শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ আপডেট: ০০:১৫, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

লালনের একতারা ও শালপাতার দর্শন

ড. যাকিয়া সুমি সেতু
প্রিন্ট ভার্সন
লালনের একতারা ও শালপাতার দর্শন

মহাত্মা শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ভাষা থেকে। মহা অর্থ মহান এবং আত্মা অর্থ আত্মিক সত্তা বা অন্তর্নিহিত শক্তি। মহাত্মা শব্দের আক্ষরিক অর্থ মহান আত্মা যা শুধু আধ্যাত্মিক পূর্ণতা নয়, বরং নৈতিক স্বতন্ত্র সত্তা, মানবিক অরণ্যচার, স্বচ্ছ প্রকৃতির সরলতা এবং সিদ্ধির অন্তরাত্মার উচ্চতারও প্রতীক। লালনের চৈতন্যসত্তা, মহাত্মবোধ, একতারার সুরে আধ্যাত্মসত্তা নিয়ে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কালীগঙ্গার তীরে ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়ি চত্বরে কাঁচা শালপাতার মতো, যার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে গভীর মরমি আধ্যাত্মিক ব্যঞ্জনা, নিগূঢ় প্রাণসত্তা ও সত্যের অর্থ সন্ধান। সেই বিশ্লেষণে মহাত্মা লালন একজন মহান ব্যক্তিত্ব, যিনি আত্মিক জ্ঞান, মানবীয়তাবোধ, পার্থিব সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে সর্বজনীন সত্য হয়ে আছেন দুবাংলায়, গঙ্গা-পদ্মার মতো। আর এ ধারার বিশ্বমানবের প্রশ্বস্ত আঁধারে লোকায়তিক অনুভূমিতে, আত্মতত্ত্বজ্ঞ হয়েছেন লালন। লালনের জ্ঞান সঞ্চয়, বাউল ভূখন্ডে তাঁর উদাস সুর, বৃষ্টির শব্দের মতো, একান্ত আবেগে আন্দোলিত। ফলে লালনবিশ্ব সর্বাত্মক রেনেসাঁয় বাউলকে আন্তর্জাতিক চেতনায় বিশ্বব্যাপী পরিব্যাপ্ত করতে সমর্থ হয়েছেন। মন উদাস করা হৃদয়মন্থিত বসন্ত সুর সমাজের ব্রাত্যদের, প্রত্যন্ত শ্রেণির মানুষের ভিত্তিভূমি স্থাপনে লালন এক অবাধ সেতু। কেউ কেউ তাঁকে বলেন সাঁইজি। কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার মাটির সুর, রং, ভাষার সঙ্গে নদীয়ার বৈষ্ণববাদ দর্শন লালননিষ্ঠার বর্ণাঢ্য শিল্পচেতনা যেন যুক্ত হয়ে আছে প্রভাত সূর্যের মতো।

লালন ফকির বা লালন শাহ ১৭৭৪ সালের ১৭ অক্টোবর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৭ অক্টোবর, ১৮৯০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। কিছু গবেষক মনে করেন তাঁর জন্ম নদীয়ার মতিগঞ্জে। তবে লালন তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন এবং সাধনা করেছেন বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার ছেঁউড়িয়ায়, যেখানে তাঁর আখড়া এখনো বিদ্যমান। লালন সাঁইজির প্রকৃত নাম ললিত নারায়ণ কর, ডাকনাম লালু। পিতা মাধব কর, মাতা পদ্মাবতী। অসাধারণ দার্শনিক মনোভাব ও নির্ভীক পরহিতৈষণায় লালন ছিলেন বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। শৈশবেই লালন অন্তর বিশ্লিষ্ট শূন্যতার অন্তর্লীন বেদনা বিষাদে আক্রান্ত হয়েছিলেন বাবাকে হারিয়ে। মায়ের স্নেহ-আঁচল হয় লালনের গভীর সমবেদনার, মহত্তের যুগলপ্রসাদ। লালনের একতারায় শালপাতার দর্শনকাব্য উচ্চতর ঐক্য ও সূক্ষ্মতর সংহতি হয়ে রাঢ় বাংলার রুক্ষ রৌদ্ররস আর ওপার বাংলার মরমিব্যঞ্জনা নিয়ে সুরের আকুলতায় ভিজেছিল। বীরভূম, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, হুগলি ও বর্ধমান জেলার পলিমাটি ও পাহাড়ি অঞ্চল সব স্থানজুড়েই মিশে আছে লালন সুরের মূর্ছনা। অন্যদিকে ওপার বাংলায় অর্থাৎ ব্রিটিশ ভারতের সময় থেকে বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর, পশ্চিমবঙ্গ, গড়ে ওঠা ওপার বাংলার ভূমিতেও লালনের লোকায়ত মরমি সুর আজও বহতা নদীর মতো নাব্য। লালন উভয় ক্ষেত্রেই খুঁজে পেয়েছিলেন সুরের আধ্যাত্মিক ভাষা, উপনিষদের বার্তা। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লালনের ভাবনাকে উপনিষদের ঋষিদের চিন্তাধারার সঙ্গে তুলনা করেন।

