শিরোনাম
প্রকাশ: ০৮:৫৬, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ আপডেট:

প্রশ্ন ফাঁস চক্রের ভয়ঙ্কর ডনের আত্মকথা!

গোলাম মাওলা রনি
অনলাইন ভার্সন
প্রশ্ন ফাঁস চক্রের ভয়ঙ্কর ডনের আত্মকথা!

আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো ইতালীয় বংশোদ্ভূত বিশ্বখ্যাত মার্কিন লেখক মারিও পুজোর সাড়া জাগানো উপন্যাস ‘গডফাদার’ পড়ে থাকবেন। উপন্যাসের কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত সর্বকালের অন্যতম সেরা ‘গডফাদার’ চলচ্চিত্রটিও হয়তো কেউ কউ দেখেছেন। ১৯৪৫ থেকে ’৫৫ সালের মধ্যকার ঘটনা নিয়ে নিউইয়র্ক শহরের অপরাধ জগতের যে কাহিনী মারিও পুজো তার বইতে তুলে ধরেছেন তা তাবৎ দুনিয়ার অপরাধ জগতের জন্য একটি মাইলস্টোন হয়ে রয়েছে। চুপচাপ ভদ্রলোকের মতো অভিব্যক্তি নিয়ে সমাজের মধ্যে ঘাঁপটি মেরে থেকে কত বড় জঘন্য ও লোমহর্ষক অপরাধ ঘটানো সম্ভব তার একটি নিখুঁত চিত্র তুলে ধরা হয়েছে গডফাদার উপন্যাসটিতে।

বিংশ শতাব্দীর বিশ্ব অপরাধের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভয়ঙ্কর সব অপরাধীর জন্ম হয়েছে যাদের কুকর্মের রেশ সংশ্লিষ্ট দেশ-জাতি শত বছর ধরে বহন করে চলেছে। পাক-ভারতের গুন্ডারাজ ও কুখ্যাত অপরাধ জগতের ডন হাজী মাস্তানের উত্থান হয়েছিল সেই পঞ্চাশের দশকে যার হাত ধরে দাউদ ইবরাহিম, ছোটা শাকিল, ছোটা রাজন প্রমুখ ভয়ঙ্কর মাফিয়া ডন অদ্যাবধি এশিয়া-ইউরোপ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন জঘন্য সব অপরাধের ঝাণ্ডা তুলে। যাদের কিছুটা প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে বিভিন্ন সময়ে। আজকের নিবন্ধে আমি আমার নিজের কাহিনী বলতে গিয়ে দুনিয়া কাঁপানো ভয়ঙ্কর ডনদের কিছু ইতিবৃত্ত বর্ণনা করলাম এই কারণে যে, আমার কুকর্মগুলোর গুরুত্ব ও প্রভাব যাতে আপনারা সহজে অনুধাবন করতে পারেন।

আপনারা জেনে হয়তো অবাক হবেন, আমি আমার কুকর্মগুলোকে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে অমর করার জন্য বিশ্বের অপরাধ জগতের অতীত-বর্তমানের নানান চাঞ্চল্যকর ঘটনা নিয়ে রীতিমতো গবেষণা করেছি। খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি, মাদক পাচার, সোনা চোরাচালান, আন্তর্জাতিক মাদক ও মানব পাচারের লাভ-ক্ষতি, ঝুঁকি এবং সাড়া জাগানো সফলতা পর্যালোচনা করে আমার মনে হয়েছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের চেয়ে ভয়ঙ্কর, নিকৃষ্ট ও অমানবিক কোনো অপরাধ সমসাময়িক দুনিয়ায় নেই। এই কুকর্মের মাধ্যমে আমি আগামী হাজার হাজার বছর ধরে মানুষের অভিশাপের বিষয়বস্তু হিসেবে যেমন শয়তানের উচ্চতাকে ছাড়িয়ে যেতে পারব তেমনি দেশ-জাতির মেধা ও মননশীলতা এবং সৃষ্টিশীলতা ধ্বংসের মহানায়করূপে মারিও পুজোর গডফাদারের আব্বার মর্যাদায় ইতিহাসে আলকাতরার উজ্জ্বলতায় অমরত্ব লাভ করতে পারব।

আমি আমার কুকর্ম শুরু করার আগে খুব ভালো করে নিজেকে জানার চেষ্টা করেছিলাম। মহামতি সক্রেটিসের ‘নিজেকে জানো’ সূত্রের মূলমন্ত্র হলো— নিজের অন্তর্নিহিত যোগ্যতা, রুচি, বিবেক, বুদ্ধিমত্তা, পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও দক্ষতার সঙ্গে কর্মের সংযোগ থাকতে হবে। সক্রেটিসের সূত্র পর্যালোচনা করে আমি বুঝেছি, পচা, নোংরা ও দুর্গন্ধময় স্থানে আতর ছিটানো হলে যেমন লাভ হয় না তেমন পূতপবিত্র স্থানে কোনো নোংরা জীবাণু বাস করতে পারে না। আমাদের সমাজের বর্তমান চালচিত্র, মানুষের মন-মানসিকতা এবং সার্বিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে আমার মনে হয়েছে এখন বেশির ভাগ লোক প্রতিযোগিতা করতে চায় না। তারা ফাঁক-ফোকর খুঁজে ধাপ্পা মেরে সফল হতে চায়। তারা মুখে বড় বড় নীতিকথা বলে কিন্তু সুযোগ পেলে জঘন্য অপকর্মটি করে বসে। তারা পরের ধনে পোদ্দারি, অন্যের অনুগ্রহভাজন হয়ে পরগাছা কিংবা চাটুকার, দালাল ও আগাছা হিসেবে বেঁচে থাকাটাকে গৌরবের বিষয় বলে মনে করে। জাল-জালিয়াতি, ঘুষ-দুর্নীতি, পরধন ও পরনারী হরণকে তারা এক ধরনের সফলতা বলে কাণ্ডজ্ঞান করে। তারা মন্দ মানুষের সংসর্গ, মন্দ মাহফিলে হাজির ও মন্দ কাজে ব্যুৎপত্তি অর্জনের জন্য রীতিমতো হররোজ একজন অন্যজনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে।

বাংলাদেশের একশ্রেণির মানুষের উল্লিখিত অবক্ষয়ের কারণে যে কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি কিংবা অপরাধ রাতারাতি জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার বিচারে লোকজনের কাছে অতিদ্রুত সহনীয় হয়ে যায়। মানুষের এই নৈতিক অবক্ষয় পুঁজি করে দীর্ঘ মেয়াদে একটি রাজকীয় ব্যবসা করার জন্য আমি বহুদিন থেকে চিন্তাভাবনা করছিলাম। আমি এমন একটি দুই নম্বরি ধান্ধার কথা ভাবছিলাম যার মাধ্যমে আমি বংশপরম্পরায় শত শত কোটি অবৈধ টাকা যেমন আয় করতে পারব তেমন রাষ্ট্রশক্তির দুর্নীতিবাজ শ্রেণিটিকে জড়িয়ে দেশ-জাতিকে দীর্ঘ মেয়াদে রসাতলে নিয়ে যেতে পারব। মাদক, সোনা, নারী ও শিশু পাচারের জন্য যেমন দেশব্যাপী শক্তিশালী একটি নেটওয়ার্ক দরকার তেমন আমার ধান্ধার জন্যও তার চেয়ে অধিক শক্তিশালী, কার্যকর ও দক্ষ নেটওয়ার্ক দরকার পড়বে। তবে ওইসব ধান্ধায় যেমন ঝুঁকি থাকে তেমনটি আমারটিতে থাকবে না। বরং সবকিছু করার পরও কেউ আমার টিকিটি বা কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারবে না— উল্টো সবাই সব দায় রাষ্ট্রশক্তির ওপর চাপাবে। এসব দিক পর্যালোচনা করে আমার মনে হলো যে, জাতীয় পর্যায়ের সব পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করার চেয়ে লাভজনক, সুবিধাজনক ও নিরাপদ ধান্ধা দুনিয়ায় আর দ্বিতীয়টি নেই।

সব প্রতিযোগিতামূলক প্রশ্নপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত প্রতিযোগীর সংখ্যা গুণে শেষ করা যাবে না। পিইসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসিসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষায় প্রতি বছর কম করে হলেও এক কোটি আদম সন্তান অংশগ্রহণ করে। এর বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষায় বছরে এক থেকে দেড় কোটি ছেলেমেয়ে অংশগ্রহণ করে। এগুলো ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষায় বছরে প্রায় দেড় কোটি চাকরিপ্রার্থী অংশগ্রহণ করে। অর্থাৎ প্রতি বছর প্রায় চার কোটি হরেক রকম প্রশ্ন ছাপা হয়। সুতরাং আমি যদি মাত্র এক কোটি লোভী, স্বার্থপর, বিবেকহীন, চরিত্রহীন ও ধান্ধাবাজ অমানুষ প্রতিযোগীকে আমার নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে পারি তবে বিশাল এক বাণিজ্য সাম্রাজ্য গড়ে তোলা সম্ভব। আমি যদি প্রতি সেট প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য পাইকারি হারে মাত্র এক হাজার টাকা গ্রহণ করি তবে আমার বার্ষিক মুনাফার পরিমাণ দাঁড়াবে এক হাজার কোটি টাকা।

প্রশ্ন ফাঁসের জাল-জালিয়াতির উল্লিখিত অর্থযোগের হিসাব-নিকাশ করার পর লোভে আমার জিব লিক লিক করতে শুরু করল। আমি চিন্তা করলাম— খুব বেশি দক্ষতা, অতীব সতর্কতা এবং সর্বস্তরে বেইমান, মুনাফিক ও মীরজাফর প্রকৃতির এজেন্ট নিয়োগ করতে না পারলে আমার কর্মে সফলতা আসবে না। সুতরাং নিজেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের হোতা এবং আগামী দিনের ভয়ঙ্কর ডন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমি মহামতি সক্রেটিসের ‘নিজেকে চেনো’র সূত্র মোতাবেক কতগুলো আত্মসমালোচনা এবং আত্মজিজ্ঞাসার নীতি অনুসরণ করলাম। আমি জানি যে, প্রশ্ন ফাঁস জালে আটকিয়ে অধঃপতনের প্রান্তসীমায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অযোগ্যকে যোগ্য বানিয়ে এবং যোগ্যকে অযোগ্য বানিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে উল্টে দিয়ে স্বয়ং বিধাতার আইন রহিত করার দুঃসাহসিক ও অভিশপ্ত চ্যালেঞ্জটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব। পৃথিবীতে যত অঘটনঘটনপটীয়ান কাজ রয়েছে তার মধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁসই হলো আধুনিককালের সর্বনিকৃষ্ট প্রলয়ঙ্করী অঘটন। আমি প্রশ্ন ফাঁসের মতো জঘন্য একটি কাজ কোনো অনুশোচনা এবং অপরাধবোধ ছাড়াই নির্ভয়ে করতে পারব কিনা এমন প্রশ্নে নিজেকে জর্জরিত করলাম। আমার পাপী মন সদম্ভ উত্তর করল— ওরে হতভাগা! তুই পারবি না তো কে পারবে। পাপের সাগরে হাবুডুবু খেতে খেতে তোর জন্ম হয়েছে। আজীবন তুই পাপ পঙ্কিলতার মাঝে বেড়ে উঠেছিস। তুই যেমন তোর পিতৃপরিচয় জানিস না তেমন তোর মাও জানেন না কার ঔরসে তোর ভ্রূণ সৃষ্টি হয়েছিল। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদারদের রংমহলের নটীর গর্ভজাত সন্তান কী করে বলবে তার পিতা কি কোনো হানাদার সামরিক কর্তা নাকি তাদের দোসর কোনো রাজাকার অথবা আলবদর বাহিনীর কমান্ডার। আমার মনের চাঁছাছোলা উত্তরে আমি একটুও বিচলিত বা বিক্ষুব্ধ হলাম না— বরং মুহাহাহা শব্দে অট্টহাসিতে ফেটে পড়লাম। আমার মন পুনরায় বলল— ওরে নরকের কীট! তুই পারবি! এখন তোর মতো কয়েক শ জাহান্নামের কীটকে সহযোগী হিসেবে খুঁজে বের কর এবং দক্ষতার সঙ্গে কুকর্ম সাধনের জন্য বাস্তব অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ কর।

মনের পরামর্শমতো আমি পুরোদমে প্রশ্ন ফাঁস প্রকল্পে আত্মনিয়োগ করলাম। বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন ও প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য আমি উগান্ডার বিখ্যাত প্রশ্ন ফাঁস চক্রের হোতা ঘাম্বুসার কাছে চলে গেলাম। তিনি আমার মনের কথা শোনার পর আমাকে বিখ্যাত উগান্ডা ও তানজানিয়া সীমান্তের গভীর জঙ্গলের মধ্যে স্থাপিত একটি শুয়োরের খামারে ১৫ দিন বসবাস করার জন্য আমাকে নির্দেশ দিলেন। পরবর্তীতে তিনি রোজ পঞ্চাশ তলা সিঁড়ি বিশেষ নিয়মে ওঠানামা করার কাজ দিলেন। আমার গুরু ঘামু্বসার নির্দেশমতো আমি শুয়োরের সঙ্গে বসবাস করে এবং চোখ বুজে একসঙ্গে দুটো ধাপ অতিক্রম করে সিঁড়ি বেয়ে নামতে ও উঠতে শিখলাম। এরপর গুরু আমাকে কিছু নোংরা, পচা ও বীভৎস জিনিস খাওয়ার অভ্যাস করতে বললেন। প্রশিক্ষণ শেষে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, বল তো বৎস! এসব তোমায় কী যোগ্যতা দিয়েছে? আমি সদম্ভে বললাম— শুয়োরের সঙ্গে থেকে আমি আমার মন-অভিরুচি, ব্যক্তিত্ব ও চালচলনকে যথাসম্ভব নোংরা ও কদর্য করার যোগ্যতা অর্জন করেছি। দ্বিতীয়ত, সিঁড়িতে ওঠানামার মাধ্যমে আমি শরীর ও মনের ওপর এক ধরনের আধিপত্য কায়েম করেছি। তৃতীয়ত, অখাদ্য খেয়ে নিজের পেট-মাথা, মুখ-নাক, কান এবং পায়ুপথের চরিত্র, যোগ্যতা ও গুণাগুণ এক করে ফেলেছি।

আমার গুরু আমার প্রাথমিক প্রশিক্ষণ ও জবাবে ভারি খুশি হলেন। দ্বিতীয় ধাপে তিনি আমার কর্মের সফলতার পূর্বশর্ত হিসেবে কুকুর্মের সঙ্গী-সাথী নির্বাচন, আর্থিক লেনদেন এবং বড় বড় স্পর্শকাতর কেন্দ্রে মোটা অঙ্কের ঘুষ প্রদানের বাহারি কৌশল শেখাতে আরম্ভ করলেন। তিনি বললেন, ওহে বৎস! তোমার চেহারার শয়তানি ছলচাতুরী এবং কথাবার্তার নমুনা দেখে মনে হচ্ছে হারামিপনায় তুমি বিশ্বরেকর্ড অর্জনের ক্ষমতা রাখো। কিন্তু মনে রেখো, তুমি যদি তোমার কুকর্মের জন্য উপযুক্ত সঙ্গী-সাথী, হোতা ও পৃষ্ঠপোষক নির্বাচন করতে না পারো তবে মাঠে মারা যাবে। এ কাজ করার জন্য সবার আগে তোমার দুটি যোগ্যতা লাগবে। প্রথমত, মানুষ চেনার ক্ষমতা এবং দ্বিতীয়ত, নির্ধারিত মানুষকে ছলেবলে কৌশলে আপন কর্মের সঙ্গে সংযুক্ত করা। এরপর তুমি তোমার অর্জিত অর্থকে নিখুঁতভাবে তোমার সঙ্গী-সাথীদের মধ্যে বণ্টন করে দেবে এবং দিন দিন তাদের লোভ ও লালসাকে বাড়াতে বাড়াতে গগনচুম্বী বানিয়ে ফেলবে।

গুরু ঘাম্বুসা আরও বললেন, মানুষের কিছু শারীরিক বৈশিষ্ট্য ও আচরণগত দিক রয়েছে যার মাধ্যমে তুমি সহজেই লোভী, চরিত্রহীন, নীতি ও কাণ্ডজ্ঞানহীন নিষ্ঠুর প্রজাতির মানুষকে খুঁজে বের করতে পারবে। এরপর তুমি অর্থ, মদ ও যৌনতা দ্বারা তাদের লোভ-লালসা, কামনা-বাসনার পরিধি যাচাই-বাছাই করবে। তৃতীয় ধাপে তুমি তাদের পারিবারিক ঝামেলা ও চাহিদা জন্মবৃত্তান্ত ও মন-মানসিকতা তোমার সঙ্গে মেলানোর চেষ্টা করবে। সবকিছু ঠিকঠাকমতো পেলে কোনো এক শুভক্ষণে শয়তানকে সাক্ষী মেনে নির্ধারিত সঙ্গী-সাথীকে দোস্ত বানিয়ে নাও এবং আপন কর্মে সর্বশক্তি নিয়োগ করে নেমে পড়বা। মনে রাখবা— পরিকল্পনামতো এগোতে পারলে সফলতার নিশ্চয়তা শতভাগ। প্রশিক্ষণের এই পর্যায়ে গুরু আমাকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের জটিল প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য হাতে-কলামে শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে উগান্ডার সরকারি দফতরগুলোয় নিয়ে গেলেন। তিনি আমাকে যেসব লোকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন এবং সেসব লোকের কাছ থেকে যা শ্রবণ করলাম তাতে মনে হলো লোকগুলো হয়তো আমার অনেক আগেই শুয়োরের খামারে কয়েক বছর রাতযাপন করে এসেছে।

গুরু ঘাম্বুসার কাছ থেকে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করে আমি কর্মযজ্ঞ শুরু করে দিলাম এবং অতি অল্পকালের মধ্যে ব্যাপক সফলতা অর্জন করলাম। আজ আমার অর্থকড়ি, প্রভাব-প্রতিপত্তি ও ক্ষমতা দেখে দেশের অন্যান্য সেক্টরের কুকর্মের ডনেরা সকাল-সন্ধ্যায় আমার পদচুম্বন করে আমার শিষ্য হওয়ার জন্য আবেদন-নিবেদন করতে থাকে। দেশের অন্যান্য কেলেঙ্কারির হোতারা আমার সাফল্যে রীতিমতো বিস্মিত, অভিভূত ও বিমোহিত। কারণ আমার সফলতা ও ফল ভোগের কাহিনী রূপকথার সেই প্রবাদবাক্য— খায় দায় চিকন আলী মোটা হয় রমজানের মতো। অর্থাৎ কর্ম করি আমি আর দায়ী হয় অন্যজন। আমার কুকর্মের নেটওয়ার্কে আমি মহাশক্তিশালী এক রাজাধিরাজ। আমার হুকুম, আমার ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে এমন কোনো শক্তি বিগত দিনে হয়নি। অন্যদিকে, আমার পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে এমন কাউকে আমি আস্ত রাখি না। অথচ এত কিছুর পরও কেউ আমার টিকিটি স্পর্শ করা দূরের কথা, আমার কেশাগ্রও স্পর্শ করতে পারে না।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে লোকজনের বুদ্ধিশুদ্ধি কোন স্তরে নেমে গেছে তা অনুধাবন করার জন্য আপনার খুব বেশি দূর যাওয়ার দরকার নেই। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আপনি আপনার নিজস্ব বোধবুদ্ধি, সহ্য করার অবর্ণনীয় ক্ষমতা, দেখেও না দেখার ভান করার অভিনব কৌশল ও প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব দ্বারাই পরিস্থিতি অনুমান করতে পারবেন। আমি যদি প্রশ্ন করি, আচ্ছা বলুন তো! কেন কেউ আমার কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারে না? এবার আপনি মনে মনে চিন্তা করুন কী উত্তর দেবেন? আমি শতভাগ নিশ্চিত, পরিস্থিতির চাপে আপনার বুদ্ধিনাশ ঘটেছে। ফলে সঠিক উত্তরটি দিতে পারবেন না। এবার আমার মুখ থেকে সঠিক জবাবটি জেনে নিন। ‘কেউ আপনার কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারে না কারণ আমার মাথায় যে কোনো কেশই নেই।’ এবার বুঝলেন তো, কত বড় ফাটকির (ভ্রান্তি) মধ্যে রয়েছেন!

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য ও কলামিস্ট।

বিডি-প্রতিদিন/২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর
নেপাল-শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের মিল-অমিলের পোস্টমর্টেম
নেপাল-শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের মিল-অমিলের পোস্টমর্টেম
খাদ্যসংকটের এদিক-ওদিক
খাদ্যসংকটের এদিক-ওদিক
শিক্ষা ও সংস্কৃতিচর্চা শত্রু নয়
শিক্ষা ও সংস্কৃতিচর্চা শত্রু নয়
ডাকসু : কেন এমন হলো
ডাকসু : কেন এমন হলো
বাংলাদেশ অর্থনীতি: উন্নয়নের যাত্রায় টেকসই সমৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশ অর্থনীতি: উন্নয়নের যাত্রায় টেকসই সমৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ
আত্মহত্যা প্রতিরোধে নিতে হবে মনের যত্ন
আত্মহত্যা প্রতিরোধে নিতে হবে মনের যত্ন
মব ও গুজব রোধে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা সেনাবাহিনীর
মব ও গুজব রোধে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা সেনাবাহিনীর
প্রধান উপদেষ্টার একটি বড় অর্জন
প্রধান উপদেষ্টার একটি বড় অর্জন
হাসিনাকে পুশইন করুক দিল্লি
হাসিনাকে পুশইন করুক দিল্লি
নির্বাচন হোক ফেব্রুয়ারিতেই
নির্বাচন হোক ফেব্রুয়ারিতেই
গুজব সন্ত্রাসের শেষ কোথায়?
গুজব সন্ত্রাসের শেষ কোথায়?
ব্যাংকে গ্রাহকদের অর্থ প্রদানে ভোগান্তি কাম্য নয়
ব্যাংকে গ্রাহকদের অর্থ প্রদানে ভোগান্তি কাম্য নয়
সর্বশেষ খবর
চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু
চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

মানুষের জন্ম হয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য : প্রধান উপদেষ্টা
মানুষের জন্ম হয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য : প্রধান উপদেষ্টা

৫ মিনিট আগে | জাতীয়

বরগুনায় ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ১৪
বরগুনায় ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ১৪

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মেহেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
মেহেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নাইজেরিয়ায় ১৮ নারী-শিশুকে অপহরণ
নাইজেরিয়ায় ১৮ নারী-শিশুকে অপহরণ

১৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাঙ্গায় অবরোধের নেতৃত্ব দেওয়া প্রধান সমন্বয়ক আটক
ভাঙ্গায় অবরোধের নেতৃত্ব দেওয়া প্রধান সমন্বয়ক আটক

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাগেরহাটে চার আসন বহালের দাবিতে বিএনপি-জামায়াতের অবস্থান ধর্মঘট
বাগেরহাটে চার আসন বহালের দাবিতে বিএনপি-জামায়াতের অবস্থান ধর্মঘট

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিক্ষোভের চারদিন পর কাঠমান্ডুর সুপারস্টোরে মিলল ছয় দগ্ধ লাশ
বিক্ষোভের চারদিন পর কাঠমান্ডুর সুপারস্টোরে মিলল ছয় দগ্ধ লাশ

২৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ঋণের দায়ে’ স্ত্রী-সন্তানদের হত্যার পর আত্মহত্যা: লাখ টাকা ধার করে চল্লিশা করলো পরিবার
‘ঋণের দায়ে’ স্ত্রী-সন্তানদের হত্যার পর আত্মহত্যা: লাখ টাকা ধার করে চল্লিশা করলো পরিবার

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গোপালগঞ্জে যুবকের লাশ উদ্ধার
গোপালগঞ্জে যুবকের লাশ উদ্ধার

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পরিবেশ দূষণ আর না, নদী দূষণ আর না— পঞ্চগড়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের মানববন্ধন
পরিবেশ দূষণ আর না, নদী দূষণ আর না— পঞ্চগড়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের মানববন্ধন

৫৪ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

নেত্রকোনার স্পিডবোটডুবি: দুই শিশুসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার
নেত্রকোনার স্পিডবোটডুবি: দুই শিশুসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কুয়েতে ভারতের নতুন রাষ্ট্রদূত পারমিতা ত্রিপাঠী
কুয়েতে ভারতের নতুন রাষ্ট্রদূত পারমিতা ত্রিপাঠী

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

ডাবের পানি থেকে পংসাকর্নের ৭০ কোটি ডলারের ব্র্যান্ড
ডাবের পানি থেকে পংসাকর্নের ৭০ কোটি ডলারের ব্র্যান্ড

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ফরিদপুরে আজকের মধ্যে রাস্তা না ছাড়লে আইন প্রয়োগ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফরিদপুরে আজকের মধ্যে রাস্তা না ছাড়লে আইন প্রয়োগ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জিম্মি মুক্তিতে একমাত্র বাধা নেতানিয়াহু, ভুক্তভোগীদের পরিবার
জিম্মি মুক্তিতে একমাত্র বাধা নেতানিয়াহু, ভুক্তভোগীদের পরিবার

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংকার থেকে জেল, বিচ্ছেদ পেরিয়ে এবার রাষ্ট্রক্ষমতার দৌড়ে ‘লৌহমানবী’
বাংকার থেকে জেল, বিচ্ছেদ পেরিয়ে এবার রাষ্ট্রক্ষমতার দৌড়ে ‘লৌহমানবী’

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে গাজার পথে ছুটল জাহাজগুলো
ইসরায়েলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে গাজার পথে ছুটল জাহাজগুলো

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চুয়াডাঙ্গায় নতুন পুলিশ সুপার বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন
চুয়াডাঙ্গায় নতুন পুলিশ সুপার বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৫ টন চাল, ৬০০ কেজি পেঁয়াজ, এক কড়াইয়ে রেকর্ড রান্না
৫ টন চাল, ৬০০ কেজি পেঁয়াজ, এক কড়াইয়ে রেকর্ড রান্না

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

মেয়েকে কলেজে দিয়ে ফেরার পথে প্রাণ গেল বাবার
মেয়েকে কলেজে দিয়ে ফেরার পথে প্রাণ গেল বাবার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্যারিস্টার ফুয়াদরা জানেন না কোথায় থামতে হবে : হামিম
ব্যারিস্টার ফুয়াদরা জানেন না কোথায় থামতে হবে : হামিম

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ডাকসুর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত, সিনেট সদস্য হচ্ছেন ৫ ছাত্র প্রতিনিধি
ডাকসুর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত, সিনেট সদস্য হচ্ছেন ৫ ছাত্র প্রতিনিধি

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সৌদি, তুরস্ক ও ইরাকের জন্যও অপেক্ষা করছে ইসরায়েলি বোমা: সাবেক আইআরজিসি প্রধান
সৌদি, তুরস্ক ও ইরাকের জন্যও অপেক্ষা করছে ইসরায়েলি বোমা: সাবেক আইআরজিসি প্রধান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৬ বিভাগে অতিভারি বর্ষণের আভাস, পাহাড়ধসের শঙ্কা
৬ বিভাগে অতিভারি বর্ষণের আভাস, পাহাড়ধসের শঙ্কা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফরিদপুরে রেল-সড়কপথ অবরোধ, আটকে গেছে ঢাকাগামী ট্রেন
ফরিদপুরে রেল-সড়কপথ অবরোধ, আটকে গেছে ঢাকাগামী ট্রেন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সরকার পরিবর্তনের ডাক দিয়ে যুক্তরাজ্যে নতুন ভোটের আহ্বান মাস্কের
সরকার পরিবর্তনের ডাক দিয়ে যুক্তরাজ্যে নতুন ভোটের আহ্বান মাস্কের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে পাকিস্তানি বাহিনীর অভিযান, টিটিপির ৩৫ সদস্য নিহত
আফগান সীমান্তে পাকিস্তানি বাহিনীর অভিযান, টিটিপির ৩৫ সদস্য নিহত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে এক সপ্তাহে ২১ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার
সৌদিতে এক সপ্তাহে ২১ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেক্সিকোয় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৫
মেক্সিকোয় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৫

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
সরকারি চাকরিজীবীরা টানা ৩ দিনের ছুটি পাচ্ছেন
সরকারি চাকরিজীবীরা টানা ৩ দিনের ছুটি পাচ্ছেন

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাকসুর ভিপি জিতু, জিএস মাজহারুল ও এজিএস ফেরদৌস
জাকসুর ভিপি জিতু, জিএস মাজহারুল ও এজিএস ফেরদৌস

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দুর্গাপূজায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টানা ১২ দিন ছুটি
দুর্গাপূজায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টানা ১২ দিন ছুটি

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি কে এই জিতু?
জাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি কে এই জিতু?

