দৈনন্দিন সাজসজ্জার জন্য ব্যবহৃত প্রসাধনী সামগ্রী শুধু সৌন্দর্যই বাড়ায় না, সঠিক ব্যবহারে ত্বকের স্বাস্থ্যও বজায় রাখে। তবে দামি পণ্যও সঠিক যত্নের অভাবে নষ্ট হতে পারে এবং ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। তাই প্রসাধনীর সঠিক পরিচর্যা ও ব্যবহার উপযোগিতা সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি। প্রথমেই ত্বকের জন্য উপযুক্ত ও বিশ্বাসযোগ্য ব্র্যান্ডের পণ্য নির্বাচন করা উচিত। মেয়াদোত্তীর্ণ বা মানহীন প্রসাধনী ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।
পণ্যের ব্যবহার উপযোগিতা (মেয়াদ) :
♦ চোখের মেকআপ (মাশকারা, আইলাইনার): এ পণ্যগুলোর সিল খোলার পর মেয়াদ থাকে ৩ মাস। এগুলো দ্রুত নষ্ট হয়।
♦ তরল ফাউন্ডেশন, কনসিলার : মেয়াদ প্রায় ৬ মাস। ছোট সাইজের পণ্য কেনা ভালো।
♦ লিপস্টিক, আই/লিপ পেনসিল : লিপস্টিক ৭-৯ মাস, পেনসিল প্রায় ১ বছর।
♦ ক্রিম ফাউন্ডেশন, আইশ্যাডো : এসব প্রসাধনী ৩-৬ মাস (ভালো ব্র্যান্ডে ১ বছর)।
♦ পাউডার বেসড পণ্য : পাউডার ২ বছর, পাউডার আইশ্যাডো ৩ বছর, ব্লাশঅন ৬ মাস।
♦ ক্লিনজার ও টোনার : ক্রিম/জেল ক্লিনজারের মেয়াদ সাধারণত থাকে ১ বছর, ফেসিয়াল ক্লিনজার ৬ মাস, টোনার ১ বছর।
সংরক্ষণ ও পরিচ্ছন্নতা :
♦ প্রসাধনী আলাদা বক্সে রাখুন। ক্রিমজাত পণ্য ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন।
♦ কোনো প্রসাধনীর ঢাকনা খোলা রাখবেন না।
♦ ব্রাশ, স্পঞ্জ বা পাফ সপ্তাহে অন্তত দুই দিন ভালোভাবে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করুন।
♦ ভেজা টুলস ব্যবহার করা উচিত নয়।
♦ নিজের মেকআপ টুলস অন্যকে ব্যবহার করতে দেবেন না।
♦ লিপস্টিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রার ফ্রিজে রাখলে ভালো থাকে।
রূপচর্চার প্রতিটি পণ্যের নির্দিষ্ট আয়ু, ব্যবহারবিধি ও সংরক্ষণ প্রক্রিয়া মেনে চললে ত্বক থাকবে সুস্থ, নিরাপদ ও উজ্জ্বল।
লেখা : রেদোয়ান মাহফুজ