লালনের আত্মতত্ত্ব বাউল দর্শনের গভীরে প্রোথিত এক অনন্য আধ্যাত্মিক শিক্ষা, যেখানে আত্মা ও পরমাত্মার অভিন্নতা নিয়ে তিনি সাধনা করেছেন। তাঁর মতে, আত্মা হলো সেই চেতনা যা দেহে অবস্থান করে এবং আত্মাকে জানলেই পরমাত্মার স্বরূপ জানা সম্ভব। এই দর্শন তাঁর গান ও সাধনার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়, যা শুধু আবেগ নয়, বরং গভীর যুক্তিনির্ভর দার্শনিকতায় গাথা। বৈষ্ণব ও সুফিমতের প্রভাব নিয়ে লালন বাউল সাধনায় গুরুতত্ত্ব, যোগ এবং মৈথুনের মাধ্যমে আত্মার ঊর্ধ্বগতি এবং মহাযোগের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন। এই সাধনার মাধ্যমে লালন দেহতত্ত্বের ভিতর দিয়ে আত্মার আসল স্বরূপ উপলব্ধি করেছেন। তাঁর মনের মানুষ বা অলখ সাঁই সেই আত্মার সন্ধান, যা বৌদ্ধ ধর্মের আদিবুদ্ধ বা সচ্চিদানন্দতত্ত্বের সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত। তাছাড়া লালনের অধ্যাত্মবোধের মূল দর্শন ছিল মানবতাবাদ, কাঁচা শালপাতার ভাঁজে মোড়ানো। হিন্দু-মুসলমান, ব্রাহ্মণ-শূদ্র, ধনী-দরিদ্র-এই বিভাজনগুলোতে মানবসত্তা যখন চূর্ণবিচূর্ণ হচ্ছিল, লালন সেই সময়ে সাহসী কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন। তিনি তাঁর গান ও বাণীর মর্মস্পর্শী মরমি ব্যঞ্জনায় ও তাঁর সৃষ্টিতত্ত্বে নিষ্ঠার অনুপ্রেরণায় ব্যক্ত করেছেন যে, মানুষের কোনো জাত বা ধর্ম নেই। আর এই উপলব্ধতার অসীম বিস্তারে লালনের বিখ্যাত গান সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে সেই সর্বজনীন ভাবনাকেই প্রতিফলিত করে।

লালনের নিজস্ব সুর, তাল, ভাষা এবং সংস্কৃতির মেলবন্ধন রাজস্থানী লোকগান থেকে ছৌ নৃত্য, দক্ষিণ ভারতের তালবাদ্য থেকে চৈতী ও কাজরী গান, কীর্তন, দুই বাংলার বাউল গান পর্যন্ত সুরের কলনাদ হয়ে আছে। তাঁর গানে প্রান্তিক মানুষের আত্মিক মুক্তি, ভিখারির বিচিত্র জীবনযাত্রার মানবপ্রেম এবং সর্বজনীন সাম্যের বাণী চিরন্তন হয়ে ওঠে। অনায়াসেই লালন ধর্মীয় পরিচয়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। তিনি মনে করতেন, ধর্মের মূল লক্ষ্যই হলো মানবতা ও ভালোবাসা। কিন্তু সমাজে ধর্মকে ব্যবহার করা হচ্ছে মানুষকে বিভক্ত করতে এবং শোষণের হাতিয়ার হিসেবে। লালনের বাণী- কৃষ্ণ, নবী, যিশু, গৌতম এক পরম ব্রহ্ম-সেই শাশ্বত সত্যের প্রতি ইঙ্গিত করে। তিনি বিশ্বাস করতেন, স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভ করা যায় মানবতার পথ ধরে, বিভাজনের নয়। আর স্রষ্টা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কোনো ধর্মের মধ্যে বাস করেন না। বেদ, কোরআন, পুরাণ বা অন্যান্য ধর্মগ্রন্থের মধ্যেও ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই। বরং মানুষের মধ্যে ঈশ্বরের অস্তিত্ব বিরাজমান। লালন মনে করেন, ঈশ্বরকে মন্দির, মসজিদ বা উপাসনালয়ে নয়, মানুষের অন্তরে খুঁজে পাওয়া যায়। এই বিশ্বাসই তাঁকে সেই সময়ের ধর্মীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে বাধ্য করেছিল, যা তাঁকে অনেক সমস্যার মুখোমুখি করে। লালনের একতারায় যে আরশীনগর রয়েছে তা মানুষের মনের সাকিন। তিনি ঈশ্বরের প্রকৃতি খুঁজেছিলেন মনের গহন গভীরে, সুরের মূর্ছনায় আপ্লুত লালন বলেছেন : আমি এক দিনও না দেখিলাম তারে/ আমার বাড়ির কাছে আরশী নগর।