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জাকসু নির্বাচন কমিশনের আরেক সদস্য অধ্যাপক স্নিগ্ধার পদত্যাগ
জাকসু নির্বাচন কমিশনের আরেক সদস্য অধ্যাপক স্নিগ্ধার পদত্যাগ

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জাবির হল সংসদগুলোতে নির্বাচিত হলেন যারা
জাবির হল সংসদগুলোতে নির্বাচিত হলেন যারা

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এবার মিসরে হামলার পরিকল্পনা ইসরায়েলের, দাবি রিপোর্টে
এবার মিসরে হামলার পরিকল্পনা ইসরায়েলের, দাবি রিপোর্টে

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতারে হামলায় সৌদির আকাশপথ ব্যবহার করে ইসরায়েল, দাবি রিপোর্টে
কাতারে হামলায় সৌদির আকাশপথ ব্যবহার করে ইসরায়েল, দাবি রিপোর্টে

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাকসু নির্বাচনে ২৫ পদে জয়ী হলেন যারা
জাকসু নির্বাচনে ২৫ পদে জয়ী হলেন যারা

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ছেলের হাতেই খুন হন ইসলামি বক্তা আমিনুল হক নোমানী
ছেলের হাতেই খুন হন ইসলামি বক্তা আমিনুল হক নোমানী

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেই ফারিয়াসহ তিনজন কারাগারে
সেই ফারিয়াসহ তিনজন কারাগারে

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা চলছে
জাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা চলছে

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কাতারে হামাস নেতাদের হত্যায় স্থল অভিযান চালাতে অস্বীকৃতি জানায় মোসাদ
কাতারে হামাস নেতাদের হত্যায় স্থল অভিযান চালাতে অস্বীকৃতি জানায় মোসাদ

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট কারচুপি প্রমাণ করতে পারলে পদত্যাগ করবো: জাকসু প্রধান নির্বাচন কমিশনার
ভোট কারচুপি প্রমাণ করতে পারলে পদত্যাগ করবো: জাকসু প্রধান নির্বাচন কমিশনার

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সহকারী শিক্ষকদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা
সহকারী শিক্ষকদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বরেণ্য লোকসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই
বরেণ্য লোকসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গেরিলা প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি আওয়ামী লীগ নেতার
গেরিলা প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি আওয়ামী লীগ নেতার

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অক্টোবরের শুরুতেই চার দিনের সরকারি ছুটি
অক্টোবরের শুরুতেই চার দিনের সরকারি ছুটি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লংকানদের বিপক্ষে টাইগারদের সম্ভাব্য একাদশ
লংকানদের বিপক্ষে টাইগারদের সম্ভাব্য একাদশ

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কাতারে জরুরি সম্মেলনে বসছে ইসলামিক দেশগুলো
কাতারে জরুরি সম্মেলনে বসছে ইসলামিক দেশগুলো

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাই, দুই ছিনতাইকারী জীবিত নেই
অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাই, দুই ছিনতাইকারী জীবিত নেই

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, এ নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের কোনো সংশয় নেই’
‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, এ নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের কোনো সংশয় নেই’

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ম্যাচ হারা নিয়ে যা বললেন লিটন
ম্যাচ হারা নিয়ে যা বললেন লিটন

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যে কারণে রাশিয়ার ওপর বড় নিষেধাজ্ঞা দিতে পারছেন না ট্রাম্প
যে কারণে রাশিয়ার ওপর বড় নিষেধাজ্ঞা দিতে পারছেন না ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের আগে দেশের মানুষ ইলিশ খাবে: মৎস্য উপদেষ্টা
ভারতের আগে দেশের মানুষ ইলিশ খাবে: মৎস্য উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টি-টোয়েন্টিতে ৩০৪ রান করে যে ১৫ রেকর্ড গড়লো ইংল্যান্ড
টি-টোয়েন্টিতে ৩০৪ রান করে যে ১৫ রেকর্ড গড়লো ইংল্যান্ড

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুশীলা কার্কি দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনে শান্ত হতে শুরু করেছে নেপাল
সুশীলা কার্কি দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনে শান্ত হতে শুরু করেছে নেপাল

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মণিপুর গিয়ে যে বার্তা দিলেন মোদি
মণিপুর গিয়ে যে বার্তা দিলেন মোদি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লন্ডনে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হামলার চেষ্টা, সরকারের তীব্র নিন্দা
লন্ডনে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হামলার চেষ্টা, সরকারের তীব্র নিন্দা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ, এবার ফলাফলের অপেক্ষা
জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ, এবার ফলাফলের অপেক্ষা

