শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৪ মে, ২০২৩ আপডেট:

সাদ্দামের উত্থান ও নিষ্ঠুর পতন

তানভীর আহমেদ
প্রিন্ট ভার্সন
সাদ্দামের উত্থান ও নিষ্ঠুর পতন

সাদ্দাম ট্র্যাজেডি

সাদ্দাম হোসেন। ইরাকের সাবেক রাষ্ট্রপতি। এ পরিচয়ের চেয়ে বড় ছিল- তিনি পশ্চিমাদের ত্রাস। তিনি জুলাই ১৬, ১৯৭৯ থেকে এপ্রিল ৯, ২০০৩ পর্যন্ত ইরাকের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ইরাকের রাষ্ট্রপতি ও বাথ পার্টির প্রধান হিসেবে তিনি আরব জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ধর্মনিরপেক্ষ ও আধুনিক ইরাক গড়ে তোলার পথে পা বাড়ান। তিনি দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেন। যা ভালোভাবে নেয়নি পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো। সাদ্দাম ইরানের সঙ্গে ৯ বছরের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। এরপর ১৯৯১ সালে সাদ্দাম উপসাগরীয় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। ইরাকের স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধের সব পক্ষকে নির্মূল করার উদ্যোগ নিয়ে তিনি গোটা বিশ্বে সমালোচনার মুখে পড়েন। এক্ষেত্রে ইরাকের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী। শিয়া এবং স্বাধীনতাকামী কুর্দিরা ছিল সাদ্দামের টার্গেট। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইরাক আক্রমণ করে। সাদ্দাম ব্যাপক ধ্বংসাত্মক জীবাণু অস্ত্র তৈরি করছেন এই অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইরাকে অভিযান চালায়। কিন্তু তাদের এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন ছিল। যুদ্ধের পর সেই অস্ত্রের সন্ধান কখনই পাওয়া যায়নি।

 

যেভাবে রাষ্ট্রনায়ক সাদ্দামের উত্থান

সাদ্দাম হোসেনের জন্ম উত্তর-ইরাকের তিকরিত প্রদেশের আউজা গ্রামে। তার শৈশব খুব সাজানো ছিল না। জন্মের পর বাবা নিরুদ্দেশ হলেন। তার মা আবার বিয়ে করেন। সৎ বাবার ঘরে সাদ্দামের জীবন সুখকর ছিল না। এরপর বাগদাদে তার মামার বাড়িতে বেড়ে ওঠেন। রাজনীতিতে তিনি সক্রিয় হন তার মামার সূত্র ধরে। সাদ্দামের মামা বাথ পার্টির সক্রিয় নেতা ছিলেন। ১৯৫৭ সালের কথা। তখন সাদ্দামের বয়স মাত্র ২০ বছর। এই তরুণ বয়সেই তিনি বাথ পার্টির সদস্য হন। দলে তার অংশগ্রহণ ও কর্মপরিধি বাড়তে থাকে। ১৯৬৩ সালে বাথ পার্টি সরকার উৎখাত করে ক্ষমতায় আসে। তবে সেটি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ১৯৬৮ সালে বাথ পার্টি আবার ক্ষমতা দখল করে। এটি তার জন্য মাইলফলক ছিল। কারণ সেবার তাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর ১৯৭৯ সালে ইরাকের প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করলে সাদ্দাম প্রেসিডেন্টের কার্যভার গ্রহণ করেন। ইরাকের ভাগ্য লেখার মানসে ক্ষমতায় বসেন তিনি। তার শাসনামলে ইরাকের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হয়। সাধারণ মানুষের জীবনমানের উন্নতি ঘটে। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত সাদ্দামের নেতৃত্বে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালিত হয়। ইরানের বিরুদ্ধে প্রায় নয় বছর দীর্ঘস্থায়ী  যুদ্ধে উভয় দেশের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়। এই যুদ্ধে কোনো দেশই চূড়ান্ত সফলতা পায়নি। ইরাক-ইরান যুদ্ধে ইরাককে পেছন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব  ইন্ধন জুগিয়েছিল। এই যুদ্ধে সাদ্দামের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। ১৯৮৮ সালে কুর্দি শহর হালাফজায় কুর্দিদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে সাদ্দাম পাঁচ হাজার কুর্দির মৃত্যু ঘটান। এরপর সময়ের পালাবদলে সাদ্দাম ১৯৯০ সালে কুয়েত দখল করেন। এবার দাবার দান উল্টে যায়। যুক্তরাষ্ট্র কুয়েতের পক্ষ নেয়। কারণ আর কিছুই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য ছিল মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করে সামরিক ও বাণিজ্যিক স্বার্থ হাসিল। যুক্তরাষ্ট্রের জমজমাট অস্ত্রবাণিজ্যের কথা কে না জানে। ইরাক-কুয়েত যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনী কুয়েতের পক্ষে প্রত্যক্ষ অংশ নিলে ইরাক পরাজিত হয়। এ যুদ্ধ-পরবর্তী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধকালীন প্রেসিডেন্ট সিনিয়র বুশ কুয়েত সফরে এলে তাকে বীরোচিত সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং বিপুল অংকের অর্থের উপহারসামগ্রী দেওয়া হয়। ইরাকের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর চেষ্টা সবার সামনে চলে আসে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য নেতৃত্বাধীন বাহিনী ২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণ করে। এ যুদ্ধে ইরাকি বাহিনী পরাজিত হয়। সাদ্দাম আত্মগোপনে চলে যান।

 

 কেন টার্গেট ছিলেন সাদ্দাম

মধ্যপ্রাচ্যে তেল জাতীয়করণের পেছনে সাদ্দামের অবদান অনেক। তিনিই প্রথম তেল জাতীয়করণ করেছিলেন এবং একই পথ ধরে বাকি আরব রাষ্ট্রগুলোও তেল জাতীয়করণ করে। ফলাফলে তেল থেকে প্রাপ্ত মুনাফা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো নিজেরাই ব্যবহার করতে পারছে এবং অবকাঠামো গড়ে তুলছে। তবে তেলের এই রমরমা বাজারের প্রথম সারির ক্রেতা পশ্চিমারা। যে কারণে তেলের বাজারে হস্তক্ষেপ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে তারা। মধ্যপ্রাচ্যের এই দামি তেলের দখল নেওয়া ও রাজনৈতিক প্রভাব বাড়ানো, দুইয়ে দুইয়ে চার হয়ে যায়। সে বাজার দখলের পথে অন্যতম বাধা ছিলেন সাদ্দাম হোসেন। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যানসেট অনুমান করেছে, মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর আগ্রাসনের তারিখ থেকে ২০০৬ সালের জুনের শেষ পর্যন্ত ইরাকে সাড়ে ছয় লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। পরবর্তীতে আরও হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে দেশটিতে। এ যুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যের তেল ও রাজনৈতিক প্রভাব দুটিই হাসিল করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

 

ইরাক জ্বালানোর মিশন প্রেসিডেন্ট বুশের

পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে সাদ্দামের হাতে-এ অভিযোগ তুললেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ। মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা তৈরি, তেল-খনিজ সম্পদ দখল, যুদ্ধের রাজনীতি ও টুইন টাওয়ারে হামলার প্রতিশোধ-মিলেমিশে ইরাক জ্বালানোর মিশনে নামে যুক্তরাষ্ট্র। ২০০৩ সালের ৩ মার্চ প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ সাদ্দাম হোসেনের পতন ঘটাতে ইরাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রসহ তাদের মিত্র কয়েকটি দেশ মিলে ইরাকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ অভিযান শুরু করে। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে ইরাকের সব সামরিক আর অর্থনৈতিক স্তম্ভগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হতে লাগল। রাস্তা, সেতু, বিদ্যুৎকেন্দ্র আর তেলের খনিগুলোর ওপরে বোমা বর্ষণ চলল। দেশের ভিতর থেকে সাদ্দাম বিরোধীরা একজোট হয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করেছিল সে সময়। তাই তাদের কাজটা আরও সহজ হয়ে পড়ল। যুদ্ধবাজ প্রেসিডেন্ট বুশের সমালোচনা, নিন্দা, বিক্ষোভ শুরু হলো দেশে দেশ। কিন্তু কিছুতেই থামেনি মার্কিন সেনাদের হামলা। মার্কিনিদের যুদ্ধাস্ত্রের আঘাতে ইরাকের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিধ্বস্ত হয়। নারী, শিশুসহ বেসামরিক মানুষ মারা পড়ে এই যুদ্ধে। অর্থনীতি পুরোমাত্রায় ভেঙে পড়ে। ইরাক জ্বালিয়ে দিল যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সাদ্দাম মার্কিন সেনাবাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে বেড়িয়েছেন ইরাকের নানা গোপন আস্তানায়। তাকে লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল মাটির তলার বাঙ্কারে। তবুও শেষ রক্ষা হয়নি। ২০০৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর আমেরিকান সেনাদের হাতে ধরা পড়েন তিনি। 

 

যুক্তরাষ্ট্রের যে দুই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি

গ্রেফতার হওয়ার পর সাদ্দাম হোসেনকে তার মুক্তির জন্য তাকে ভাইস প্রেসিডেন্টের নাম ঘোষণার প্রস্তাব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে তিনি সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। সাদ্দামের আইনি সুরক্ষা দলের প্রধান খলিল আল-দুলাইমি এ তথ্য প্রকাশ করেন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। সাদ্দাম হোসেনের তৎকালীন আইনি কর্মকর্তা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সাদ্দামকে ফালুজায় মার্কিন সৈন্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধ করে দেশ ছেড়ে চলে যেতে প্রস্তাব দিয়েছিল কিন্তু তিনি সে প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

 

সাদ্দামের ফাঁসিতে কেঁদেছিল মার্কিন সেনারা

আটকের পর যুক্তরাষ্ট্রের ইশারায় ইরাকি সরকার সাদ্দামকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করায়। প্রহসনের শামিল এ বিচারে তার বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ ছিল,  তিনি ১৯৮২ সালে হত্যার মাধ্যমে উৎখাত ও তার ব্যর্থ অভ্যুত্থানে জড়িত সন্দেহে দুজাইলের ১৪৮ নাগরিককে ফাঁসি দিয়েছিলেন। বিচারপতি রউফ আবদুর রহমানের জন্ম হালাফজায়। এ শহরটিতে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের মাধ্যমে পাঁচ হাজার কুর্দি হত্যার ব্যাপারে সাদ্দামের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ছিল, দাবি করা হয় সে হত্যাকান্ডে এ বিচারপতির বেশ কিছু আত্মীয় প্রাণ হারান। সাদ্দাম হোসেন বিভিন্ন সময় বিচারকের সামনে যেসব জবাব দিয়েছিলেন তারই কিছু অংশ- ‘‘আমি সাদ্দাম হোসেন আল মাজিদ, প্রেসিডেন্ট অব ইরাক। আপনাকে (বিচারককে) একজন ইরাকি ধরে আমি কথা বলছি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমি ইরাকের প্রেসিডেন্ট ছিলাম যখন কুয়েতে আক্রমণ চালানো হয়। দুঃখজনকভাবে, একজন ইরাকির থেকেই আমার ওপর এই অভিযোগ আসল, এটা কি ন্যায়বিচার হলো? সেই কুয়েত যারা বলেছিল, সব ইরাকি মেয়েদের রাস্তার দশ দিনারের পতিতা বানাবে। আমি ইরাকের সম্মান রক্ষা করেছি এবং কুয়েতের ওপর ইরাকের ঐতিহাসিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছি।... তারা (যুক্তরাষ্ট্র) মিথ্যাবাদী। তারা ঘোষণা দিল, আমাদের দেশে ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে। এখন বলছে তারা পায়নি। কিন্তু সাদ্দাম মিথ্যা বলে নাই, আমি এখনো আমাকে করা আঘাতের চিহ্ন দেখাতে পারি। ইরাক কখনোই মিথ্যাবাদীদের গ্রহণ করেনি, আজও করব না। আমেরিকান গণতন্ত্র এইখানে লজ্জা নিয়ে এসেছে, তারা আমার হাত ঘড়িটা পর্যন্ত চুরি করে নিয়ে গেছে।”

বিচারের কাঠগড়ায় সাদ্দাম ছিলেন সাহসী ও সোচ্চার। কিন্তু তার বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত এতটাই জোরদার ছিল যে তিনি কোণঠাসা হয়ে পড়েন। আজও বিশ্লেষকরা বলেন, প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে সাদ্দামকে ফাঁসির দন্ড দেওয়া হয়। দন্ড ঘোষণার পর জীবনের শেষ দিনগুলোতে সাদ্দাম হোসেনকে পাহারা দিয়েছিলেন ১২ জন মার্কিন সেনা। তাদেরই একজন উইল বার্ডেনওয়ার্পার একটি বই লিখেছেন, বাংলায় বইটির নাম বলা যায়, ‘নিজের প্রাসাদেই এক বন্দি, তার আমেরিকান প্রহরী- ইতিহাস যে কথা বলেনি’। বইটিতে বার্ডেনওয়ার্পার লিখেন- ‘তারা যখন সাদ্দাম হোসেনকে জল্লাদদের হাতে তুলে দিলেন ফাঁসির জন্য, তখন তাদের ১২ জনেরই চোখে পানি এসে গিয়েছিল।’ ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সাদ্দামের মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়।