মহাত্মা লালন প্রকৃত অর্থে ছিলেন সমতাবাদী চেতনার ধারক। তাঁর গানের শিল্পজীবনে এবং সার্বিক জীবনপ্রবাহে, সামাজিক, ধর্মীয় এবং লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে এক ধরনের প্রতিবাদ ছিল। তিনি মানবতার মূল স্তম্ভ হিসেবে সমতা এবং প্রেমকে ধারণ করেন মৃত্তিকাসংলগ্নতায়। লালন শুধু তাত্ত্বিক ছিলেন না, বরং তিনি তাঁর জীবনের মাধ্যমে, শব্দের অর্থ আকাশে এক অন্তর্নিহিত মানবিক দর্শনের প্রতিফলন ঘটিয়েছিলেন। তিনি কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় এক আশ্রম গড়ে তুলেছিলেন, যেখানে সবাই একসঙ্গে বসবাস করত-ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, গোত্রের বিভাজন ভুলে। ছেঁউড়িয়ার চারপাশে বাঁশের কুঁড়েঘর, মাটির রাস্তা এবং বাউলদের আধ্যাত্মিক গানের সুর পদ্মার ঢেউয়ে লীন হয়ে ভেসে বেড়াতো অন্তরাত্মার ঐশ্বরিক সৌন্দর্যে। লালন সেই সুরের সহযাত্রী করেছিলেন আশ্রমের সবাইকেই। নীল আকাশে অপরাজেয় সাদা মেঘের মতো ছেঁউড়িয়া লালনের গানে তাঁর শিষ্যদের গানে সুরের আষাঢ় হয়ে নামত। আর এই আশ্রমের মাধ্যমে তিনি একটি সমতাবাদী সমাজের মডেল উপস্থাপন করেছিলেন, যা আধুনিক বিশ্বের অনেক সাম্যবাদী আন্দোলনের সঙ্গে মিলে যায়। কারণ তিনি সেখানে আশ্রয় দিয়েছিলেন ধর্মভেদের ঊর্ধ্বে মানুষকে, মানুষের গার্হস্থ্য জীবনকে। নারী-পুরুষের কোনো বৈষম্য ছিল না, অধ্যাত্মবোধ এবং সংস্কারহীন যাত্রায় অনুপ্রবেশ ঘটেছিল নাস্তিকদেরও। লালনের সমতাবাদী চেতনা এবং সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের ধারণা তাইতো আজও প্রাসঙ্গিক, বিশেষ করে এমন সমাজে যেখানে এখনো বিভাজনের দেয়াল তৈরি করা হচ্ছে। অথচ মানুষের মধ্যে লুকিয়ে আছে সোনার মতো মানুষ। লালন তাই লিখেছেন : মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি/ মানুষ ছেড়ে ক্ষ্যাপারে তুই মূল হারাবি।