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রিন্ট সর্বাধিক
চীন-ভারতের হারানো পোশাকের ক্রয়াদেশ আসছে বাংলাদেশে
চীন-ভারতের হারানো পোশাকের ক্রয়াদেশ আসছে বাংলাদেশে

পেছনের পৃষ্ঠা

ঐক্য চেষ্টা ব্যর্থ, শঙ্কা নির্বাচনে
ঐক্য চেষ্টা ব্যর্থ, শঙ্কা নির্বাচনে

প্রথম পৃষ্ঠা

জাকসুও শিবিরের দখলে
জাকসুও শিবিরের দখলে

প্রথম পৃষ্ঠা

আকাশছোঁয়া দাম শিশুখাদ্যের
আকাশছোঁয়া দাম শিশুখাদ্যের

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ‘মহারণ’ আজ
ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ‘মহারণ’ আজ

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী পাঁচ জামায়াত-এনসিপির একক
বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী পাঁচ জামায়াত-এনসিপির একক

নগর জীবন

দায়িত্ব নিয়েই ভোটের তারিখ দিলেন সুশীলা
দায়িত্ব নিয়েই ভোটের তারিখ দিলেন সুশীলা

প্রথম পৃষ্ঠা

শাবানা বললেন শিগগিরই দেশে আসব
শাবানা বললেন শিগগিরই দেশে আসব

শোবিজ

বাগেরহাটে সব সরকারি অফিস ঘেরাও আজ
বাগেরহাটে সব সরকারি অফিস ঘেরাও আজ

পেছনের পৃষ্ঠা

ডাকসুতে ভরাডুবি নিয়ে হতাশা এনসিপির
ডাকসুতে ভরাডুবি নিয়ে হতাশা এনসিপির

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রেমে প্রতারিত হয়ে ভারতে ফিরে গেলেন তরুণী
প্রেমে প্রতারিত হয়ে ভারতে ফিরে গেলেন তরুণী

পেছনের পৃষ্ঠা

লন্ডনে তথ্য উপদেষ্টার ওপর হামলা
লন্ডনে তথ্য উপদেষ্টার ওপর হামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতির কারণে নেপাল বিপদে
পিআর পদ্ধতির কারণে নেপাল বিপদে

প্রথম পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা কিংস মোহামেডান একই গ্রুপে
বসুন্ধরা কিংস মোহামেডান একই গ্রুপে

মাঠে ময়দানে

মনোনয়ন দৌড়ে বিএনপির তিন নেতা জামায়াতসহ অন্যদের একক প্রার্থী
মনোনয়ন দৌড়ে বিএনপির তিন নেতা জামায়াতসহ অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

৫২ দিন পর বাড়ি ফিরল হাফসা ও রাইয়ান
৫২ দিন পর বাড়ি ফিরল হাফসা ও রাইয়ান

পেছনের পৃষ্ঠা

নেপালের প্রধানমন্ত্রীর স্বামী বিমান ছিনতাই করেছিলেন
নেপালের প্রধানমন্ত্রীর স্বামী বিমান ছিনতাই করেছিলেন

পেছনের পৃষ্ঠা

দুর্নীতিই ছিল সাধনের নীতি
দুর্নীতিই ছিল সাধনের নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

কানাডায় দৈনিক আত্মহত্যাকারীর সংখ্যা ১২
কানাডায় দৈনিক আত্মহত্যাকারীর সংখ্যা ১২

পেছনের পৃষ্ঠা

ট্রাম্পের সঙ্গে নৈশভোজ কাতার প্রধানমন্ত্রীর
ট্রাম্পের সঙ্গে নৈশভোজ কাতার প্রধানমন্ত্রীর

পেছনের পৃষ্ঠা

৪৮ ঘণ্টার নাটকীয়তা কেন এ বিলম্ব?
৪৮ ঘণ্টার নাটকীয়তা কেন এ বিলম্ব?

প্রথম পৃষ্ঠা

অনিয়মের অভিযোগ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে
অনিয়মের অভিযোগ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে

দেশগ্রাম

এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পেছানোর দাবি
এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পেছানোর দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতিতে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস
ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতিতে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই সনদকে স্বীকৃতি দিয়েই নির্বাচন দিতে হবে : মামুনুল হক
জুলাই সনদকে স্বীকৃতি দিয়েই নির্বাচন দিতে হবে : মামুনুল হক

খবর

সাংবাদিক জাকারিয়ার পিতার দাফন
সাংবাদিক জাকারিয়ার পিতার দাফন

খবর

ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য ধরে রাখা জরুরি
ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য ধরে রাখা জরুরি

প্রথম পৃষ্ঠা

সারসংকট
সারসংকট

সম্পাদকীয়

পরিবর্তনের জন্য নির্বাচন প্রয়োজন কিন্তু যথেষ্ট নয়
পরিবর্তনের জন্য নির্বাচন প্রয়োজন কিন্তু যথেষ্ট নয়

প্রথম পৃষ্ঠা