শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ আপডেট: ০০:১৫, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

লালনের একতারা ও শালপাতার দর্শন

ড. যাকিয়া সুমি সেতু
প্রিন্ট ভার্সন
লালনের একতারা ও শালপাতার দর্শন

মহাত্মা শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ভাষা থেকে। মহা অর্থ মহান এবং আত্মা অর্থ আত্মিক সত্তা বা অন্তর্নিহিত শক্তি। মহাত্মা শব্দের আক্ষরিক অর্থ মহান আত্মা যা শুধু আধ্যাত্মিক পূর্ণতা নয়, বরং নৈতিক স্বতন্ত্র সত্তা, মানবিক অরণ্যচার, স্বচ্ছ প্রকৃতির সরলতা এবং সিদ্ধির অন্তরাত্মার উচ্চতারও প্রতীক। লালনের চৈতন্যসত্তা, মহাত্মবোধ, একতারার সুরে আধ্যাত্মসত্তা নিয়ে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কালীগঙ্গার তীরে ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়ি চত্বরে কাঁচা শালপাতার মতো, যার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে গভীর মরমি আধ্যাত্মিক ব্যঞ্জনা, নিগূঢ় প্রাণসত্তা ও সত্যের অর্থ সন্ধান। সেই বিশ্লেষণে মহাত্মা লালন একজন মহান ব্যক্তিত্ব, যিনি আত্মিক জ্ঞান, মানবীয়তাবোধ, পার্থিব সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে সর্বজনীন সত্য হয়ে আছেন দুবাংলায়, গঙ্গা-পদ্মার মতো। আর এ ধারার বিশ্বমানবের প্রশ্বস্ত আঁধারে লোকায়তিক অনুভূমিতে, আত্মতত্ত্বজ্ঞ হয়েছেন লালন। লালনের জ্ঞান সঞ্চয়, বাউল ভূখন্ডে তাঁর উদাস সুর, বৃষ্টির শব্দের মতো, একান্ত আবেগে আন্দোলিত। ফলে লালনবিশ্ব সর্বাত্মক রেনেসাঁয় বাউলকে আন্তর্জাতিক চেতনায় বিশ্বব্যাপী পরিব্যাপ্ত করতে সমর্থ হয়েছেন। মন উদাস করা হৃদয়মন্থিত বসন্ত সুর সমাজের ব্রাত্যদের, প্রত্যন্ত শ্রেণির মানুষের ভিত্তিভূমি স্থাপনে লালন এক অবাধ সেতু। কেউ কেউ তাঁকে বলেন সাঁইজি। কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার মাটির সুর, রং, ভাষার সঙ্গে নদীয়ার বৈষ্ণববাদ দর্শন লালননিষ্ঠার বর্ণাঢ্য শিল্পচেতনা যেন যুক্ত হয়ে আছে প্রভাত সূর্যের মতো।

লালন ফকির বা লালন শাহ ১৭৭৪ সালের ১৭ অক্টোবর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৭ অক্টোবর, ১৮৯০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। কিছু গবেষক মনে করেন তাঁর জন্ম নদীয়ার মতিগঞ্জে। তবে লালন তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন এবং সাধনা করেছেন বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার ছেঁউড়িয়ায়, যেখানে তাঁর আখড়া এখনো বিদ্যমান। লালন সাঁইজির প্রকৃত নাম ললিত নারায়ণ কর, ডাকনাম লালু। পিতা মাধব কর, মাতা পদ্মাবতী। অসাধারণ দার্শনিক মনোভাব ও নির্ভীক পরহিতৈষণায় লালন ছিলেন বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। শৈশবেই লালন অন্তর বিশ্লিষ্ট শূন্যতার অন্তর্লীন বেদনা বিষাদে আক্রান্ত হয়েছিলেন বাবাকে হারিয়ে। মায়ের স্নেহ-আঁচল হয় লালনের গভীর সমবেদনার, মহত্তের যুগলপ্রসাদ। লালনের একতারায় শালপাতার দর্শনকাব্য উচ্চতর ঐক্য ও সূক্ষ্মতর সংহতি হয়ে রাঢ় বাংলার রুক্ষ রৌদ্ররস আর ওপার বাংলার মরমিব্যঞ্জনা নিয়ে সুরের আকুলতায় ভিজেছিল। বীরভূম, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, হুগলি ও বর্ধমান জেলার পলিমাটি ও পাহাড়ি অঞ্চল সব স্থানজুড়েই মিশে আছে লালন সুরের মূর্ছনা। অন্যদিকে ওপার বাংলায় অর্থাৎ ব্রিটিশ ভারতের সময় থেকে বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর, পশ্চিমবঙ্গ, গড়ে ওঠা ওপার বাংলার ভূমিতেও লালনের লোকায়ত মরমি সুর আজও বহতা নদীর মতো নাব্য। লালন উভয় ক্ষেত্রেই খুঁজে পেয়েছিলেন সুরের আধ্যাত্মিক ভাষা, উপনিষদের বার্তা। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লালনের ভাবনাকে উপনিষদের ঋষিদের চিন্তাধারার সঙ্গে তুলনা করেন।

লালনের আত্মতত্ত্ব বাউল দর্শনের গভীরে প্রোথিত এক অনন্য আধ্যাত্মিক শিক্ষা, যেখানে আত্মা ও পরমাত্মার অভিন্নতা নিয়ে তিনি সাধনা করেছেন। তাঁর মতে, আত্মা হলো সেই চেতনা যা দেহে অবস্থান করে এবং আত্মাকে জানলেই পরমাত্মার স্বরূপ জানা সম্ভব। এই দর্শন তাঁর গান ও সাধনার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়, যা শুধু আবেগ নয়, বরং গভীর যুক্তিনির্ভর দার্শনিকতায় গাথা। বৈষ্ণব ও সুফিমতের প্রভাব নিয়ে লালন বাউল সাধনায় গুরুতত্ত্ব, যোগ এবং মৈথুনের মাধ্যমে আত্মার ঊর্ধ্বগতি এবং মহাযোগের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন। এই সাধনার মাধ্যমে লালন দেহতত্ত্বের ভিতর দিয়ে আত্মার আসল স্বরূপ উপলব্ধি করেছেন। তাঁর মনের মানুষ বা অলখ সাঁই সেই আত্মার সন্ধান, যা বৌদ্ধ ধর্মের আদিবুদ্ধ বা সচ্চিদানন্দতত্ত্বের সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত। তাছাড়া লালনের অধ্যাত্মবোধের মূল দর্শন ছিল মানবতাবাদ, কাঁচা শালপাতার ভাঁজে মোড়ানো। হিন্দু-মুসলমান, ব্রাহ্মণ-শূদ্র, ধনী-দরিদ্র-এই বিভাজনগুলোতে মানবসত্তা যখন চূর্ণবিচূর্ণ হচ্ছিল, লালন সেই সময়ে সাহসী কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন। তিনি তাঁর গান ও বাণীর মর্মস্পর্শী মরমি ব্যঞ্জনায় ও তাঁর সৃষ্টিতত্ত্বে নিষ্ঠার অনুপ্রেরণায় ব্যক্ত করেছেন যে, মানুষের কোনো জাত বা ধর্ম নেই। আর এই উপলব্ধতার অসীম বিস্তারে লালনের বিখ্যাত গান সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে সেই সর্বজনীন ভাবনাকেই প্রতিফলিত করে।

লালনের নিজস্ব সুর, তাল, ভাষা এবং সংস্কৃতির মেলবন্ধন রাজস্থানী লোকগান থেকে ছৌ নৃত্য, দক্ষিণ ভারতের তালবাদ্য থেকে চৈতী ও কাজরী গান, কীর্তন, দুই বাংলার বাউল গান পর্যন্ত সুরের কলনাদ হয়ে আছে। তাঁর গানে প্রান্তিক মানুষের আত্মিক মুক্তি, ভিখারির বিচিত্র জীবনযাত্রার মানবপ্রেম এবং সর্বজনীন সাম্যের বাণী চিরন্তন হয়ে ওঠে। অনায়াসেই লালন ধর্মীয় পরিচয়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। তিনি মনে করতেন, ধর্মের মূল লক্ষ্যই হলো মানবতা ও ভালোবাসা। কিন্তু সমাজে ধর্মকে ব্যবহার করা হচ্ছে মানুষকে বিভক্ত করতে এবং শোষণের হাতিয়ার হিসেবে। লালনের বাণী- কৃষ্ণ, নবী, যিশু, গৌতম এক পরম ব্রহ্ম-সেই শাশ্বত সত্যের প্রতি ইঙ্গিত করে। তিনি বিশ্বাস করতেন, স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভ করা যায় মানবতার পথ ধরে, বিভাজনের নয়। আর স্রষ্টা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কোনো ধর্মের মধ্যে বাস করেন না। বেদ, কোরআন, পুরাণ বা অন্যান্য ধর্মগ্রন্থের মধ্যেও ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই। বরং মানুষের মধ্যে ঈশ্বরের অস্তিত্ব বিরাজমান। লালন মনে করেন, ঈশ্বরকে মন্দির, মসজিদ বা উপাসনালয়ে নয়, মানুষের অন্তরে খুঁজে পাওয়া যায়। এই বিশ্বাসই তাঁকে সেই সময়ের ধর্মীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে বাধ্য করেছিল, যা তাঁকে অনেক সমস্যার মুখোমুখি করে। লালনের একতারায় যে আরশীনগর রয়েছে তা মানুষের মনের সাকিন। তিনি ঈশ্বরের প্রকৃতি খুঁজেছিলেন মনের গহন গভীরে, সুরের মূর্ছনায় আপ্লুত লালন বলেছেন : আমি এক দিনও না দেখিলাম তারে/ আমার বাড়ির কাছে আরশী নগর।

