শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারি, ২০২৫ আপডেট: ১৬:৩৩, বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারি, ২০২৫

বিভেদ নয় গড়তে হবে ঐক্যের বাংলাদেশ

প্রিন্ট ভার্সন
বিভেদ নয় গড়তে হবে ঐক্যের বাংলাদেশ

রাজনৈতিক নানা ঘটনাপ্রবাহে ২০২৪ সালটি ছিল আলোচিত। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের। নানামুখী সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পথে তরুণরা। দেশে বিরাজ করছে নানামুখী সংকট। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নাজুক অবস্থা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাজেহাল মানুষ। ব্যবসাবাণিজ্যে স্থবিরতা। পোশাকশিল্পে চলছে অস্থিরতা। দাবিদাওয়া নিয়ে রাজপথে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এমন বাস্তবতায় ১ জানুয়ারি বসুন্ধরা সিটি কনফারেন্স হলে নতুন বছরের প্রত্যাশা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রতিদিন। উপস্থিত বক্তারা তুলে ধরেছেন তাঁদের প্রত্যাশা। প্রতিবেদন তৈরি করেছেন- শামীম আহমেদ, হাসান ইমন, শরিফুল ইসলাম সীমান্ত ও আবির আব্দুল্লাহ। ছবি তুলেছেন- জয়ীতা রায়

 

বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবেবিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে

আবদুল আউয়াল মিন্টু

ভাইস চেয়ারম্যান, বিএনপি

সাবেক সভাপতি, এফবিসিসিআই

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, দেশের মানুষের প্রত্যাশা ও তা পূরণের মধ্যে ফারাক অনেক। আমাদের শিক্ষা, চিকিৎসা, খাদ্য সব ক্ষেত্রে বৈষম্য। এটা কমাতে উদ্বৃত্ত সম্পদের সুষম বণ্টন জরুরি। অথচ কেউই তা কখনো করেনি। আমি চাই দেশটা অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধিশালী হোক। এজন্য সম্পদ সৃষ্টি করতে হবে। কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। এজন্য দরকার বিনিয়োগ। বিনিয়োগ বাড়াতে প্রথমেই দরকার সামাজিক শৃঙ্খলা। সেটাই নেই। এখানে অপরাধের হার ক্রমেই বাড়ছে। কিশোর অপরাধ বাড়ছে। ফেসবুকে দাওয়াত দিয়ে ছেলেমেয়েরা আত্মহত্যা করছে। অস্থির একটা সমাজ! যে পুলিশ অপরাধ দমন করবে, তাদের মধ্যেই অপরাধপ্রবণতা বেশি। সাধারণ ব্যবসায়ীর চেয়ে মাদক ব্যবসায়ী দ্রুত বাড়ছে। এমন বাস্তবতায় কেউ বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হবে না। নিরাপত্তা বোধ করবে না। বিনিয়োগ না হলে বেকারত্ব আরও বাড়বে, যা সামাজিক বিশৃঙ্খলা বাড়াবে। মাদকের আগ্রাসন বাড়বে। দেশকে এগিয়ে নিতে বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। একটাকে রেখে আরেকটা ভালো হবে না।

 

রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন ছাড়া সংস্কার কাজে আসবে নারাজনীতির গুণগত পরিবর্তন ছাড়া সংস্কার কাজে আসবে না

মাহমুদুর রহমান মান্না

সভাপতি

নাগরিক ঐক্য

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, জুলাই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। পুরনো পচা, জীর্ণ, লুটেরা সংস্কৃতির সংশোধন করে নতুন একটা দেশ গড়তে হবে। দেশটা পুরো বদলাতে হবে। এর জন্য সরকার সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এ সরকার কতটুকু সংস্কার করে যেতে চায় সেটা স্পষ্ট করতে হবে। এর জন্য কী পরিমাণ সময় প্রয়োজন সেটাও নির্ধারণ করতে হবে। নির্বাচন যত দেরি হবে সরকার তত বেশি সমস্যায় পড়বে।

আমি চাই, নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা যেন ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেন, যাতে তারা জনগণের প্রত্যাশার জবাব দিতে এবং আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারেন। এর জন্য দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। ২৪-এর অভ্যুত্থান ছিল চাঁদাবাজি, গুন্ডামি, মাস্তানি, দখলদারি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। এ সংস্কৃতি থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে, তা ছাড়া সংস্কার করে কোনো লাভ হবে না।

 

প্রয়োজনীয় সংস্কার ও নির্বাচনের দাবিপ্রয়োজনীয় সংস্কার ও নির্বাচনের দাবি

হামিদুর রহমান আযাদ

সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, ৫ আগস্ট যে চেতনা ধারণ করে দলমতনির্বিশেষে ছাত্র-জনতা একত্র হয়েছে; সেটা বাস্তবায়ন হলে সুন্দর দেশ গঠন হবে। সুন্দর দেশ গড়ার জন্য   একটা পরিকল্পনা দরকার। আগামী  পাঁচ, ১০ ও ২০ বছরে দেশ কোথায় যাবে তার বাস্তবতাভিত্তিক পরিকল্পনা করতে হবে। এটার জন্য দরকার সংস্কার ও নির্বাচন।

সাবেক এই এমপি বলেন, আমরা কিছু মৌলিক সংস্কার চাই। এর মধ্যে মানবাধিকার সংস্কার,  বিচার বিভাগ সংস্কার, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার, নির্বাচন আইন সংস্কার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংস্কার করতে হবে। একই সঙ্গে শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। কারণ ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যে নীতি তৈরি করেছে সেটার সংস্কার করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা জামায়াতে ইসলামী ৪১ দফা সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি। এর মধ্যে ১০ দফা বর্তমান সরকার সংস্কার করবে।  আর বাকি ৩১ দফা আগামীতে যে রাজনৈতিক সরকার আসবে তারা সংস্কার করবে।

 

গণহত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবেগণহত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে

সামান্তা শারমিন

মুখপাত্র

জাতীয় নাগরিক কমিটি

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেছেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, এ কথা আমাদের নিয়মিত শুনতে হচ্ছে। কিন্তু কিছু কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো বাস্তবায়ন করা না হলে দেশে যে একটা গণ অভ্যুত্থান হয়েছে তার স্বীকৃতি পাওয়া যাবে না। তাই দেশে পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার আগে কিছু বিষয়ের সংস্কার অত্যাবশ্যক। এ ক্ষেত্রে প্রথমেই বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে যারা ধ্বংসাবশেষে পরিণত করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ১৫ বছর ধরে যারা দেশে গুম, খুন, ধর্ষণ, অর্থ পাচারের রাজত্ব কায়েম করেছিল সেই আওয়ামী লীগই জুলাই গণ অভ্যুত্থানে নির্বিচার গণহত্যা চালিয়েছে। এ গণহত্যাকারীদের শুধু বিচার নয়, দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে ভগ্নদশা রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশের মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া সংবিধান সংস্কার ও পুনর্লিখন প্রয়োজন। সব অস্তিত্বশীল রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ সংস্কার করে তরুণ নেতৃত্বকে সুযোগ দিতে হবে। জুলাই ঘোষণাপত্রকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার এবং জনমুখী সংবিধান পুনর্লিখনের জন্য গণপরিষদ নির্বাচন প্রয়োজন। বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির মাঠে শক্তিশালী করে প্রতিষ্ঠার জন্য হাসিনার নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে বেরিয়ে সাম্য ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে আধুনিক পররাষ্ট্রনীতিতে উত্তরণ করতে হবে।

 

বর্তমান সরকারের কাছে দ্রুত সংস্কার প্রত্যাশা ঠিক নয়বর্তমান সরকারের কাছে দ্রুত সংস্কার প্রত্যাশা ঠিক নয়

মোস্তফা জামাল হায়দার

১২-দলীয় জোটপ্রধান

চেয়ারম্যান, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর)

১২-দলীয় জোটপ্রধান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দ্রুত সংস্কার প্রত্যাশা করা ঠিক নয়। কারণ গত ১৬ বছর সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনিয়ম, চাঁদাবাজি, রাজত্ব কায়েম, ঘুষ, হয়রানি, দুঃশাসন ও অবিচার হয়েছে। এ অনিয়ম চাঁদাবাজি ছয় মাস বা এক বছরে দূর করতে পারবেন না। তাদেরও সীমাবদ্ধতা আছে।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, নতুন বছরে আমার প্রত্যাশা দেশপ্রেমিক ও গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়া। যে সরকার এ দেশ আবারও নতুন করে জাগিয়ে তুলবে। যারা ফ্যাসিস্ট দোসরদের সিন্ডিকেট ভাঙতে পারবে। আইনশৃঙ্খলা ও দ্রব্যমূল্য মানুষের নাগালে আনতে পারবে।

