হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি হারুন ইজহার বলেছেন, ‘প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে যতটুকু সম্পর্ক থাকা দরকার ঠিক ততটুকুই আমরা রাখবো। তবে আধিপত্যবাদ মেনে নেব না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই- ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে না পারলে এদেশের দাসত্ব থেকে মুক্তি মিলবে না।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও রাজনীতিবিদদের ‘বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচার’ বন্ধের দাবিতে সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত গণজমায়েতে এসব কথা বলেন তিনি।
হারুন ইজহার বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী শক্তি শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশকে শুধু ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়নি, এর পিছনে মূল চালিকাশক্তি ছিল হিন্দুস্থানি আধিপত্যবাদ। তারা দেশের প্রত্যেকটা সেক্টরকে ধ্বংস করেছে। ফ্যাসিবাদী শক্তি এখনও ভারতে বসে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। প্রতিবিপ্লবের নেশায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করতে ‘ইসকন’ নামের সন্ত্রাসী সংগঠনকে তারা মাঠে নামিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদীরা সাধারণ হিন্দুদের অর্থের লোভ দেখিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। সাধারণ হিন্দুরা তাদের পাতানো ফাঁদে পা দেয়নি। পা দিয়েছে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন। যেভাবে তারা আইনজীবী আলিফকে হত্যা করেছে, তা পুরো দেশকে হতবাক করেছে। অবিলম্বে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে।’
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরীর সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম মহানগরের প্রচার সম্পাদক মাওলানা ইকবাল খলিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে হেফাজতে ইসলাম কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা নাসির উদ্দিন মনির, মাওলানা মীর ইদ্রিস, মাওলানা কামরুল ইসলাম কাসেমী, মাওলানা নুরুন্নবী, মাওলানা শহিদুল ইসলাম, মাওলানা কুতুব উদ্দিন, মাওলানা আসহাব উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও রাজনীতিবিদদের ‘বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার’ বন্ধের দাবিতে চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন অভিমুখে হেফাজতে ইসলামের যাত্রা, সমাবেশ ও স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি থাকলেও সিদ্ধান্ত বদলে এই গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। পরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দেন।
বিডি প্রতিদিন/এমএস