বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সংস্কার এমনভাবে করতে হবে যাতে গণসচেতনতা তৈরি করে। এটা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে করতে হবে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া হলো একমাত্র প্রক্রিয়া, যেটা সংশোধন প্রক্রিয়া, ফিল্টারিং প্রক্রিয়া। হঠাৎ করে যদি ক’জন মিলে বলে-এই সংস্কারগুলো দেশের জন্য, আগামীর বাংলাদেশের জন্য, আর তা কার্যকর হয়ে গেল-এ ধরনের চিন্তা-ভাবনায় হবে না। কারণ এই দায়িত্ব কেউ কাউকে দেয়নি।
রবিবার রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘দ্য সিপিডি জার্নি: মেমোরেটিং থার্টি ইয়ার্স অব সিপিডি’ শীর্ষক আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আমীর খসরু।
এ সময় আমীর খসরু বলেন, সংস্কার কার্যক্রম চলছে। সংস্কার এখন অনিবার্য এবং চলমান প্রক্রিয়া। এই সংস্কার নিয়ে আবার কেউ কেউ মনে করছেন তারা বসে সংস্কার করে দেবেন, আর সেটা আগামী ৫০ বা ১০০ বছর ধরে চলবে, আমি এর সঙ্গে সম্মত না। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। কিছু মানুষের সংস্কার কখনো টেকসই হবে না।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমরা সবাই মিলে করেছিলাম। শেখ হাসিনা সেটা রাখেননি। সংস্কার এমনভাবে করতে হবে যাতে গণসচেতনতা তৈরি করে।
আমীর খসরু বলেন, জনগণের ভোটাধিকার যখন কেড়ে নেবেন, সাথে সাথে বাকি অধিকারগুলো কেড়ে নিতেই হবে। নাহলে আপনি সেখানে থাকতে পারবেন না। আমাদের মৌলিক অধিকার ঠিক রাখতে হবে। গণতন্ত্র থেকে সুফল পেতে হলে প্রতি পাঁচ বছর পর পর একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, জবাবদিহিতার মাধ্যমে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য শুধু নির্বাচনই যথেষ্ট নয়, অংশগ্রহণমূলক বলতে যেটা বোঝায়, সুশীল সমাজের ভূমিকাসহ সব অংশীজনের ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে।
সিপিডি ভিন্ন মতের স্পেস তৈরি করে দিয়েছে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, বিগত বছরগুলোতে কথা বলার ক্ষেত্রে বিএনপির নামে মিথ্যা মামলা হতো, জেলে পাঠাতো, গোয়েন্দারা পিছু নিতো। তখন সিপিডির এই স্পেসে কথা বলার সুযোগ হতো। কখনো কখনো আমরা কথা বললে মন্ত্রীরা উঠে চলে গেছে, বিব্রত হয়েছে। এমন ক্রাইসিস মুহূর্তে আমরা কথা বলেছি।
ব্যবসাক্ষেত্রে একটি সার্বজনীন সিদ্ধান্ত নিতে দীর্ঘ জার্নিতে সিপিডি শিখিয়েছে বলে মন্তব্য করে ব্যবসায়ী ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক কাজ যদি ভালো না হয় তাহলে কোনোভাবেই ব্যবসায় ভালো হবে না।
সিপিডি প্রধান পাঁচটি লক্ষ্য সামনে নিয়ে ৩০ বছর কাজ করেছে চলেছে বলে জানান গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির সম্মানীয় ফেলো প্রফেসর রওনক জাহান।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহানসহ বিভিন্ন খাতের শীর্ষস্থানীয়রা বক্তব্য রাখেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত