করোনায় নাজুক অবস্থায় নিপতিত ‘অবৈধ-অভিবাসী’দের বাসায় খাদ্য-সামগ্রী পৌঁছে দিতে নিউইয়র্কে কাজ করছে ‘কোভিড-১৯ কমিউনিটি ফুড ড্রাইভ’ নামক একটি সংস্থা। অনলাইনে তহবিল সংগ্রহের ঘোষণার পাশাপাশি যারা নিতান্তই অভাবে পড়েছেন, তাদের তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এভাবে সংগৃহীত অর্থে নিত্য-প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয়ের পর তা প্যাকেট করা হয়। ২ মে থেকে এগুলো ঐসব প্রবাসীর বাসার সামনে রেখে আসা হবে।
ইতিমধ্যেই ফোবানা, মুনা, জেবিবিএসহ বেশ কটি সংগঠনের পক্ষ থেকে একইধরনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে নিউইয়র্কসহ বাংলাদেশি অধ্যুষিত বিভিন্ন সিটিতে। তবে ‘কোভিড-১৯ কমিউনিটি ফুড ড্রাইভ’র সাথে যুক্ত সকলেই নিজ পকেটের অর্থে তহবিল গড়েছেন এবং অনলাইনের আহবানে যারা সাড়া দিচ্ছেন তাদের সকলের নামই কৃতজ্ঞতায় উল্লেখ করা হচ্ছে খাদ্য-সামগ্রী বিতরণের সময়। অর্থাৎ যারা এগুলো পাচ্ছেন তাদের তালিকা যেমন থাকবে, তেমনিভাবে যারা অর্থ-সহায়তা দিচ্ছেন তাদের তালিকাও করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, করোনা-স্টিমুলাসের মাধ্যমে বৈধ অভিবাসীসহ সিটিজেনরা ইতিমধ্যেই নির্দিষ্ট পরিমাণের নগদ অর্থ পেয়েছেন। বেকার ভাতাও পাচ্ছেন তারা। কিন্তু কাগজপত্রহীনরা এখন পর্যন্ত কিছুই পাননি। কাজ করলেই বেতন পেতেন তারা। কাজ নেই, আয়-উপার্জনও নেই। এমন প্রবাসীদের টার্গেট করেই মাঠে নেমেছে ‘কোভিড-১৯ কমিউনিটি ফুড ড্রাইভ’।
এই উদ্যোগে রয়েছেন ইউএস আর্মির হিউম্যান রাইটস স্পেশালিস্ট এবং সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার শেখ আল আমিন, নিউইয়র্ক স্টেট এ্যাসেম্বলী ডিস্টিক্ট-৩৪ এ ডেমক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন দৌড়ে অবতীর্ণ জয় চৌধুরী, বাংলাদেশ সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মনিকা রায় চৌধুরী, রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ফারুক হোসেন মজুমদার, নিউ আমেরিকান ইয়ুথ ফোরামের প্রেসিডেন্ট আহনাফ আলম, কমিউনিটি এ্যাক্টিভিস্ট আমিন মেহদী, শামসুদ্দোহা সাগর, মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, শাহনেওয়াজ, কাজী ফৌজিয়া, মৌমিতা আহমেদ, রিমা বেগম, সালাম ভূইয়া, আবু নাসের, সোলায়মান প্রমুখ।
এদিকে, ফোবানার পক্ষ থেকে দুর্দশাগ্রস্থ প্রবাসীদের বাসায় খাদ্য-সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার তৃতীয় দিনের কর্মসূচিতে নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলীন ও কুইন্সে ব্যস্ত ছিলেন ফোবানার ভাইস চেয়ারম্যান জাকারিয়া চৌধুরী। এদিনও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের বাসায় বিপুল পরিমাণের খাদ্য-সামগ্রি পৌঁছানো হয়।
উল্লেখ্য, ১৯ মার্চ থেকেই নিউইয়র্কে লকডাউন। অনেকেই আক্রান্ত। অনেকের বাসায় এমন কেউ নেই যে দোকান থেকে গ্রোসারি-সামগ্রী ক্রয় করবেন। এমনি পরিস্থিতিতে ফোবানার এই উদ্যোগ ইতিমধ্যেই প্রবাসীদের দৃষ্টি কেড়েছে।
এদিকে ‘ইন্ডিয়া হোমস’র পক্ষ থেকেও বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার প্রবীন প্রবাসীদের মাঝে করোনার শুরু থেকেই খাদ্য-সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতিদিন দেড় শতাধিক প্যাকেট তারা বিতরণ করছেন বলে জানান এই সংস্থার প্রোগ্রাম ডিরেক্টর সিলভিয়া শিকদার।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