মহাত্মা লালন প্রকৃত অর্থে ছিলেন সমতাবাদী চেতনার ধারক। তাঁর গানের শিল্পজীবনে এবং সার্বিক জীবনপ্রবাহে, সামাজিক, ধর্মীয় এবং লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে এক ধরনের প্রতিবাদ ছিল। তিনি মানবতার মূল স্তম্ভ হিসেবে সমতা এবং প্রেমকে ধারণ করেন মৃত্তিকাসংলগ্নতায়। লালন শুধু তাত্ত্বিক ছিলেন না, বরং তিনি তাঁর জীবনের মাধ্যমে, শব্দের অর্থ আকাশে এক অন্তর্নিহিত মানবিক দর্শনের প্রতিফলন ঘটিয়েছিলেন। তিনি কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় এক আশ্রম গড়ে তুলেছিলেন, যেখানে সবাই একসঙ্গে বসবাস করত-ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, গোত্রের বিভাজন ভুলে। ছেঁউড়িয়ার চারপাশে বাঁশের কুঁড়েঘর, মাটির রাস্তা এবং বাউলদের আধ্যাত্মিক গানের সুর পদ্মার ঢেউয়ে লীন হয়ে ভেসে বেড়াতো অন্তরাত্মার ঐশ্বরিক সৌন্দর্যে। লালন সেই সুরের সহযাত্রী করেছিলেন আশ্রমের সবাইকেই। নীল আকাশে অপরাজেয় সাদা মেঘের মতো ছেঁউড়িয়া লালনের গানে তাঁর শিষ্যদের গানে সুরের আষাঢ় হয়ে নামত। আর এই আশ্রমের মাধ্যমে তিনি একটি সমতাবাদী সমাজের মডেল উপস্থাপন করেছিলেন, যা আধুনিক বিশ্বের অনেক সাম্যবাদী আন্দোলনের সঙ্গে মিলে যায়। কারণ তিনি সেখানে আশ্রয় দিয়েছিলেন ধর্মভেদের ঊর্ধ্বে মানুষকে, মানুষের গার্হস্থ্য জীবনকে। নারী-পুরুষের কোনো বৈষম্য ছিল না, অধ্যাত্মবোধ এবং সংস্কারহীন যাত্রায় অনুপ্রবেশ ঘটেছিল নাস্তিকদেরও। লালনের সমতাবাদী চেতনা এবং সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের ধারণা তাইতো আজও প্রাসঙ্গিক, বিশেষ করে এমন সমাজে যেখানে এখনো বিভাজনের দেয়াল তৈরি করা হচ্ছে। অথচ মানুষের মধ্যে লুকিয়ে আছে সোনার মতো মানুষ। লালন তাই লিখেছেন : মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি/ মানুষ ছেড়ে ক্ষ্যাপারে তুই মূল হারাবি।

লালনের গান মানবতার প্রতি তাঁর গভীর অন্তর্দৃষ্টির শক্তিশালী প্রকাশ। তাঁর গানগুলোতে মরমি ব্যঞ্জনা, আধ্যাত্মিক অভিযাত্রা ও মানবিক চিন্তার সমন্বয় পাওয়া যায়। তিনি তাঁর সংগীতে দেহতত্ত্ব, আত্মতত্ত্ব, গুরুতত্ত্ব, ভক্তিতত্ত্ব, ঈশ্বরতত্ত্বের মতো বিষয়গুলোর আলোচনা করেছেন, যা শুধু আধ্যাত্মিক চিন্তারই প্রতিফলন নয়, বরং সেই সময়ের সামাজিক প্রেক্ষাপটের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদী কণ্ঠ। তাঁর বিখ্যাত গান খাঁচার ভিতর অচিন পাখি মানব আত্মার মুক্তির আকাঙ্ক্ষা এবং সাম্প্রদায়িক ও সামাজিক শৃঙ্খল থেকে মুক্তির এক শক্তিশালী বার্তা দেয়। লালন শাস্ত্রীয় বা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভের সুযোগ না পেলেও তিনি ছিলেন একজন প্রকৃত শিক্ষানুরাগী এবং তাঁর অভিজ্ঞতা ও দর্শনই তাঁকে করে তুলেছিল যুগান্তকারী। তিনি প্রায় দুই হাজারেরও বেশি গান রচনা করেছিলেন বলে জানা যায়। তাঁর গানের মধ্যে সহজিয়া সাধনার ছাপ স্পষ্ট। তাঁর গান তাত্ত্বিক রচনাসমৃদ্ধ তত্ত্বসাহিত্য। অন্তর্লৌকিক সৌন্দর্য, ভাবের সমন্বিত রূপায়ণ, কাব্যমাধুর্যে, শিল্পকান্তিতে, ছন্দ সৌকর্যে, পরিশীলিত শব্দ-রত্নে বৈষ্ণবপদাবলির মতো উৎকৃষ্ট কবিতার শিল্পাঞ্চল না হলেও লালন গান কিন্তু অনিঃশেষ শব্দ সম্পদ। তাছাড়া লালন শিল্পসৃজনা, কাব্যমাধুর্যও দুর্লভ এবং অধ্যবসায়, প্রচেষ্টার সযত্ন প্রয়াস। তাঁর গানের আর্তিতে মিশেছে আত্মা ও পরমাত্মার অভিন্নতা নিয়ে। মানবিক আবেগ-অনুভূতি সঞ্চারে গীত হয়েছে আত্মা-পরমাত্মার অংশ, আত্মাকে জানলে পরমাত্মাকেই জানা হয়। আর এই দেহস্থিত আত্মাই মানুষ, মনের মানুষ, রসের মানুষ, ভাবের মানুষ, অলখ সই। তাঁর চিন্তার স্বচ্ছতা, বিষয়জ্ঞানের সূক্ষ্মতায় উপলব্ধ হয় এই আত্মতত্ত্ব বিস্তৃতিতে। লালন কণ্ঠে এই হচ্ছে অরূপের মধ্যে আনন্দস্বরূপ আত্মাকে স্বরূপের বিশাল জগৎ এর মাঝে আবিষ্কার করা। লালন গানে চন্দ্রাবলী, ধানসী, কর্ণাট, পরিতাল, দক্ষিণান্ত শ্রীরাগ-রাগিণীর নাম হয়তো পাওয়া যাবে না। কিন্তু আধ্যাত্মিকতা, প্রেম, বিরহ, বিলাপ, আনন্দ, বিষাদ বিহ্বলতা, সৌন্দর্য প্রভৃতি ভাবাশ্রিত আবেগ গীতধর্মী করে তোলে অনেক বেশি দীপ্তিতে। সেজন্যই হিতকরী পত্রিকায় ১৮৯০ সালে তাঁর মৃত্যুর পর তাঁকে প্রথম মহাত্মা উপাধি দেওয়া হয়। এই উপাধি তাঁকে দেওয়া হয়েছিল তাঁর দর্শন, মানবতাবাদী চিন্তা এবং সমাজ সংস্কারে অসামান্য অবদানের জন্য। অনেকের মতে, তিনি মহাত্মা গান্ধীরও আগে এই উপাধি প্রাপ্ত হন, যা লালনের অসাধারণ প্রভাব ও অবদানকে নির্দেশ করে। তাঁর গানের আত্মতত্ত্বে দেখি লালন সুর : মানুষ-তত্ত্ব যার সত্য হয় মনে / সে কি অন্ত তত্ত্ব মানে/ও সে মানুষ ভজে দিব্যজ্ঞানে।

লালনের ধর্মীয় বোধ অবারিত এক মুক্ত এবং মানবতাবাদী দর্শনের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। ফলে তাঁর গানে মানুষের আত্মিক মুক্তি, মানবপ্রেম সর্বজনীন।

নদীয়ার বৈষ্ণববাদ লালন দর্শন গঠনে বড় ভূমিকা পালন করলেও, তিনি সেই মতবাদকে বিশুদ্ধ বাউল দর্শনের সঙ্গে মিশিয়ে এক নতুন আধ্যাত্মিক দিক নির্মাণ করেন। লালনের সাধনা মূলত দেহতত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। লালনের দেহতত্ত্ব দর্শনের সঙ্গে একতারা এবং শালপাতার ভাবনার এক অদ্ভুত মিল রয়েছে। একতারা তাঁর বাউল জীবনের একটি প্রতীক, যা শুধু সংগীতের প্রতীক নয়, বরং ব্রহ্মাণ্ডের একতারার মতো। একতারা এক সুরে বাজে, যেমন তাঁর দর্শনও এক আধ্যাত্মিকতার মূল সুরে বাঁধা। এর একতারার ধ্বনি যেন সমস্ত সৃষ্টির অভিন্নতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। শালপাতা লালনের সহজ, অনাড়ম্বর জীবনের আরেকটি প্রতীক। এটি তাঁর দার্শনিক মানসিকতার প্রতিফলন, যা প্রাকৃতিক এবং মানবিকতার মধ্যে একটি গভীর সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়। যেমন শালপাতা সহজ, তেমনই তাঁর দর্শনও সহজ অথচ গভীর। দেহতত্ত্বে দেহের বাইরে তিনি প্রকৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশকে উপলব্ধি করেন-যা সহজ এবং সর্বজনীন, মানবদেহে তাঁর প্রকাশকে বুঝতে হলে প্রকৃতির সহজতাকেও সম্মান করতে হয়। জীবন, দেহ, আত্মা শালপাতার মতোই সহজ অথচ গভীর, চিরন্তন সত্তার সন্ধান সত্যে।

কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় লালন শাহের মাজারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা লালন একাডেমি আজ বাউল ও আধ্যাত্মিক চিন্তাধারার একটি শিল্পসংগত ঐক্য স্থাপন করেছে। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই একাডেমির সঙ্গে যুক্ত আয়নামহল, লালন জাদুঘর ও লালন আশ্রম, লালন অনুসারী ও দর্শনার্থীদের জন্য আধ্যাত্মিক জ্ঞানে সমৃদ্ধ, বর্ণাঢ্য পরিসর। প্রতি বছর দোলপূর্ণিমা ও লালনের তিরোধান দিবসে শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, জার্মানি, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ভক্ত ও সাধুদের সমাবেশ ঘটে, যা লালনের দর্শনের প্রতি বৈশ্বিক আগ্রহের প্রাণমোহ। লালনের মানবতাবাদী দর্শন, দেহতত্ত্ব, আধ্যাত্মিকতা নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে গবেষণা ক্রমবর্ধমান। জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়, ফ্রান্সের সরবোন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভারতের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় লালনের দর্শন ও ভাবনার ওপর গবেষণাপত্র প্রকাশ করছে, যা তাঁর আধ্যাত্মিক চিন্তাকে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করার অপরাজেয় সুযোগ। লালনের সুরকথার অপূর্ব মোহাঞ্জন সাধকের জারক- রসে অপরিসীম মন উদাস করা শিল্পশিক্ষায় চিরন্তন প্রাসঙ্গিকতা বহন করছে।

লালনের মানবতাবোধ, গীতিধর্মিতা বাংলায় আর্য অনার্যতায়, বাকভঙ্গির দার্ঢ্য বৈদগ্ধ্যে, তুরি বসন্ত, শ্রীগান্ধারে, ছন্দ রাগিণীর সৌকর্যে আন্দোলিত ছিল না, তবুও তাঁর দর্শন, গান, বিষয়জ্ঞান, মানবভাবনা অন্যত্র দর্শনধারায় প্রবাহিত হয়ে অনেক বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিত্বে প্রভাবিত। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, এলেন গিন্সবার্গের মতো সাহিত্যিকেরা লালনের চিন্তাধারায় শিল্পিত ছিলেন। লালনের গান ও দর্শন শুধু আধ্যাত্মরসের প্রশ্রয় নয়, বরং পরিশ্রম নিষ্ঠায় মানবরূপরসে উদ্দীপ্ত। মহাত্মা লালনের বাউলমন মানুষ আজও মনুরা, সহজমানুষ, অধরামানুষ, ভাবের মানুষ, অলখ সাঁই হয়ে সংশ্লিষ্ট-আদিবুদ্ধ, আদিনাথ, বোধিচিত্ত এবং সচ্চিদানন্দতত্ত্বের মৌলিক ঐক্যবদ্ধে। লালন ধর্ম, বর্ণ, গোত্রের ঊর্ধ্বে গিয়ে মানুষ ও মানবহিতৈষণার এক অনন্য দর্শন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা আজও প্রাসঙ্গিক। তাঁর গান, দর্শন এবং জীবনবোধ শেখায় কীভাবে বিভাজন ভুলে ভালোবাসা ও সমাজ স্থাপত্যে সর্বজনীন হয়ে ওঠা যায়। তাঁর সুরের একতারা, শালপাতার সহজ জীবন সত্যিই  লালনকে করেছে একজন মহাত্মা। স্বজ্ঞানে-স্বপ্নে-অবচেতনে, অন্তর্র্বর্তী রূপকে, মানবতার পথে শিল্প বিশ্বস্ত এক আকাশসত্য লালন।

এই বিভাগের আরও খবর
ভুল নদীর পাড়ে
ভুল নদীর পাড়ে
অগ্নি ভালো
অগ্নি ভালো
মেঘের অন্ধকার
মেঘের অন্ধকার
অদম্য রায়হান
অদম্য রায়হান
বাংলা কাব্যের প্রথম খাঁটি আধুনিক
বাংলা কাব্যের প্রথম খাঁটি আধুনিক
ইকারাস
ইকারাস
নতজানু
নতজানু
আয়ুপথ
আয়ুপথ
হৃদয় ভাঙার গান
হৃদয় ভাঙার গান
থাকবেন মুকুট হয়ে
থাকবেন মুকুট হয়ে
যাঁর নৈরাশ্যই মুক্তির দরজা খুলে দেয়
যাঁর নৈরাশ্যই মুক্তির দরজা খুলে দেয়
জার্নাল
জার্নাল
সর্বশেষ খবর
বিদেশি বিনিয়োগে মন্দা কাটছেই না
বিদেশি বিনিয়োগে মন্দা কাটছেই না

১৮ মিনিট আগে | অর্থনীতি

শপথ নিলেন চাকসুর বিজয়ীরা
শপথ নিলেন চাকসুর বিজয়ীরা

৪৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ফের বেড়েছে বিশ্ববাজারে সোনার দাম
ফের বেড়েছে বিশ্ববাজারে সোনার দাম