লালনের গান মানবতার প্রতি তাঁর গভীর অন্তর্দৃষ্টির শক্তিশালী প্রকাশ। তাঁর গানগুলোতে মরমি ব্যঞ্জনা, আধ্যাত্মিক অভিযাত্রা ও মানবিক চিন্তার সমন্বয় পাওয়া যায়। তিনি তাঁর সংগীতে দেহতত্ত্ব, আত্মতত্ত্ব, গুরুতত্ত্ব, ভক্তিতত্ত্ব, ঈশ্বরতত্ত্বের মতো বিষয়গুলোর আলোচনা করেছেন, যা শুধু আধ্যাত্মিক চিন্তারই প্রতিফলন নয়, বরং সেই সময়ের সামাজিক প্রেক্ষাপটের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদী কণ্ঠ। তাঁর বিখ্যাত গান খাঁচার ভিতর অচিন পাখি মানব আত্মার মুক্তির আকাঙ্ক্ষা এবং সাম্প্রদায়িক ও সামাজিক শৃঙ্খল থেকে মুক্তির এক শক্তিশালী বার্তা দেয়। লালন শাস্ত্রীয় বা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভের সুযোগ না পেলেও তিনি ছিলেন একজন প্রকৃত শিক্ষানুরাগী এবং তাঁর অভিজ্ঞতা ও দর্শনই তাঁকে করে তুলেছিল যুগান্তকারী। তিনি প্রায় দুই হাজারেরও বেশি গান রচনা করেছিলেন বলে জানা যায়। তাঁর গানের মধ্যে সহজিয়া সাধনার ছাপ স্পষ্ট। তাঁর গান তাত্ত্বিক রচনাসমৃদ্ধ তত্ত্বসাহিত্য। অন্তর্লৌকিক সৌন্দর্য, ভাবের সমন্বিত রূপায়ণ, কাব্যমাধুর্যে, শিল্পকান্তিতে, ছন্দ সৌকর্যে, পরিশীলিত শব্দ-রত্নে বৈষ্ণবপদাবলির মতো উৎকৃষ্ট কবিতার শিল্পাঞ্চল না হলেও লালন গান কিন্তু অনিঃশেষ শব্দ সম্পদ। তাছাড়া লালন শিল্পসৃজনা, কাব্যমাধুর্যও দুর্লভ এবং অধ্যবসায়, প্রচেষ্টার সযত্ন প্রয়াস। তাঁর গানের আর্তিতে মিশেছে আত্মা ও পরমাত্মার অভিন্নতা নিয়ে। মানবিক আবেগ-অনুভূতি সঞ্চারে গীত হয়েছে আত্মা-পরমাত্মার অংশ, আত্মাকে জানলে পরমাত্মাকেই জানা হয়। আর এই দেহস্থিত আত্মাই মানুষ, মনের মানুষ, রসের মানুষ, ভাবের মানুষ, অলখ সই। তাঁর চিন্তার স্বচ্ছতা, বিষয়জ্ঞানের সূক্ষ্মতায় উপলব্ধ হয় এই আত্মতত্ত্ব বিস্তৃতিতে। লালন কণ্ঠে এই হচ্ছে অরূপের মধ্যে আনন্দস্বরূপ আত্মাকে স্বরূপের বিশাল জগৎ এর মাঝে আবিষ্কার করা। লালন গানে চন্দ্রাবলী, ধানসী, কর্ণাট, পরিতাল, দক্ষিণান্ত শ্রীরাগ-রাগিণীর নাম হয়তো পাওয়া যাবে না। কিন্তু আধ্যাত্মিকতা, প্রেম, বিরহ, বিলাপ, আনন্দ, বিষাদ বিহ্বলতা, সৌন্দর্য প্রভৃতি ভাবাশ্রিত আবেগ গীতধর্মী করে তোলে অনেক বেশি দীপ্তিতে। সেজন্যই হিতকরী পত্রিকায় ১৮৯০ সালে তাঁর মৃত্যুর পর তাঁকে প্রথম মহাত্মা উপাধি দেওয়া হয়। এই উপাধি তাঁকে দেওয়া হয়েছিল তাঁর দর্শন, মানবতাবাদী চিন্তা এবং সমাজ সংস্কারে অসামান্য অবদানের জন্য। অনেকের মতে, তিনি মহাত্মা গান্ধীরও আগে এই উপাধি প্রাপ্ত হন, যা লালনের অসাধারণ প্রভাব ও অবদানকে নির্দেশ করে। তাঁর গানের আত্মতত্ত্বে দেখি লালন সুর : মানুষ-তত্ত্ব যার সত্য হয় মনে / সে কি অন্ত তত্ত্ব মানে/ও সে মানুষ ভজে দিব্যজ্ঞানে।

লালনের ধর্মীয় বোধ অবারিত এক মুক্ত এবং মানবতাবাদী দর্শনের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। ফলে তাঁর গানে মানুষের আত্মিক মুক্তি, মানবপ্রেম সর্বজনীন।

নদীয়ার বৈষ্ণববাদ লালন দর্শন গঠনে বড় ভূমিকা পালন করলেও, তিনি সেই মতবাদকে বিশুদ্ধ বাউল দর্শনের সঙ্গে মিশিয়ে এক নতুন আধ্যাত্মিক দিক নির্মাণ করেন। লালনের সাধনা মূলত দেহতত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। লালনের দেহতত্ত্ব দর্শনের সঙ্গে একতারা এবং শালপাতার ভাবনার এক অদ্ভুত মিল রয়েছে। একতারা তাঁর বাউল জীবনের একটি প্রতীক, যা শুধু সংগীতের প্রতীক নয়, বরং ব্রহ্মাণ্ডের একতারার মতো। একতারা এক সুরে বাজে, যেমন তাঁর দর্শনও এক আধ্যাত্মিকতার মূল সুরে বাঁধা। এর একতারার ধ্বনি যেন সমস্ত সৃষ্টির অভিন্নতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। শালপাতা লালনের সহজ, অনাড়ম্বর জীবনের আরেকটি প্রতীক। এটি তাঁর দার্শনিক মানসিকতার প্রতিফলন, যা প্রাকৃতিক এবং মানবিকতার মধ্যে একটি গভীর সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়। যেমন শালপাতা সহজ, তেমনই তাঁর দর্শনও সহজ অথচ গভীর। দেহতত্ত্বে দেহের বাইরে তিনি প্রকৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশকে উপলব্ধি করেন-যা সহজ এবং সর্বজনীন, মানবদেহে তাঁর প্রকাশকে বুঝতে হলে প্রকৃতির সহজতাকেও সম্মান করতে হয়। জীবন, দেহ, আত্মা শালপাতার মতোই সহজ অথচ গভীর, চিরন্তন সত্তার সন্ধান সত্যে।

কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় লালন শাহের মাজারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা লালন একাডেমি আজ বাউল ও আধ্যাত্মিক চিন্তাধারার একটি শিল্পসংগত ঐক্য স্থাপন করেছে। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই একাডেমির সঙ্গে যুক্ত আয়নামহল, লালন জাদুঘর ও লালন আশ্রম, লালন অনুসারী ও দর্শনার্থীদের জন্য আধ্যাত্মিক জ্ঞানে সমৃদ্ধ, বর্ণাঢ্য পরিসর। প্রতি বছর দোলপূর্ণিমা ও লালনের তিরোধান দিবসে শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, জার্মানি, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ভক্ত ও সাধুদের সমাবেশ ঘটে, যা লালনের দর্শনের প্রতি বৈশ্বিক আগ্রহের প্রাণমোহ। লালনের মানবতাবাদী দর্শন, দেহতত্ত্ব, আধ্যাত্মিকতা নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে গবেষণা ক্রমবর্ধমান। জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়, ফ্রান্সের সরবোন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভারতের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় লালনের দর্শন ও ভাবনার ওপর গবেষণাপত্র প্রকাশ করছে, যা তাঁর আধ্যাত্মিক চিন্তাকে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করার অপরাজেয় সুযোগ। লালনের সুরকথার অপূর্ব মোহাঞ্জন সাধকের জারক- রসে অপরিসীম মন উদাস করা শিল্পশিক্ষায় চিরন্তন প্রাসঙ্গিকতা বহন করছে।

লালনের মানবতাবোধ, গীতিধর্মিতা বাংলায় আর্য অনার্যতায়, বাকভঙ্গির দার্ঢ্য বৈদগ্ধ্যে, তুরি বসন্ত, শ্রীগান্ধারে, ছন্দ রাগিণীর সৌকর্যে আন্দোলিত ছিল না, তবুও তাঁর দর্শন, গান, বিষয়জ্ঞান, মানবভাবনা অন্যত্র দর্শনধারায় প্রবাহিত হয়ে অনেক বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিত্বে প্রভাবিত। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, এলেন গিন্সবার্গের মতো সাহিত্যিকেরা লালনের চিন্তাধারায় শিল্পিত ছিলেন। লালনের গান ও দর্শন শুধু আধ্যাত্মরসের প্রশ্রয় নয়, বরং পরিশ্রম নিষ্ঠায় মানবরূপরসে উদ্দীপ্ত। মহাত্মা লালনের বাউলমন মানুষ আজও মনুরা, সহজমানুষ, অধরামানুষ, ভাবের মানুষ, অলখ সাঁই হয়ে সংশ্লিষ্ট-আদিবুদ্ধ, আদিনাথ, বোধিচিত্ত এবং সচ্চিদানন্দতত্ত্বের মৌলিক ঐক্যবদ্ধে। লালন ধর্ম, বর্ণ, গোত্রের ঊর্ধ্বে গিয়ে মানুষ ও মানবহিতৈষণার এক অনন্য দর্শন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা আজও প্রাসঙ্গিক। তাঁর গান, দর্শন এবং জীবনবোধ শেখায় কীভাবে বিভাজন ভুলে ভালোবাসা ও সমাজ স্থাপত্যে সর্বজনীন হয়ে ওঠা যায়। তাঁর সুরের একতারা, শালপাতার সহজ জীবন সত্যিই  লালনকে করেছে একজন মহাত্মা। স্বজ্ঞানে-স্বপ্নে-অবচেতনে, অন্তর্র্বর্তী রূপকে, মানবতার পথে শিল্প বিশ্বস্ত এক আকাশসত্য লালন।

