বড় হচ্ছে প্রতিনিয়ত আমাদের দেশে ফ্রিজের বাজার। বর্তমানে দেশে বাৎসরিক ফ্রিজের বাজার প্রায় ২৫ লাখ। আমাদের দেশে বিক্রয়কৃত ফ্রিজের প্রায় ৯৫ শতাংশের অধিক দেশে উৎপাদিত হয় এবং সামান্য পরিমাণ ফ্রিজ আমদানির মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। আমরা বাজার চাহিদার প্রায় ২৫ শতাংশের অধিক বিক্রয়ের মাধ্যমে বৃহৎ স্থান দখল করে আছি। দেশের সর্বত্র কনকা, গ্রি ও হাইকো ব্র্যান্ড ফ্রিজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে সিটি করপোরেশন ও জেলা শহরে কনকা, গ্রি ও হাইকো ব্র্যান্ড ফ্রিজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি কারণ পণ্যের গুণগত মান, দীর্ঘ স্থায়িত্ব এবং সাশ্রয়ী মূল্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্ব ও নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলে শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা ও থানার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিনিয়ত ইলেকট্র্রনিক্স পণ্য ফ্রিজের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাহিদার কথা মাথায় রেখে মানসম্পন্ন ফ্রিজ ক্রেতাদের সরবরাহ করাই আমাদের লক্ষ্য। কনকা ফ্রিজের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় একে এনে দিয়েছে বাজার খ্যাতি ও বিশেষ সুনাম। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে আমরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তির সংযোজন করে আসছি। চাহিদা সমন্বয় করে মানসম্মত ও আন্তর্জাতিক মানের পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে সরবরাহ করে যাচ্ছি। কনকা ফ্রিজে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বিশেষ প্রযুক্তি যেমন- হিউমিডিটি কনট্রোলার, এন্টিফাঙ্গাল ডোর গ্যাসকেট, ডিজিটাল ডিসপ্লে, ইনভার্টার টেকনোলজি, ব্লু জোন অ্যান্ড ভিটামিন ফ্রেশ টেকনোলজি ও অ্যাক্টিভ কার্বন ডিফেডোরাইজার। পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখতে আমরা প্রতিনিয়ত চায়না এবং বাংলাদেশি যৌথ গবেষণা কার্যক্রম। পরিচালনা করে উন্নত ও নতুন প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ফ্রিজ সরবরাহের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। দেশের অর্থনীতিতে ইলেকট্রনিক্স শিল্পের অবদান ব্যাপক। সরকারের শিল্পবান্ধব নীতি গ্রহণের ফলে আগামীতে অর্থনীতিতে এই শিল্পের অবদান অনেক বৃদ্ধি পাবে বলে আমরা আশাবাদী। ব্যবসাকে এগিয়ে নিতে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। দেশে এখন অনেক রেফ্রিজারেটর তৈরির কারখানা স্থাপিত হয়েছে এবং সরকার প্রতিবছর বাজেটে এই খাতে পরিবর্তন আনছে, ফলে দীর্ঘ মেয়াদি সিদ্ধান্ত গ্রহণে চ্যালেঞ্জ নিতে হয়। ফ্রিজ শিল্পখাতে ইলেকট্রো মার্টের উৎপাদন ও বিক্রির দিক থেকে বৃহৎ স্থান দখল করে আছে। কনকা ফ্রিজ দেশে বর্তমান চাহিদার প্রায় ২৫ শতাংশ সরবরাহ করছে।
বর্তমানে সরকারের নীতি ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট অনুকূল বলেই আমরা বিশ্বাস করি। ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভ্যাট ছাড় আছে। তবে আমরা কারখানা করলাম মাত্র ২০১৮ সালে। ফলে আমাদের আবেদন, সরকার যেন তা আরও ১০ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। শিল্পের জন্য সরকারের নীতির ধারাবাহিকতা ও দীর্ঘ স্থায়িত্ব থাকা দরকার। এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হবেন। কারণ তারা দীর্ঘ মেয়াদে পরিকল্পনা করেন। এখানে চীনের উদাহরণ দেওয়া যায়। একসময় অনেক বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছে দেশটি। বিভিন্ন কারণে বর্তমানে বিনিয়োগকারীরা চীন থেকে সরে আসার চিন্তা করছেন। বাংলাদেশের ব্যাপারে তাঁরা আগ্রহী। বাংলাদেশ যথাযথ নীতির ধারাবাহিকতা থাকলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আসবেন। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, বেনিফিটটা যেন স্থায়ী ভিত্তিতে দেয়। হাজার কোটি টাকার একটি বিনিয়োগ প্রকল্পে রিটার্ন পাওয়ার নিশ্চয়তা সবাই চায়। সরকার এ সুবিধাটা ২০৩০ সাল পর্যন্ত দিলে এ খাতে বিপুল বিনিয়োগ সম্ভব। কারণ শ্রমিক সংকটের কারণে চীনসহ ইউরোপের দেশগুলো এসব শিল্পে সুবিধা করতে পারছে না। ফলে এ সুবিধাটা নেওয়ার সুযোগ আমাদের রয়েছে।