বুধবার, ১৯ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা বাংলা

আবদুর রহিম, সহকারি শিক্ষক

পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা বাংলা

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২নং প্রশ্নর উত্তর দাও :

বাংলাদেশের প্রায় সকল লোক বাংলায় কথা বলে। আমরা বাঙালি। তবে আমাদের দেশে যেমন রয়েছে প্রকৃতির বৈচিত্র্য, তেমনি রয়েছে মানুষ ও ভাষার বৈচিত্র্য। বাংলাদেশের পার্বত্য জেলাগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোকজন। এদের কেউ চাকমা, কেউ মারমা, কেউ মুরং, কেউ তঞ্চঙ্গা ইত্যাদি। এছাড়াও রাজশাহী আর জামালপুরে রয়েছে সাঁওতাল ও রাজবংশীদের বসবাস। তাদের রয়েছে নিজ নিজ ভাষা। একই দেশ, একই মানুষ অথচ কত বৈচিত্র্য। এটাই বাংলাদেশের গৌরব। সবাই সবার বন্ধু, আপনজন। এদেশের রয়েছে নানা ধর্মের লোক। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান। সবাই মিলেমিশে আছে যুগ যুগ ধরে। এরকম খুব কম দেশেই আছে। আমাদের বাংলাদেশের বাইরেও অনেক বাঙালি আছে।

১। নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ :           ১X৫=৫

যুগ, বৈচিত্র্য, গৌরব, আপনজন, মিলেমিশে, ক্ষুদ্র, প্রকৃতি।

উত্তর : যুগ- সময়; বৈচিত্র্য- বিভিন্নতা; গৌরব- অহংকার; আপনজন- নিকট আত্মীয়; মিলেমিলে- একসাথে; ক্ষুদ্র- ছোট; প্রকৃতি- বাইরের জগৎ।

২। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ :  ২+৪+৪=১০

ক. আমরা কোন দেশে জন্মগ্রহণ করেছি বলে গর্ব করি?

উত্তর : আমরা বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি বলে গর্ব করি।

খ. ক্ষুদ্র জাতিসত্তা কারা?

উত্তর : চাকমা, মারমা, মুরং, তঞ্চঙ্গা, সাঁওতাল ও রাজবংশীরা ক্ষুদ্র জাতিসত্তা।

গ. বাংলাদেশে নানা ধর্মের মানুষ কীভাবে বসবাস করে?

উত্তর : বাংলাদেশে নানা ধর্মের মানুষ অর্থাৎ মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সবাই মিলেমিলে বসবাস করে।

প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

যোগাযোগের একটি আধুনিক মাধ্যম হচ্ছে টেলিভিশন। বেতারে কেবল ধ্বনি শুনতে পাই, ছবি দেখতে পাই না। টেলিভিশনে আমরা ধ্বনি শুনতে ও ছবি দেখতে পাই। বিশ্বকাপ ফুটবল বা ক্রিকেট খেলা যে আমরা সরাসরি দেখতে পাই তা সম্ভব হচ্ছে টেলিভিশনের বদৌলতে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে সর্বশেষ সংযোজন হচ্ছে ইন্টারনেট। এটা বিশ্বব্যাপী যোগাযোগের এক বিশাল নেটওয়ার্ক। বিশ্বের কোটি কোটি কম্পিউটার এর সঙ্গে যুক্ত। এর মাধ্যমে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে পারি। যে কোনো তথ্য-উপাত্ত, বার্তা, ছবি ইত্যাদি আদান-প্রদান করতে, এমনকি পরস্পরের চেহারাও দেখতে

পাই। ইন্টারনেটের মাধ্যমে এখন সারাবিশ্বে জ্ঞান সম্পদের বিপুল তথ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে। একে সংক্ষেপে বলা হয় ওয়েব। পুরো নাম ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা www । এ জ্ঞান ভান্ডার থেকে যে কোনো বিষয়েই ইচ্ছেমতো তথ্য আহরণ করা যায়। বস্তুত যোগাযোগের ক্ষেত্রে সময় আর দূরত্ব এখন কোনো বাধাই নয়।

