শিরোনাম
শনিবার, ৪ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

কমবে ভোগান্তি বাঁচবে সময়

লাবলু মোল্লা, মুন্সীগঞ্জ

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত। ছুটি আর উৎসবে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটে মানুষের চাপ বাড়ে। দিতে হয় অতিরিক্ত ভাড়া। বসে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। আছে ঘাট-সংশ্লিষ্টদের দুর্ব্যবহার। স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর এসবের কিছুই থাকবে না। ভোগান্তি কমবে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের। হাতের মুঠোয় চলে আসবে রাজধানী ঢাকা।

পদ্মাপারের সুজন মিয়া জানান, বর্তমানে শিমুলিয়া ঘাট পার হতে যে কষ্ট করতে হয় তা বলে বোঝানো যাবে না। পদ্মা সেতুটি চালু হলে আমাদের ভোগান্তি যেমন কমবে, সময়ও বেঁচে যাবে। এটি একটি স্বপ্নের মতো মনে হয় যে, আর কয়দিন পরই নদীপথে নয়, সড়কপথে আমরা পদ্মা পাড়ি দেব। জহিরুল ইসলাম নামে এক কাঁচামাল ব্যবসায়ী বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে আমরা এখন গর্ববোধ করতে পারি। এখন আমরা মুখিয়ে আছি সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি নিয়ে পদ্মা পাড়ি দেওয়ার। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উৎসবের অপেক্ষায় মুন্সীগঞ্জের মানুষ। যতই দিন ঘনিয়ে আসছে ততই যেন পদ্মাপারের মানুষের মাঝে উৎকণ্ঠা বেড়েই চলছে। উদ্বোধন উৎসবের অপেক্ষায় যেন তর সইছে না। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পদ্মা সেতু এক নজর দেখার জন্য ছুটে আসছেন হাজারো মানুষ। তাদের চোখে-মুখে আনন্দের জোয়ার। ২৫ জুন সকাল ১০টায় বহুল কাক্সিক্ষত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এমন খবরে মুন্সীগঞ্জের মাওয়াপ্রান্তে জমিদাতাসহ জেলার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে আনন্দের যেন কমতি নেই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর