সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বুদ্ধিজীবী হত্যায় প্রথম ফাঁসি মুজাহিদের

 বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর যোগসাজশে বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে প্রথম ফাঁসি কার্যকর হয় তত্কালীন আলবদর বাহিনীর প্রধান আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের। একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকার মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ক্যাম্প বসিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিত। জামায়াতে ইসলামীর তত্কালীন ছাত্র সংগঠন পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদ নিয়মিতভাবে ওই ক্যাম্পে যাতায়াত করতেন।

তিনি ঊর্ধ্বতন সেনা অফিসারের সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী নানা অপরাধের পরামর্শ ও ষড়যন্ত্র করতেন। এ ধরনের ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়েই ১০ ডিসেম্বর থেকে বুদ্ধিজীবী নিধনসহ গণহত্যার মতো ঘটনা সংঘটিত হয়। এই অপরাধের দায়ে তাকে প্রথম ফাঁসিতে ঝুলতে হলো। এর মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে প্রথম কোনো যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকর হয়। অথচ মুজাহিদ ২০০৭ সালের অক্টোবরে আইন সংস্কার নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপ শেষে দাবি করেছিলেন, দেশে কোনো স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি নেই; যুদ্ধাপরাধীও নেই। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ২০১২ সালের ২১ জুন মুজাহিদের বিচার শুরু হয়। রায়ে সর্বোচ্চ আদালত বলেছেন, একাত্তরের পাশবিক নিষ্ঠুরতার জন্য তত্কালীন আলবদর বাহিনীর প্রধান নেতার মৃত্যুদণ্ডই ন্যায়বিচার।

সর্বশেষ খবর