এই বিভাগের আরও খবর
সাহিত্য পাতায় লেখা পাঠানোর ঠিকানা
সাহিত্য পাতায় লেখা পাঠানোর ঠিকানা
তপ্ত রৌদ্রময়
তপ্ত রৌদ্রময়
নাকে যার নথ নেই
নাকে যার নথ নেই
পলিকন্যা
পলিকন্যা
সময়
সময়
নীরার উৎসব
নীরার উৎসব
রাজশাহীর সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার
রাজশাহীর সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার
স্বর্গে দাঁড়ানো নরকের কাক
স্বর্গে দাঁড়ানো নরকের কাক
তোমাকে ভালোবাসার পর
তোমাকে ভালোবাসার পর
রোদ বেয়ে বৃষ্টি নামে
রোদ বেয়ে বৃষ্টি নামে
বৃষ্টিসূত্রে রচিত পঙ্‌ক্তিমালা
বৃষ্টিসূত্রে রচিত পঙ্‌ক্তিমালা
রক্তমাংসের ফুল
রক্তমাংসের ফুল
সর্বশেষ খবর
আশুগঞ্জে ধান-চালের অবৈধ মজুদ ঠেকাতে অভিযান, মিল মালিককে জরিমানা
আশুগঞ্জে ধান-চালের অবৈধ মজুদ ঠেকাতে অভিযান, মিল মালিককে জরিমানা

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

সিরিয়ায় গির্জায় আত্মঘাতী হামলায় নিহত অন্তত ২০
সিরিয়ায় গির্জায় আত্মঘাতী হামলায় নিহত অন্তত ২০

২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হরমুজ প্রণালি খোলা রাখতে চীনের দ্বারস্থ যুক্তরাষ্ট্র
হরমুজ প্রণালি খোলা রাখতে চীনের দ্বারস্থ যুক্তরাষ্ট্র

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মৌলভীবাজারে মাদকবিরোধী অভিযানে সাতজনের কারাদণ্ড
মৌলভীবাজারে মাদকবিরোধী অভিযানে সাতজনের কারাদণ্ড

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাকৃবিতে সেমিনার ও যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত
গাকৃবিতে সেমিনার ও যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত

২৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

৭ জেলায় ঝড়ের আভাস
৭ জেলায় ঝড়ের আভাস

২৯ মিনিট আগে | জাতীয়

কক্সবাজারে পিস্তল-মর্টার শেল ও আর্জেস গ্রেনেড উদ্ধার
কক্সবাজারে পিস্তল-মর্টার শেল ও আর্জেস গ্রেনেড উদ্ধার

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কতটা ক্ষতি হয়েছে জানালেন ট্রাম্প
মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কতটা ক্ষতি হয়েছে জানালেন ট্রাম্প

৪৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১০ জনের দল নিয়েও দুর্দান্ত জয় রিয়ালের
১০ জনের দল নিয়েও দুর্দান্ত জয় রিয়ালের

৪৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

দেড় কোটি টাকার স্বর্ণসহ পাচারকারী আটক
দেড় কোটি টাকার স্বর্ণসহ পাচারকারী আটক

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির কারাগারে
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির কারাগারে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সোনারগাঁয়ে ২২ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ঈদ পুনর্মিলনী
সোনারগাঁয়ে ২২ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ঈদ পুনর্মিলনী

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় একদিনে অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল
গাজায় একদিনে অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরানের ইনকিলাব স্কয়ারের বিক্ষোভে যোগ দিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট
তেহরানের ইনকিলাব স্কয়ারের বিক্ষোভে যোগ দিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেলের বাজারে আগুন, যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে ধসের আশঙ্কা
তেলের বাজারে আগুন, যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে ধসের আশঙ্কা

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকবাহী হাউসবোটে নিষেধাজ্ঞা
টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকবাহী হাউসবোটে নিষেধাজ্ঞা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মার্কিন নাগরিকদের জন্য বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা সতর্কতা জারি
মার্কিন নাগরিকদের জন্য বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা সতর্কতা জারি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে সরকার পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প
ইরানে সরকার পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও টেকসই উন্নয়নে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অত্যন্ত জরুরি : ডুয়েট উপাচার্য
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও টেকসই উন্নয়নে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অত্যন্ত জরুরি : ডুয়েট উপাচার্য

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মাসুদ উদ্দিন-নিজাম হাজারীসহ দেড়শ জনের নামে জুলাইযোদ্ধার মামলা
মাসুদ উদ্দিন-নিজাম হাজারীসহ দেড়শ জনের নামে জুলাইযোদ্ধার মামলা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে ৬ তলা ভবনের গ্যারেজে আগুন
মিরপুরে ৬ তলা ভবনের গ্যারেজে আগুন

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যাঁরা দেশে বিনিয়োগ করেছেন তাঁদের সহায়তা দিতে হবে
যাঁরা দেশে বিনিয়োগ করেছেন তাঁদের সহায়তা দিতে হবে

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ইরানের তোপে সুর নরম, যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর
ইরানের তোপে সুর নরম, যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার আহবান সেনাপ্রধানের
সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার আহবান সেনাপ্রধানের

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ জুন)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ জুন)

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের হয়ে নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তানের প্রস্তাব
ইরানের হয়ে নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তানের প্রস্তাব

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সকালেই ইসরায়েলে ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র  হামলা
সকালেই ইসরায়েলে ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পল্লবীতে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে বন্ধু নিহত
পল্লবীতে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে বন্ধু নিহত

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অটোরিকশার চার্জার খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চালকের মৃত্যু
অটোরিকশার চার্জার খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চালকের মৃত্যু

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এমডি মনিরুল মাওলা গ্রেপ্তার
ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এমডি মনিরুল মাওলা গ্রেপ্তার

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
মার্কিন হামলার পর ইরানের জবাব শুরু
মার্কিন হামলার পর ইরানের জবাব শুরু

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মার্কিন হামলা, যা বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
ইরানে মার্কিন হামলা, যা বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শুধু ফরদোতেই ১২টি ‘বাংকার বাস্টার’ বোমা ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র
শুধু ফরদোতেই ১২টি ‘বাংকার বাস্টার’ বোমা ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'১০ বছরের মধ্যে ইরান পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হবে'
'১০ বছরের মধ্যে ইরান পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হবে'

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ১০ লক্ষ্যবস্তুতে সফল হামলা ইরানের, আহত ৮৬
ইসরায়েলের ১০ লক্ষ্যবস্তুতে সফল হামলা ইরানের, আহত ৮৬

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘গোপনে’ সারাবিশ্ব উড়ে বেড়াতে পারে মার্কিন এই বিমান!
‘গোপনে’ সারাবিশ্ব উড়ে বেড়াতে পারে মার্কিন এই বিমান!

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের তোপে সুর নরম, যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর
ইরানের তোপে সুর নরম, যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন নৌবহরে হামলা ও হরমুজ প্রণালি বন্ধের হুঁশিয়ারি ইরানের
মার্কিন নৌবহরে হামলা ও হরমুজ প্রণালি বন্ধের হুঁশিয়ারি ইরানের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেল আবিবে ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়াদের খুঁজছে ইসরায়েলি পুলিশ
তেল আবিবে ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়াদের খুঁজছে ইসরায়েলি পুলিশ

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আপনি আমাদের জায়গায় থাকলে কি করতেন?’
‘আপনি আমাদের জায়গায় থাকলে কি করতেন?’

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা গ্রেফতার
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা গ্রেফতার

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুতিনের সঙ্গে ‘গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা’ করতে রাশিয়ায় যাচ্ছেন আরাগচি
পুতিনের সঙ্গে ‘গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা’ করতে রাশিয়ায় যাচ্ছেন আরাগচি

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেন ইরানের এই তিন পারমাণবিক স্থাপনাই যুক্তরাষ্ট্রের হামলার লক্ষ্য হলো?
কেন ইরানের এই তিন পারমাণবিক স্থাপনাই যুক্তরাষ্ট্রের হামলার লক্ষ্য হলো?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মার্কিন হামলা:  ট্রাম্পের ‘দুই সপ্তাহ’ কি তবে ছল ছিল?
ইরানে মার্কিন হামলা: ট্রাম্পের ‘দুই সপ্তাহ’ কি তবে ছল ছিল?

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ প্রণোদনার টাকা বাড়ালো সরকার
সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ প্রণোদনার টাকা বাড়ালো সরকার

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের হয়ে নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তানের প্রস্তাব
ইরানের হয়ে নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তানের প্রস্তাব

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মার্কিন হামলার সময় যা করছিলেন ট্রাম্প!
ইরানে মার্কিন হামলার সময় যা করছিলেন ট্রাম্প!

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মৌসুমী, ফারিয়া, সাবিলাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ
মৌসুমী, ফারিয়া, সাবিলাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইরানে মার্কিন হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ‘সরাসরি হুমকি’
ইরানে মার্কিন হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ‘সরাসরি হুমকি’

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘ধ্বংসপ্রাপ্ত’, দাবি মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘ধ্বংসপ্রাপ্ত’, দাবি মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর বড়শিতে আটকে গেলেন ট্রাম্প!
নেতানিয়াহুর বড়শিতে আটকে গেলেন ট্রাম্প!

