পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আদালতের রায় হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা না করার সুযোগ নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা দেশে তান্ডব চালিয়েছে। সেই তান্ডব মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আলেম-ওলামাদের মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে ছিলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ধৈর্য না ধরায়, দুর্বৃত্তরা এর সুযোগ নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের বলব, তোমরা যাতে কারও প্ররোচনায় না পড়, সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, দুর্বৃত্তরা অসৎ উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ব্যবহার করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করেছে। যা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি নাশকতার ঘটনার তদন্ত হবে, আমাদের কাছে ফুটেজও আছে। যারা হত্যাকান্ড, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত, তাদের প্রত্যেককে খুঁজে বের করা হবে এবং বিচারের আওতায় আনা হবে।
বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাইল হোসাইনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, মাওলানা শাহাদাত হোসাইন, মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী, মুফতি আব্দুল্লাহ, হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ, লক্ষ্মীপুরের পীর খাজা হারুনুর রশিদ মিরন প্রমুখ।