৩। নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর :     ১X৫=৫

ক. আজকাল - দেখা যায় না বললেই চলে।

খ. ঘরে বসে - এর মাধ্যমে নিজে নিজে অনেক কিছু শেখা যায়।

গ. এখন বিশ্বে যে কোনো বিষয়ের- সংরক্ষণ করা সহজ হয়েছে।

ঘ. তাবিন গবেষণার জন্য - সংগ্রহ করতে গিয়েছে।

ঙ. সারাদিন - দেখা চোখের জন্য খুব ক্ষতিকর।

উত্তর : ক. বেতার  (খ) ইন্টারনেট

গ. তথ্য ঘ. উপাত্ত ঙ. টেলিভিশন

৪। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : ৩X৫=১৫

ক. যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ভূমিকা কী? পাঁচটি বাক্যে লেখ।

উত্তর : যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ভূমিকা অপরিসীম।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। যে কোনো তথ্য-উপাত্ত, বার্তা, ছবি ইত্যাদি আদান-প্রদান করা যায় এমনকি পরস্পরের চেহারাও দেখা যায়। এর মাধ্যমে বিশ্বের জ্ঞান সম্পদের বিপুল তথ্য সংরক্ষণ করা যায়। একে সংক্ষেপে ওয়েব বলা হয়, যার পুরো নাম ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব। বস্তুত যোগাযোগের ক্ষেত্রে সময় ও দূরত্ব এখন কোনো বাধাই নয়।

খ. কম্পিউটার ব্যবহার করে শেখা যায় এমন পাঁচটি কাজের নাম লেখ।

উত্তর : আধুনিক যুগকে কম্পিউটার যুগ বলা হয়। যা ব্যবহার করে বিভিন্নরকম কাজ শেখা যায়। যেমন- যে কোনো প্রতিষ্ঠানের আর্থিক হিসাব-নিকাশের কাজ করা যায়। ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। বাংলা-ইংরেজি টাইপ করা যায়। গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ শেখা যায়। এছাড়াও ভিডিও এডিটিং, কার্টুন অ্যানিমেশনসহ বিভিন্ন কাজ করা যায়।

গ. বেতার কী? বেতার সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।

উত্তর : বেতার একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম। যার মাধ্যমে আমরা কেবল ধ্বনি শুনতে পাই কিন্তু ছবি দেখতে পাই না। বেতারে MHz অথবা KHz ব্যবহার করা হয়। বেতারে AM তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে বেতারের বিভিন্ন ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

৫. ক্রিয়া পদের চলিত রূপ লেখ। (৫টি)                         ১X৫=৫

ক. টানিবে; খ. জাগিয়া; গ. চিনিতে; ঘ. ঘুরিবে; ঙ. খাইয়াছিল; চ. কাটাইতেছিল; ছ. আসিব।

উত্তর : ক. টানবে; খ. জেগে; গ. চিনতে; ঘ. ঘুরবে; ঙ. খেয়েছিল; চ. কাটাচ্ছিল; ছ. আসব।

৬. নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্ন তৈরি কর। (৫টি)          ১X৫=৫

পাখি চায় ওড়ার আনন্দ। তাকে যত যতেœই রাখা হোক, যতই পোষ মানানো হোক, এতে তার মন পাওয়া যায় না। খোকা পাখিটি এনেছিল অনেক দূর থেকে কষ্ট করে, যতœ করে লালনপালনও করেছিল কিন্তু সেই একদিন খাঁচার মুখ খোলা ফেলে, পাখিটি চলে গেল। সে আর ফিরে এলো না। কারণ সকল প্রাণীর মতো পাখিও চায় মুক্তির স্বাদ। পাখি চায় স্বাধীনতা।

উত্তর : ক. পাখি কীসের আনন্দ চায়?

খ. খোকা পাখিটিকে কীভাবে এনেছিল?

গ. পাখিটি কীভাবে চলে গেল?

ঘ. কে ফিরে এলো না? ঙ. পাখি কীসের স্বাদ চায়?

৭. নিচের যুক্তবর্ণগুলো ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ ব্যবহার করে একটি করে বাক্য তৈরি কর :     ৫

(ক) ন্ত, (খ) প্ত, (গ) ন্ধ, (ঘ) ল্প, (ঙ) ক্ষ, (চ) তœ, (ছ) ষ্ট।

উত্তর : ক. ন্ত= ন+ত- বীরেরা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান।

খ. প্ত= প+ত- সাতদিনে এক সপ্তাহ।

গ. ন্ধ= ন+ধ- গাছপালা আমাদের পরিবেশের বন্ধু।

ঘ. ল্প= ল+প- আজ অল্প সময়ে কাজটি করা যেত।

ঙ. ক্ষ= ক+ষ- আজকাল দক্ষ লোকের খুব অভাব।

চ. তœ=ত+ন- ত্বকের যতœ নেওয়া সবারই উচিত।

ছ . ষ্ট= ষ+ট- বর্ষাকালে আমাদের দেশে বৃষ্টি হয়।

৮. উপযুক্ত স্থানে বিরাম চিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি উত্তরপত্রে লেখ :         ৫

ভাব তো কৃষকের কথা তারা কাজ না করলে আমাদের খাদ্য জোগাতো কে সবাইকে তাই আমাদের শ্রদ্ধা করতে হবে ভালোবাসতে হবে সবাই আমাদের আপনজন

উত্তর : ভাব তো কৃষকের কথা। তারা কাজ না করলে আমাদের খাদ্য জোগাতো কে। সবাইকে তাই আমাদের শ্রদ্ধা করতে হবে, ভালাবাসতে হবে। সবাই আমাদের আপনজন।

৯. এক কথায় প্রকাশ কর : (৫টি) ১´৫=৫

ক. অল্প কথা বলে যে; খ. অর্থ নেই যার; গ. জলে চরে যে; ঘ. জানার ইচ্ছা; ঙ. চোখে দেখতে পায় না; চ. চাঁদের দেশ; ছ. মেধা আছে এমন যে জন।

উত্তর : ক. স্বল্পভাষী; খ. নিরর্থ; গ. জলচর; ঘ. জিজ্ঞাসা; ঙ. অন্ধ; চ. চন্দ্রলোক

ছ. মেধাবী।

১০. নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ :         ১X৫=৫

ক. লোকসান; খ. চালাক; গ. বাতাস; ঘ. আকাশ; ঙ. রাত্রি; চ. জন্ম; ছ. সুন্দর।

উত্তর : ক. লোকসান-ক্ষতি;

খ. চালাক-চতুর; গ. বাতাস-বায়ু;

ঘ. আকাশ-গগন; ঙ. রাত্রি-রাত;

চ. জন্ম-সৃষ্টি; ছ. সুন্দর-মনোরম।

১১। কবিতাটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ :        ২+৪+৪=১০

বর্গি এলো খাজনা নিতে,

            মারল মানুষ কত।

পুড়ল শহর, পুড়ল শ্যামল

            গ্রাম যে শত শত।

হানাদারের সঙ্গে জোরে

            লড়ে মুক্তি সেনা

তাদের কথা দেশের মানুষ

 

            কখনো ভুলবেনা।

ক. কবিতাংশটুকু কোন কবিতার অংশ এবং কবির নাম কী?

উত্তর : কবিতাংশটুকু ‘রৌদ্র লেখে জয়’ কবিতার অংশ এবং কবির নাম শামসুর রাহমান।

সর্বশেষ খবর