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরও এক মোসাদ গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল ইরান
আরও এক মোসাদ গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল ইরান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার জরুরি বৈঠকে বসবে আইএইএ
ইরান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার জরুরি বৈঠকে বসবে আইএইএ

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হরমুজ প্রণালি বন্ধের অনুমোদন দিল ইরানের পার্লামেন্ট
হরমুজ প্রণালি বন্ধের অনুমোদন দিল ইরানের পার্লামেন্ট

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সকালেই ইসরায়েলে ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র  হামলা
সকালেই ইসরায়েলে ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ ও মধ্য ইরানের দুই প্রদেশে ইসরায়েলি হামলা
দক্ষিণ ও মধ্য ইরানের দুই প্রদেশে ইসরায়েলি হামলা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আহত ৮৬
ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আহত ৮৬

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডা. স্বপ্নীলের সনদ ৫ বছরের জন্য স্থগিত করল বিএমডিসি
ডা. স্বপ্নীলের সনদ ৫ বছরের জন্য স্থগিত করল বিএমডিসি

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানে সরকার পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প
ইরানে সরকার পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
কী এই বি-২ বোমারু বিমান
কী এই বি-২ বোমারু বিমান

প্রথম পৃষ্ঠা

সর্বনাশের বুলবুলি, দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি
সর্বনাশের বুলবুলি, দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি

সম্পাদকীয়

পর্যটন স্পটে হুমকিতে নারীর গোপনীয়তা
পর্যটন স্পটে হুমকিতে নারীর গোপনীয়তা

পেছনের পৃষ্ঠা

আন্দোলনে অচল সরকারি দপ্তর
আন্দোলনে অচল সরকারি দপ্তর

পেছনের পৃষ্ঠা

ইলিশ কমছে যে কারণে
ইলিশ কমছে যে কারণে

পেছনের পৃষ্ঠা

‘কুইক রেন্টাল’, বিপুর সোনার ডিম পাড়া হাঁস
‘কুইক রেন্টাল’, বিপুর সোনার ডিম পাড়া হাঁস

প্রথম পৃষ্ঠা

আমার ক্যারিয়ার নিয়ে সন্তুষ্ট
আমার ক্যারিয়ার নিয়ে সন্তুষ্ট

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সাবেক সিইসি নূরুল গ্রেপ্তার জুতার মালা
সাবেক সিইসি নূরুল গ্রেপ্তার জুতার মালা

প্রথম পৃষ্ঠা

রুপালি সম্পদের খনি হালদা
রুপালি সম্পদের খনি হালদা

পেছনের পৃষ্ঠা

কক্সবাজারে বাড়ছে মানব পাচার
কক্সবাজারে বাড়ছে মানব পাচার

নগর জীবন

তিন নায়িকাসহ ২৫ জনের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
তিন নায়িকাসহ ২৫ জনের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

পেছনের পৃষ্ঠা

করোনায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু
করোনায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

অলআউট যুদ্ধের মহাবিপৎসংকেত
অলআউট যুদ্ধের মহাবিপৎসংকেত

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজ্জাকের হাসি আর থামে না
রাজ্জাকের হাসি আর থামে না

শোবিজ

মাঠে ফেরার অপেক্ষায় তিন পেসার
মাঠে ফেরার অপেক্ষায় তিন পেসার

মাঠে ময়দানে

নাটকের যেসব নায়িকা সিনেমায় সফল
নাটকের যেসব নায়িকা সিনেমায় সফল

শোবিজ

বিশেষ সুবিধা বাড়ল সরকারি চাকরিজীবীদের
বিশেষ সুবিধা বাড়ল সরকারি চাকরিজীবীদের

পেছনের পৃষ্ঠা

জীবনজুড়ে স্রষ্টার করুণার ছায়া
জীবনজুড়ে স্রষ্টার করুণার ছায়া

সম্পাদকীয়

ঝোপ বুঝে নাজমুলের কোপ
ঝোপ বুঝে নাজমুলের কোপ

মাঠে ময়দানে

বাফুফের নতুন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ক্রুইফ!
বাফুফের নতুন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ক্রুইফ!

মাঠে ময়দানে

আবারও রাজ-ফারিণ
আবারও রাজ-ফারিণ

শোবিজ

২০২৬ টি-২০ বিশ্বকাপে কানাডা
২০২৬ টি-২০ বিশ্বকাপে কানাডা

মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ  টেস্ট জেতে ২০১৭ সালে
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ টেস্ট জেতে ২০১৭ সালে

মাঠে ময়দানে

দেশব্যাপী ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে চায় বিসিবি
দেশব্যাপী ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে চায় বিসিবি

মাঠে ময়দানে

এবার অপি-তাহসান
এবার অপি-তাহসান

শোবিজ

আইএসডিতে বার্সা একাডেমি সামার ক্যাম্প
আইএসডিতে বার্সা একাডেমি সামার ক্যাম্প

মাঠে ময়দানে

ওহাইও নদীর তীরে ফুটবল উৎসব
ওহাইও নদীর তীরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

নারী-শিশুসহ আরও ১৪ জনকে পুশইন
নারী-শিশুসহ আরও ১৪ জনকে পুশইন

খবর

মোবাইলের আলোতে চলল ট্রেন!
মোবাইলের আলোতে চলল ট্রেন!

পেছনের পৃষ্ঠা