমকি’র অভিযোগ

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু
স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হাসিনার ফাঁসির রায়ে জয়পুরহাটে আনন্দ মিছিল
হাসিনার ফাঁসির রায়ে জয়পুরহাটে আনন্দ মিছিল

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় বিএনপির দুই গ্রুপের ধাওয়া–পাল্টাধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ
কুমিল্লায় বিএনপির দুই গ্রুপের ধাওয়া–পাল্টাধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাহস থাকলে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন : ফারুক
সাহস থাকলে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন : ফারুক

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরানীগঞ্জে যুবকের আত্মহত্যা
কেরানীগঞ্জে যুবকের আত্মহত্যা

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ
অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার
ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী
আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে
ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী
মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ
হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের
বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি
২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ
হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে
ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা
পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর
শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প
ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার
মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন
মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সালমান-তামান্নার নাচকে ‘অস্বস্তিকর’ বলছেন নেটিজেনরা
সালমান-তামান্নার নাচকে ‘অস্বস্তিকর’ বলছেন নেটিজেনরা

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন
টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে ছাত্রনেতারা
রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে ছাত্রনেতারা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে

প্রথম পৃষ্ঠা

নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড
নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে

সম্পাদকীয়

পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক
পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক
আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক
ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক

নগর জীবন

আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই
আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই

মাঠে ময়দানে

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর

পেছনের পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮

পূর্ব-পশ্চিম

হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার
হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

সুলভ আবাসিক বড় কুবো
সুলভ আবাসিক বড় কুবো

পেছনের পৃষ্ঠা

রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম
রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম

শোবিজ

সহিংসতা হলেও বাড়বে না
সহিংসতা হলেও বাড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি
৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি

শোবিজ

টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প
টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প

শোবিজ

উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা
উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা

মাঠে ময়দানে

উচ্ছ্বসিত বিজরী...
উচ্ছ্বসিত বিজরী...

শোবিজ

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি
মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি
দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়
৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়

মাঠে ময়দানে

হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান
হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান

নগর জীবন

আরেকটি বিজয়ের দিন
আরেকটি বিজয়ের দিন

প্রথম পৃষ্ঠা

প্যাশনের জন্যই মুশফিকের ১০০তম টেস্ট
প্যাশনের জন্যই মুশফিকের ১০০তম টেস্ট

মাঠে ময়দানে

এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার

প্রথম পৃষ্ঠা

শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ

নগর জীবন

রায়ে ছাত্র-জনতার উল্লাস
রায়ে ছাত্র-জনতার উল্লাস

প্রথম পৃষ্ঠা