৫৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজবাড়ী সংস্কারে মিলল শতবর্ষের লোহার কড়াই, স্থানীয়দের কৌতূহল
রাজবাড়ী সংস্কারে মিলল শতবর্ষের লোহার কড়াই, স্থানীয়দের কৌতূহল

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলামোটরে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার চাকরিপ্রত্যাশীদের সড়ক অবরোধ
বাংলামোটরে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার চাকরিপ্রত্যাশীদের সড়ক অবরোধ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাবির নিয়োগে অনিয়ম, সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে অনশন
রাবির নিয়োগে অনিয়ম, সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে অনশন

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

চাকরির প্রলোভনে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতেন এই শিক্ষক
চাকরির প্রলোভনে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতেন এই শিক্ষক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অগ্নিনিরাপত্তা পরিদর্শন সপ্তাহ পালনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
অগ্নিনিরাপত্তা পরিদর্শন সপ্তাহ পালনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিখোঁজ অটোচালকের মরদেহ উদ্ধার, চাওয়া হয়েছিল মুক্তিপণ
নিখোঁজ অটোচালকের মরদেহ উদ্ধার, চাওয়া হয়েছিল মুক্তিপণ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এ কে আজাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ফরিদপুরে বিএনপির মশাল মিছিল
এ কে আজাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ফরিদপুরে বিএনপির মশাল মিছিল

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোহাম্মদপুরে বিভিন্ন অপরাধে গ্রেফতার ১৩
মোহাম্মদপুরে বিভিন্ন অপরাধে গ্রেফতার ১৩

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৩১ রুশ সেনার বিনিময়ে ১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনার মরদেহ ফেরত
৩১ রুশ সেনার বিনিময়ে ১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনার মরদেহ ফেরত

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘১৭ বছর মারধর ও ১৫ মামলা খেয়েছি, তবুও দল ছাড়িনি’
‘১৭ বছর মারধর ও ১৫ মামলা খেয়েছি, তবুও দল ছাড়িনি’

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উষ্ণায়নে বিপাকে ক্রিল, হুমকিতে সমুদ্রের খাদ্যচক্র
উষ্ণায়নে বিপাকে ক্রিল, হুমকিতে সমুদ্রের খাদ্যচক্র

৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

দেশের দুই বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
দেশের দুই বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাসার বাংলাদেশ পর্ব বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন বেসিস প্রশাসক
নাসার বাংলাদেশ পর্ব বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন বেসিস প্রশাসক

৩ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আখাউড়ায় ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু
আখাউড়ায় ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সরাইলে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী ও শ্বশুর পলাতক
সরাইলে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী ও শ্বশুর পলাতক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতে কার্বাইড বন্দুকের বিস্ফোরণে দৃষ্টিশক্তি হারাল ১৪ শিশু
ভারতে কার্বাইড বন্দুকের বিস্ফোরণে দৃষ্টিশক্তি হারাল ১৪ শিশু

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি আরবকে কটাক্ষ করে মাফ চাইলেন ইসরায়েলি মন্ত্রী
সৌদি আরবকে কটাক্ষ করে মাফ চাইলেন ইসরায়েলি মন্ত্রী

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ মাস পর সিরিজ জিতে দলের প্রশংসায় মিরাজ
১৯ মাস পর সিরিজ জিতে দলের প্রশংসায় মিরাজ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিতে নতুন শিক্ষার্থীদের নিয়ে নবীনবরণ
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিতে নতুন শিক্ষার্থীদের নিয়ে নবীনবরণ

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘চাই না আমার কথায় শাহরুখের সংসারে ঝড় উঠুক’
‘চাই না আমার কথায় শাহরুখের সংসারে ঝড় উঠুক’

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বালিয়াকান্দিতে বিএনপির কর্মী সম্মেলন
বালিয়াকান্দিতে বিএনপির কর্মী সম্মেলন

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নোয়াখালীতে ‘সুষ্ঠু নির্বাচনই সবচেয়ে বড় সংস্কার’ বিষয়ে তারুণ্যের ভাবনা বিতর্ক প্রতিযোগিতা
নোয়াখালীতে ‘সুষ্ঠু নির্বাচনই সবচেয়ে বড় সংস্কার’ বিষয়ে তারুণ্যের ভাবনা বিতর্ক প্রতিযোগিতা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : জার্মান রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : জার্মান রাষ্ট্রদূত

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৬ কর্মকর্তাকে রদবদল
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৬ কর্মকর্তাকে রদবদল

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘৩১ দফা জনগণের অধিকার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার’
‘৩১ দফা জনগণের অধিকার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার’

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১১ দফা দাবিতে আলেকান্দা সরকারি কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
১১ দফা দাবিতে আলেকান্দা সরকারি কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
হাসপাতালের মর্গের ভেতর তরুণীর মরদেহকে ধর্ষণ, আদালতে ডোমের স্বীকারোক্তি
হাসপাতালের মর্গের ভেতর তরুণীর মরদেহকে ধর্ষণ, আদালতে ডোমের স্বীকারোক্তি

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রুশ বোমারু বিমানের টহল, প্রথম পারমাণবিক মহড়ার প্রস্তুতি
রুশ বোমারু বিমানের টহল, প্রথম পারমাণবিক মহড়ার প্রস্তুতি

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে কেন রাস্তায় নামছে না জেন জি প্রজন্ম?
ভারতে কেন রাস্তায় নামছে না জেন জি প্রজন্ম?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পশ্চিম তীর দখলের বিল পাসের বিরোধীতায় যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরব-কাতার
পশ্চিম তীর দখলের বিল পাসের বিরোধীতায় যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরব-কাতার

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চার শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ
চার শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় তুর্কি সেনাদের ঢুকতে দেবেন না নেতানিয়াহু
গাজায় তুর্কি সেনাদের ঢুকতে দেবেন না নেতানিয়াহু

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

করণ জোহরের জীর্ণ শরীরের রহস্য ফাঁস
করণ জোহরের জীর্ণ শরীরের রহস্য ফাঁস

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ অক্টোবর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলি হামলার শঙ্কাতেই কি তুরস্কের আকাশ শক্তি বাড়ানোর তোড়জোড়?
ইসরায়েলি হামলার শঙ্কাতেই কি তুরস্কের আকাশ শক্তি বাড়ানোর তোড়জোড়?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দ্রুতই হারানো ভূমির নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা, সাহায্য করছে কারা?
দ্রুতই হারানো ভূমির নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা, সাহায্য করছে কারা?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কমেছে স্বর্ণের দাম, আজ থেকে নতুন দামে বিক্রি
কমেছে স্বর্ণের দাম, আজ থেকে নতুন দামে বিক্রি

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মার্কিন বাহিনীকে মোকাবিলায় পাঁচ হাজার রুশ মিসাইল মোতায়েন ভেনেজুয়েলার
মার্কিন বাহিনীকে মোকাবিলায় পাঁচ হাজার রুশ মিসাইল মোতায়েন ভেনেজুয়েলার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরব সাগরে ১০০ কোটি ডলারের মাদক জব্দ করল পাকিস্তান নৌবাহিনী
আরব সাগরে ১০০ কোটি ডলারের মাদক জব্দ করল পাকিস্তান নৌবাহিনী

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের পদক্ষেপ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা: মেদভেদেভ
ট্রাম্পের পদক্ষেপ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা: মেদভেদেভ

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুবলীগ নেতা সম্রাটকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ
যুবলীগ নেতা সম্রাটকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের ‌‘আশ্রিত রাজ্য’ নয় ইসরায়েল : নেতানিয়াহু
যুক্তরাষ্ট্রের ‌‘আশ্রিত রাজ্য’ নয় ইসরায়েল : নেতানিয়াহু

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বড় জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের
বড় জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনা-কামালের মামলার রায়ের দিন ধার্য হবে ১৩ নভেম্বর
হাসিনা-কামালের মামলার রায়ের দিন ধার্য হবে ১৩ নভেম্বর

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাপানে ভালুকের আক্রমণে রেকর্ড মৃত্যু
জাপানে ভালুকের আক্রমণে রেকর্ড মৃত্যু

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রবাসী করদাতাদের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল সহজ করল এনবিআর
প্রবাসী করদাতাদের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল সহজ করল এনবিআর

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পশ্চিম তীর দখলের বিল পাসকে ‘বিরোধী দলের উস্কানি’ বলল নেতানিয়াহুর দল
পশ্চিম তীর দখলের বিল পাসকে ‘বিরোধী দলের উস্কানি’ বলল নেতানিয়াহুর দল

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইভিএম বাতিল, প্রার্থীর দেশি-বিদেশি আয়ের তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক
ইভিএম বাতিল, প্রার্থীর দেশি-বিদেশি আয়ের তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘হাসিনাসহ আসামিদের শাস্তি না হলে শহীদ-আহতদের প্রতি অবিচার হবে’
‘হাসিনাসহ আসামিদের শাস্তি না হলে শহীদ-আহতদের প্রতি অবিচার হবে’

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্পের প্রস্তাব ‘ভালো সমঝোতা’ : জেলেনস্কি
ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্পের প্রস্তাব ‘ভালো সমঝোতা’ : জেলেনস্কি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীপুরে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ
শ্রীপুরে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইসরায়েলের সংসদে পশ্চিম তীর দখলের বিল পাস
ইসরায়েলের সংসদে পশ্চিম তীর দখলের বিল পাস

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকার থেকে বিতর্কিত ব্যক্তিদের চলে যেতে হবে
সরকার থেকে বিতর্কিত ব্যক্তিদের চলে যেতে হবে