তিনি বলেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলায় সমস্যা রয়েছে। দ্রব্যমূল্যের কশাঘাত এবং স্বৈরাচার সরকারের দোসররা ষড়যন্ত্র করছে। এটাকে এ সরকার ক্ষমতায় থেকে সমাধান করবে তার পরে নির্বাচন করবে এটা কখনো বাস্তবসম্মত নয়। যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচন দিক। জনগণের সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুক।

 

ব্যাংকিং খাতে সংস্কার করতে হবেব্যাংকিং খাতে সংস্কার করতে হবে

মোহাম্মদ হাতেম

সভাপতি

বিকেএমইএ

বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় সংকট হলো ব্যাংকিং খাতে সংস্কারের অভাব। এ খাতে সংস্কার করা না হলে ভবিষ্যতে দেশের ব্যবসাবাণিজ্য কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়বে। এরই মধ্যে ১৫০-৬০টি ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেছে। লক্ষাধিক শ্রমিক বেকার হয়েছে। সামনের দিনগুলোয় আরও অনেক ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাবে। এর অন্যতম কারণ ব্যাংকিং খাতের পলিসি, যা গত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নেওয়া হয়েছে। ক্লসিফিকেশন আইন নামে যে আইন করা হয়েছে সেটি ব্যবসায়ীদের গলা টিপে হত্যা করার মতো একটা আইন। এসব জায়গা থেকে আমাদের ফিরে আসতে হবে। ব্যাংকিং খাতে যে পরিমাণ লুটপাট হয়েছে তাতে এ খাতে গুরুতর সংস্কার প্রয়োজন। আমি আগেও বলেছি, আইএমএফ কোনো দিন কোনো দেশের মঙ্গলের জন্য প্রেসক্রিপশন দেয়নি। যে দেশ আইএমএফের প্রেসক্রিপশন পুরোপুরি মেনে চলেছে সে দেশ পঙ্গুত্ববরণ করেছে। কিছু কিছু পরামর্শ হয়তো আমাদের নিতে হবে। কিন্তু কোনটা নেব, কোনটা নেব না সেটি রাষ্ট্রকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর ব্যবসাকে বাঁচাতে চাইলে এলডিসিতে উত্তরণের যে লক্ষ্যমাত্রা তা স্থগিত করতে হবে।

 

সরকার যেন কোনো গোষ্ঠীর প্রতি দুর্বল না থাকেসরকার যেন কোনো গোষ্ঠীর প্রতি দুর্বল না থাকে

সাইফুল হক

সাধারণ সম্পাদক

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক যাত্রায় ২০২৪ সাল একটা মাইলফলক। ছাত্র-জনতার বিপ্লবে হিমালয়সম প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। এ প্রত্যাশা পূরণের সুযোগটা যেন কোনোভাবেই হাতছাড়া না হয়। মুক্তিযুদ্ধের পরে সবচেয়ে বড় গণহত্যা হয়েছে গত জুলাই-আগস্টে। এ গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া একটা সন্তোষজনক পর্যায়ে এগিয়ে নেওয়া নতুন বছরে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বিগত ১৬ বছরের দুর্নীতি ও লুটপাটের বিচার দেখতে চাই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে কোটি কোটি মানুষের খাদ্যগ্রহণ কমে গেছে। এখন কোনো সিন্ডিকেট নেই। এত বড় সমর্থনের পরও এ সরকার কেন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না? আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে নেই। মানুষ এখনো সহ্য করছে। তবে মাসের পর মাস এভাবে চলতে পারে না। আগামী দিনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শেষবিচারে তারাই দায়িত্ব পালন করবে। কমিশন যেন নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে। বর্তমান সরকার যেন কোনো গোষ্ঠী বা মতের প্রতি দুর্বল না থাকে। পথ হারালেই প্রশ্ন উঠবে। সরকারের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে তারা রাজনৈতিক দলগুলোকে এড়িয়ে চলছে।

 

নতুন বছরের প্রত্যাশা মৌলিক সংস্কারনতুন বছরের প্রত্যাশা মৌলিক সংস্কার

আবু আলম শহিদ খান

সাবেক সচিব

সাবেক সচিব আবু আলম শহিদ খান বলেছেন, নতুন বছরের প্রত্যাশা পূরণে কিছু সংস্কার প্রয়োজন। এর মধ্যে বৈষম্যহীন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তৈরি, আইনের শাসন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা, রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কার, প্রতিটি সেক্টরে মেধাবী, যোগ্য এবং নিরপেক্ষ লোকবল নিয়োগ প্রয়োজন। একই সঙ্গে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র, স্বাধীন গণকর্মচারী কাঠামো তৈরি, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের রূপান্তর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংস্কার করা প্রয়োজন।

আবু আলম শহিদ খান বলেন, আমরা এমন একটা নির্বাচনব্যবস্থা চাই যে নির্বাচনটা হবে উৎসবমুখর। যেখানে সব প্রার্থীর সমান সুযোগসুবিধা থাকবে। কেউ কারও নির্বাচনি পোস্টার ছিঁড়ে ফেলবে না। কারও পথসভায় কেউ হামলা করবে না। কেউ প্রচারে বাধা দেবে না।

তিনি বলেন, আমরা মিডিয়া ক্যু নির্বাচন চাই না। যেখানে গণমাধ্যমগুলো অন্ধের ভূমিকায় থাকে। আমরা রাতের নির্বাচন চাই না। নতুন বছরে আমাদের স্বপ্নপূরণের যাত্রা শুভ হোক।

 

সংস্কার চলবে, নির্বাচনি প্রক্রিয়াও চলবেসংস্কার চলবে, নির্বাচনি প্রক্রিয়াও চলবে

হাসান হাফিজ

সম্পাদক, কালের কণ্ঠ

সভাপতি, জাতীয় প্রেস ক্লাব

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি, কালের কণ্ঠ সম্পাদক হাসান হাফিজ বলেছেন, আমরা স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে সরিয়ে প্রাথমিক বিজয় অর্জন করেছি, তবে আমাদের সামনে মূল চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ বিজয় সুসংহত, স্থায়ী ও টেকসই করতে হবে। এর মূল দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর। তবে আমরা দেখছি, সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দূরত্ব বেড়েই চলেছে, যা উদ্বেগজনক। দূরত্ব কমাতে প্রয়োজন নির্বাচনি রোডম্যাপ। এ সময় সংস্কার চলবে, পাশাপাশি নির্বাচনি প্রক্রিয়াও চলবে।

নতুন বছরের প্রত্যাশা নিয়ে তিনি বলেন, আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন চাই, নিত্যপণ্যের দাম যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে, পরিবেশ তৈরি করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। পাশের দেশও আমাদের নিয়ে খেলছে। আমরা সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে বন্ধুত্ব চাই। সীমান্তে আর কোনো লাশ দেখতে  চাই না।

 

নতুন আবহের প্রত্যাশা নিয়েই গোলটেবিল বৈঠকনতুন আবহের প্রত্যাশা নিয়েই গোলটেবিল বৈঠক

আবু তাহের

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক

বাংলাদেশ প্রতিদিন

বাংলাদেশ প্রতিদিনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আবু তাহের বলেছেন, নববর্ষে আমাদের অনেক প্রত্যাশা থাকে। অনেক সময় এ প্রত্যাশা বাস্তবতাকেও ছাড়িয়ে যায়। বাংলাদেশ বর্তমানে একটি নতুন আবহের মধ্যে চলে এসেছে। সে আবহ অনুযায়ী প্রত্যাশাগুলো জানার জন্যই আজকের এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। বাধাবিপত্তির কারণে প্রত্যাশা পূরণ না হলে আমরা নতুন বছরকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে নিজেকে বলা উচিত, যেভাবে আমার এক প্রিয় শিক্ষক বলতেন, ডোন্ট ইউজ ইয়োর এনার্জি টু ওয়্যারি, ইউজ ইয়োর এনার্জি টু বিলিভ, বার্ন দ্য পাস্ট, টার্ন দ্য পেজেস অ্যান্ড মুভ অন। তিনি বলেন, সংস্কার আমাদের প্রত্যেকেরই প্রত্যাশা। তবে সংস্কারটা যেন সং-এ পরিণত না হয়। পাশাপাশি বর্তমানে বৈষম্যহীনতার কথা বলা হচ্ছে। তবে বৈষম্যহীনতা যেন শুধু দারিদ্র্য বণ্টনের ক্ষেত্রে না হয়, সম্পদের বণ্টনের সময় যেন বৈষম্যহীনতা থাকে। নতুন বছর বরণ করবার সময় সাংবাদিক-কবি অরুণাভ সরকারের কবিতাটি মনে পড়ছে, জীবন হোক মধুর আর হৃদয় হোক ফুল/ভুবন হোক আলোকময় আনন্দসংকুল।

 

সকল ইতিবাচক উদ্যোগের সঙ্গেসকল ইতিবাচক উদ্যোগের সঙ্গে

মনজুরুল ইসলাম

নির্বাহী সম্পাদক

বাংলাদেশ প্রতিদিন

বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম বলেছেন, নতুন বছরে আমাদের অনেক প্রত্যাশা থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। এ বছরটি সবার জন্য ভালো হোক, সবাই ভালো থাকুক সেই প্রত্যাশা করছি। সেই সঙ্গে দেশের সব উন্নয়ন ও ছাত্রসমাজের সব  ইতিবাচক উদ্যোগের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিদিন থাকবে। গতকাল বসুন্ধরা কনফারেন্স হলে নতুন বছরের প্রত্যাশা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

মনজুরুল ইসলাম বলেন, ছাত্রসমাজ নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে স্বপ্ন দেখেছে, রাজনৈতিক দল, শ্রেণি-পেশার মানুষসহ সবাই মিলে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক সংকট দূরীকরণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, অর্থনৈতিক সংকট  উত্তরণ, অহিংস সমাজ বিনির্মাণ, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণসহ দেশের সব ইতিবাচক কর্মকাণ্ড হোক আমাদের এ বছরের প্রত্যাশা।

 

নতুন রাজনৈতিক দলের আকাঙ্ক্ষা শুধু ক্ষমতাকেন্দ্রিক হবে নানতুন রাজনৈতিক দলের আকাঙ্ক্ষা শুধু ক্ষমতাকেন্দ্রিক হবে না

সাইফ মোস্তাফিজ

যুগ্ম সদস্যসচিব

জাতীয় নাগরিক কমিটি

জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব সাইফ মোস্তাফিজ বলেছেন, দেশের সিনিয়র রাজনীতিবিদরা আমাদের তরুণদের উৎসাহ দিচ্ছেন রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জন্য। আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছি। সিনিয়র, জুনিয়র সবাইকে নিয়ে আমরা একটি নতুন দল গঠন করব। নতুন রাজনৈতিক দলের আকাঙ্ক্ষা শুধু নির্বাচনকেন্দ্রিক বা ক্ষমতাকেন্দ্রিক হবে না।

তিনি বলেন, কারণ ৫৪ বছরের রাজনৈতিক ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা আমরা গত ১৬ বছরও দেখেছি। সেই ব্যর্থতার দায়ভার আমাদের সব রাজনৈতিক দলকেই নিতে হবে।

ফ্যাসিস্ট হাসিনার ১৬ বছরে রাজনৈতিক দলগুলোর অবদান ছিল, ত্যাগ ছিল। তার পরও তাদের পক্ষে হাসিনাকে উৎখাত করা সম্ভব হয়নি। কারণ তারা যেসব রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছিল তাতে গণমানুষের অংশগ্রহণ ছিল না। মানুষের আশঙ্কা ছিল ক্ষমতার পালাবদল ঘটলে এ দলগুলোই আবার নতুন আরেকটা ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে পারে।

 

বৈষম্যবিহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চাইবৈষম্যবিহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চাই

আলী আহসান জুনায়েদ

যুগ্ম  আহ্বায়ক

জাতীয় নাগরিক কমিটি

জাতীয় নাগরিক কমিটির  যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার দেশে এমনই জুলুমের রাজত্ব কায়েম করেছিল যে, ৫ আগস্টের বিজয়ের পর গ্রাম পর্যায়ে ওয়ার্ডের মেম্বার, এমনকি জাতীয় মসজিদের ইমাম পর্যন্ত শেখ হাসিনার সঙ্গে পালিয়ে গেছেন। আমরা তরুণরা এ ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ চাই। জুলাই গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বৈষম্যবিহীন বাংলাদেশের যে স্বপ্ন মানুষ দেখেছে তা প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চাই। রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের প্রভাবমুক্ত হয়ে পেশাদার, নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী হতে হবে। সরকার যেসব সংস্কার কমিশন করেছে সেগুলো কার্যকর করতে হবে।

তিনি বলেন, হাসিনার পতনের পর মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে। গত তিনটি কলঙ্কিত নির্বাচনের প্রেক্ষিতে মানুষের মধ্যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় সরকারের জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র জারির সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। আমরা আশা করছি, এ ঘোষণাপত্রের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন হবে।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত
ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রামে কৈশোর তারুণ্যের বইমেলা
চট্টগ্রামে কৈশোর তারুণ্যের বইমেলা

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

খুলনায় ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত, ১ রেল যোগাযোগ বন্ধ
খুলনায় ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত, ১ রেল যোগাযোগ বন্ধ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান
পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান

৪ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে কনসার্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে কনসার্ট

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কাপড়ের ব্যাগে লুকিয়ে কারাগার থেকে পালালেন বন্দী
কাপড়ের ব্যাগে লুকিয়ে কারাগার থেকে পালালেন বন্দী

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি ও তারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন স্লোগান, রাবি জাতীয়তাবাদী ফোরামের প্রতিবাদ
বিএনপি ও তারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন স্লোগান, রাবি জাতীয়তাবাদী ফোরামের প্রতিবাদ

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাবির ফোকলোর বিভাগের নাম সংস্কার
রাবির ফোকলোর বিভাগের নাম সংস্কার

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি
ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পোল্যান্ডে আবিষ্কৃত হলো ৫৫০০ বছর আগের দুটি প্রাচীন পিরামিড
পোল্যান্ডে আবিষ্কৃত হলো ৫৫০০ বছর আগের দুটি প্রাচীন পিরামিড

৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আড়াই লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ হুমকিতে
আড়াই লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ হুমকিতে

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে দুই ভাই নিহত
বগুড়ায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে দুই ভাই নিহত

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই উইমেন্স ডে’ উদযাপন
চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই উইমেন্স ডে’ উদযাপন

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাবিতে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন হবে কোডিং পদ্ধতিতে, থাকবে না রোল
রাবিতে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন হবে কোডিং পদ্ধতিতে, থাকবে না রোল

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে কমে যাচ্ছে মা-সন্তানের যোগাযোগ: গবেষণা
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে কমে যাচ্ছে মা-সন্তানের যোগাযোগ: গবেষণা

৭ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

গাজায় নেতানিয়াহুর মানবিক শহর, নিন্দায় দুই সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
গাজায় নেতানিয়াহুর মানবিক শহর, নিন্দায় দুই সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি কঠোর করে ইরানের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস
গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি কঠোর করে ইরানের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে মোটরসাইকেল চোর চক্রের ছয় সদস্য আটক
যশোরে মোটরসাইকেল চোর চক্রের ছয় সদস্য আটক

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপির বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার হাওয়ায় মিলে গেছে : রিজভী
বিএনপির বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার হাওয়ায় মিলে গেছে : রিজভী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেন যুুদ্ধ থামাতে পুতিনকে ৫০ দিন দিলেন ট্রাম্প
ইউক্রেন যুুদ্ধ থামাতে পুতিনকে ৫০ দিন দিলেন ট্রাম্প

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাকৃবিতে গমের ব্লাস্ট রোগ দমনে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ
গাকৃবিতে গমের ব্লাস্ট রোগ দমনে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নোয়াখালীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ
নোয়াখালীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে দেশের প্রথম ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন
নারায়ণগঞ্জে দেশের প্রথম ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই অভ্যুত্থানের সাহসী নারীদের হারিয়ে যেতে দেবো না: শারমীন মুরশিদ
জুলাই অভ্যুত্থানের সাহসী নারীদের হারিয়ে যেতে দেবো না: শারমীন মুরশিদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গাজায় আরও তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজায় আরও তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রবাসীর স্বর্ণালংকার লুট, আটক ৫
প্রবাসীর স্বর্ণালংকার লুট, আটক ৫

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শহীদ আবু সাঈদকে স্মরণে প্রস্তুত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
শহীদ আবু সাঈদকে স্মরণে প্রস্তুত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'হারার পর আমি ফোন খুলতেই ভয় পাচ্ছিলাম'
'হারার পর আমি ফোন খুলতেই ভয় পাচ্ছিলাম'

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
আয়কর রিটার্ন ছাড়া মিলবে না ৩৯ ধরনের সেবা
আয়কর রিটার্ন ছাড়া মিলবে না ৩৯ ধরনের সেবা

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

থাকেন ভারতে, বেতন তোলেন বাংলাদেশে
থাকেন ভারতে, বেতন তোলেন বাংলাদেশে

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

'টিআইএন থাকা সত্ত্বেও যারা রিটার্ন দাখিল করেন না তাদের নিয়ে কাজ করতে হবে'
'টিআইএন থাকা সত্ত্বেও যারা রিটার্ন দাখিল করেন না তাদের নিয়ে কাজ করতে হবে'

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন নির্দেশনা দিয়ে মাউশির চিঠি
সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন নির্দেশনা দিয়ে মাউশির চিঠি

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রিটার্নিং-প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগে পরিবর্তন আসছে : সিইসি
রিটার্নিং-প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগে পরিবর্তন আসছে : সিইসি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে হলের ছাদ থেকে লাফ: ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে হলের ছাদ থেকে লাফ: ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রথমবারের মতো নিলামে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক
প্রথমবারের মতো নিলামে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি নাসির-তামিমার, সাফাই সাক্ষ্য ১১ আগস্ট
আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি নাসির-তামিমার, সাফাই সাক্ষ্য ১১ আগস্ট

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ায় বেনজীরের সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ায় বেনজীরের সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরির নির্দেশ
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরির নির্দেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লঙ্কানদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে যা বললেন লিটন
লঙ্কানদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে যা বললেন লিটন

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেট্রোরেল চলাচলে বিশেষ নির্দেশনা
মেট্রোরেল চলাচলে বিশেষ নির্দেশনা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা ট্রাম্পের
ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা ট্রাম্পের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচারিক আদালতে তারেক-জুবাইদার বিচার নিরপেক্ষ হয়নি: হাইকোর্ট
বিচারিক আদালতে তারেক-জুবাইদার বিচার নিরপেক্ষ হয়নি: হাইকোর্ট

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে : ম্যাক্রোঁ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে : ম্যাক্রোঁ

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি ও তারেক রহমানের চরিত্র হননের ঘৃণ্য অপচেষ্টার প্রতিবাদ বিএনপির
বিএনপি ও তারেক রহমানের চরিত্র হননের ঘৃণ্য অপচেষ্টার প্রতিবাদ বিএনপির

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেয়ের জন্মের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে দীপিকা, নিন্দুকদের 'বিষাক্ত' মন্তব্য
মেয়ের জন্মের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে দীপিকা, নিন্দুকদের 'বিষাক্ত' মন্তব্য

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নাটোরে ছড়িয়ে পড়ছে নীরব ঘাতক ‘পার্থেনিয়াম’
নাটোরে ছড়িয়ে পড়ছে নীরব ঘাতক ‘পার্থেনিয়াম’

৯ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি বরদাস্ত করা হবে না : জয়নুল আবদিন
তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি বরদাস্ত করা হবে না : জয়নুল আবদিন

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অনেকেই চেষ্টা করছে দেশে যেন নির্বাচন না হয়: মির্জা ফখরুল
অনেকেই চেষ্টা করছে দেশে যেন নির্বাচন না হয়: মির্জা ফখরুল

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১২ ইংলিশ ব্যাটারকে বোল্ড করে ইতিহাসে ভারত
১২ ইংলিশ ব্যাটারকে বোল্ড করে ইতিহাসে ভারত

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্লাব বিশ্বকাপে কে কত প্রাইজমানি পেল?
ক্লাব বিশ্বকাপে কে কত প্রাইজমানি পেল?

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিটকয়েনের দাম ইতিহাসে প্রথমবার ১ লাখ ২০ হাজার ডলার ছাড়ালো
বিটকয়েনের দাম ইতিহাসে প্রথমবার ১ লাখ ২০ হাজার ডলার ছাড়ালো

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুমকি সুইস বিনিয়োগকারীর
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুমকি সুইস বিনিয়োগকারীর

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ জুলাই)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফিরে এলো হাজারো বছর আগে হারিয়ে যাওয়া রোমান শহর
ফিরে এলো হাজারো বছর আগে হারিয়ে যাওয়া রোমান শহর

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা : দুই ভাই রিমান্ডে
মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা : দুই ভাই রিমান্ডে

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হরমুজ প্রণালী নিয়ে কি ভাবছে ইরান?
হরমুজ প্রণালী নিয়ে কি ভাবছে ইরান?

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টেস্টের শতবর্ষের ইতিহাসে সেরা বোলিং গড় এখন বোল্যান্ডের
টেস্টের শতবর্ষের ইতিহাসে সেরা বোলিং গড় এখন বোল্যান্ডের

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিক্ষোভে উত্তাল নয়াপল্টন
বিক্ষোভে উত্তাল নয়াপল্টন

প্রথম পৃষ্ঠা

উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা
উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা

পেছনের পৃষ্ঠা

১৪ হাজার কোটি টাকার পায়রা বন্দর চ্যালেঞ্জে
১৪ হাজার কোটি টাকার পায়রা বন্দর চ্যালেঞ্জে

নগর জীবন

আরও পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা চায় যুক্তরাষ্ট্র
আরও পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা চায় যুক্তরাষ্ট্র

শিল্প বাণিজ্য

বিদ্যুতের জন্য অপেক্ষা বাড়ছেই কয়েক দফা পিছিয়েছে কাজ
বিদ্যুতের জন্য অপেক্ষা বাড়ছেই কয়েক দফা পিছিয়েছে কাজ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভয়ংকর ভোগান্তির এক মহাসড়ক
ভয়ংকর ভোগান্তির এক মহাসড়ক

পেছনের পৃষ্ঠা

টার্গেট তারেক রহমান
টার্গেট তারেক রহমান

প্রথম পৃষ্ঠা

সঞ্চয়পত্রের সুদ আসলে কতটা কমল
সঞ্চয়পত্রের সুদ আসলে কতটা কমল

শিল্প বাণিজ্য

১০ মাসে ৩৫৫৪ খুন, ৪১০৫ ধর্ষণ, ৮১৯ অপহরণ
১০ মাসে ৩৫৫৪ খুন, ৪১০৫ ধর্ষণ, ৮১৯ অপহরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

জেলায় জেলায় গডফাদার কামাল যাদের ‘সর্দার’
জেলায় জেলায় গডফাদার কামাল যাদের ‘সর্দার’

প্রথম পৃষ্ঠা

টিকা কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা
টিকা কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা

পেছনের পৃষ্ঠা

আমলাতন্ত্রের সিস্টেম আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত
আমলাতন্ত্রের সিস্টেম আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত

নগর জীবন

ঢাকার রাস্তায় গ্রাফিতি হয়ে উঠছে প্রতিবাদের ভাষা
ঢাকার রাস্তায় গ্রাফিতি হয়ে উঠছে প্রতিবাদের ভাষা

পেছনের পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ এক নম্বর স্বৈরাচারী দল
আওয়ামী লীগ এক নম্বর স্বৈরাচারী দল

প্রথম পৃষ্ঠা

চোখের সামনে ভেসে গেল সহায়সম্বল
চোখের সামনে ভেসে গেল সহায়সম্বল

প্রথম পৃষ্ঠা

তিন দিনেও কিলিং মিশনের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি
তিন দিনেও কিলিং মিশনের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি

পেছনের পৃষ্ঠা

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য
স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য

সম্পাদকীয়

ন্যায়বিচার পাওয়া সহজ করাই সংস্কারের লক্ষ্য
ন্যায়বিচার পাওয়া সহজ করাই সংস্কারের লক্ষ্য

প্রথম পৃষ্ঠা

শনাক্ত হয়নি কিলিং মিশনের তিনজন
শনাক্ত হয়নি কিলিং মিশনের তিনজন

প্রথম পৃষ্ঠা

মা ও দুই সন্তানকে গলা কেটে হত্যা
মা ও দুই সন্তানকে গলা কেটে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি
ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্ষমা চাচ্ছি লিখে ছাদ থেকে লাফ ঢাবি ছাত্রের
ক্ষমা চাচ্ছি লিখে ছাদ থেকে লাফ ঢাবি ছাত্রের

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়িকা মৌসুমী ভেবে ফোন
নায়িকা মৌসুমী ভেবে ফোন

শোবিজ

মার্কিন শুল্ক নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি
মার্কিন শুল্ক নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইরান থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৩০ বাংলাদেশি
ইরান থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৩০ বাংলাদেশি

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়িকা হতে এসে খলনায়িকা
নায়িকা হতে এসে খলনায়িকা

শোবিজ

সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ বিচার শুরু আটজনের
সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ বিচার শুরু আটজনের

পেছনের পৃষ্ঠা

স্বামীভক্ত মেহজাবীন
স্বামীভক্ত মেহজাবীন

শোবিজ