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নামিয়া আনাম: নৃত্য থেকে প্রেম, প্রেম থেকে যেভাবে জেমসের জীবনসঙ্গী
নামিয়া আনাম: নৃত্য থেকে প্রেম, প্রেম থেকে যেভাবে জেমসের জীবনসঙ্গী

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সিইসির সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি
সিইসির সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পশ্চিম তীর সংযুক্তিকরণ নিয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র
পশ্চিম তীর সংযুক্তিকরণ নিয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
এনসিপি থেকে পদত্যাগ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর
এনসিপি থেকে পদত্যাগ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী কোকোর সহধর্মিণী শর্মিলা, জামায়াতের ড. মোস্তফা
বিএনপির প্রার্থী কোকোর সহধর্মিণী শর্মিলা, জামায়াতের ড. মোস্তফা

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

হঠাৎ বিতর্কে উপদেষ্টারা
হঠাৎ বিতর্কে উপদেষ্টারা

প্রথম পৃষ্ঠা

ট্রাম্প-মোদি বৈঠক বাতিল, অনিশ্চিত বাণিজ্য চুক্তি
ট্রাম্প-মোদি বৈঠক বাতিল, অনিশ্চিত বাণিজ্য চুক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির গোলাম নবী ও হায়দার বিজেপির পার্থ জামায়াতের নজরুল
বিএনপির গোলাম নবী ও হায়দার বিজেপির পার্থ জামায়াতের নজরুল

নগর জীবন

স্বাস্থ্যে থাকবে শুধু তিনটি অধিদপ্তর
স্বাস্থ্যে থাকবে শুধু তিনটি অধিদপ্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

একটি দল সনদ স্বাক্ষরের সুযোগ খুঁজছে
একটি দল সনদ স্বাক্ষরের সুযোগ খুঁজছে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিচার শেষ আসছে রায়
বিচার শেষ আসছে রায়

প্রথম পৃষ্ঠা

শুধু ’৭১ নয়, ’৪৭ থেকে সব ভুলের ক্ষমা চাই
শুধু ’৭১ নয়, ’৪৭ থেকে সব ভুলের ক্ষমা চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

মিরাজকে আরও সময় দিতে চান বুলবুল
মিরাজকে আরও সময় দিতে চান বুলবুল

মাঠে ময়দানে

অগ্নি ভালো
অগ্নি ভালো

সাহিত্য

রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয়
রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

মাঠে ময়দানে

লিটন ফিরলেন, বাদ পড়লেন সাইফউদ্দিন
লিটন ফিরলেন, বাদ পড়লেন সাইফউদ্দিন

মাঠে ময়দানে

নির্বাচন ও রাজনীতির গতিপ্রকৃতি
নির্বাচন ও রাজনীতির গতিপ্রকৃতি

সম্পাদকীয়

পোশাক খাতে অস্থিরতা
পোশাক খাতে অস্থিরতা

সম্পাদকীয়

বাস্তবে তেমন কিছু না
বাস্তবে তেমন কিছু না

নগর জীবন

কালো দাগ রেখেই নতুন বাংলাদেশের পথ চলা
কালো দাগ রেখেই নতুন বাংলাদেশের পথ চলা

সম্পাদকীয়

শেষ জমানার ফিতনা থেকে বাঁচুন
শেষ জমানার ফিতনা থেকে বাঁচুন

সম্পাদকীয়

মানবিক বাংলাদেশ গড়তে ধানের শীষে ভোট দিন
মানবিক বাংলাদেশ গড়তে ধানের শীষে ভোট দিন

নগর জীবন

অবিলম্বে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে
অবিলম্বে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে

নগর জীবন

বিএনপি মহাসচিবের নাম ভাঙিয়ে প্রভাব বিস্তার দলীয় কার্যালয়ে অভিযোগ
বিএনপি মহাসচিবের নাম ভাঙিয়ে প্রভাব বিস্তার দলীয় কার্যালয়ে অভিযোগ

নগর জীবন

ফেবারিটদের জয়ের রাত
ফেবারিটদের জয়ের রাত

মাঠে ময়দানে

২০ রেকর্ডে শেষ হলো জাতীয় সাঁতার
২০ রেকর্ডে শেষ হলো জাতীয় সাঁতার

মাঠে ময়দানে

কুয়েতে কেমন খেলবে বসুন্ধরা কিংস
কুয়েতে কেমন খেলবে বসুন্ধরা কিংস

মাঠে ময়দানে

চাপে নতি স্বীকার নয়
চাপে নতি স্বীকার নয়

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড মুখোমুখি
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড মুখোমুখি

মাঠে ময়দানে

আজকের প্রশ্ন
আজকের প্রশ্ন

মাঠে ময়দানে

রাশিয়ার তেলে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা
রাশিয়ার তেলে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা

পূর্ব-পশ্চিম

একসঙ্গে প্রার্থনায় পোপ লিও ও রাজা চার্লস
একসঙ্গে প্রার্থনায় পোপ লিও ও রাজা চার্লস

পূর্ব-পশ্চিম