 

ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির কাছে সাদ্দামের মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছিল

মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার পর সাদ্দামের মরদেহটি তার বাসভবন ও প্রধানমন্ত্রী নুর-ই আল-মালিকির বাসভবনের মাঝখানে ফেলে রাখা হয়েছিল। ২০২০ সালের মে থেকে ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ইরাকের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন আল-খাদিমি। সাদ্দাম সরকারের বিরোধী হিসেবেও পরিচিতি ছিল তার। আল-খাদিমির ভাষ্যমতে, সে সময় মরদেহের পাশে একদল নিরাপত্তারক্ষীকে দেখতে পান। সাদ্দামের মরদেহের প্রতি সম্মান দেখাতে সেটি থেকে তাদের দূরে সরে যেতেও বলেন তিনি। সাদ্দাম হোসেনের জন্ম ইরানের আল-নাদা গোত্রে। তাই প্রধানমন্ত্রী আল-মালিকি নির্দেশ দিয়েছিলেন, সাদ্দামের মরদেহ যেন এই গোত্রের যেকোনো একজন নেতার হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর সাদ্দামকে তিকরিত শহরে দাফন করা হয়েছিল। ২০১২ সালের পর ইরাকের এই এলাকাটি সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দখলে চলে যায়। তখন কবর থেকে সাদ্দামের মরদেহ তুলে গোপন স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে তার কবর কোথায়, তা কেউ জানে না।

 

সাদ্দাম গেল, এলো আইএস

শান্তি প্রতিষ্ঠার শিরোনামে সাদ্দামকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে। সাদ্দামের ইরাকে যে রাসায়নিক ও জীবাণু অস্ত্রের সন্ধানে আমেরিকার এই হামলা সেটি অজুহাত ছাড়া আর কিছুই ছিল না। ইরাকে এমন কোনো অস্ত্রের সন্ধান পায়নি মার্কিনিরা। তাই যুদ্ধের এত বছর পরও মার্কিনিদের বিপক্ষে আঙ্গুল তুলছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এ নিয়ে সমালোচনার তোড়ে প্রায়শ আমেরিকান ইমেজে কালি পড়ে যায়। সেই কালিমার পুরুত্ব কমাতে নেতৃস্থানীয়রা ভুল স্বীকার করেছেন। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার, যিনি সাদ্দাম হোসেনকে উৎখাতে জর্জ বুশের প্রধান সঙ্গী ছিলেন, স্বীকার করেছেন ইরাকে সামরিক হামলার কারণেই ইসলামিক স্টেটের উদয় হয়েছে। সাক্ষাৎকারে ব্লেয়ার বলেছেন, সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতা থেকে সরাতে যারা জড়িত ছিলেন ইরাকের আজকের পরিস্থিতির জন্য তাদেরও কিছু দায়ভার আছে। কারণ যুদ্ধ শেষে পরিস্থিতি কোন দিকে যেতে পারে সে বিষয়ে তাদের বোঝার কিছু ভুল হয়েছিল। ইরাক যুদ্ধের কারণে ইসলামিক স্টেটের উত্থান ঘটেছে বলে যে ধারণা করা হয় তার মধ্যে কিছু সত্যতা আছে বলেও তিনি স্বীকার করেছেন। ঘটনা এখানেই শেষ নয়। আইএসের উত্থানের পেছনে সাদ্দামের পতন যে বড় কারণ ছিল সেটাও মনে করেন অনেকে। সাদ্দাম আমলের শতাধিক সেনা কর্মকর্তা আইএসের নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন। তেমনই একজন আল-আনি। তিনি ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিগোষ্ঠীর কমান্ডার ছিলেন। অথচ এক সময় তিনি ইরাকি সেনাবাহিনীরই মেজর জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।  ইরাকি বাহিনীর এমন বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কথা পরে জানা যায়, যারা ইরাকি সাবেক সেনা কর্মকর্তা আইএসে যোগ দিয়েছেন।

 

শান্তি-সমৃদ্ধি কিছুই পাননি ইরাকিরা

সাদ্দামের পতনের পর পশ্চিমা মিডিয়াগুলো নিয়মিত প্রচার করত- একনায়কের পতনের পর এবার শান্তি-সমৃদ্ধি মিলবে সাধারণ ইরাকিদের। ২০০৩ সালে সাদ্দামের হাত থেকে ইরাকের ভাগ্য কেড়ে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকার ইরাকের দায়িত্ব নেয়। এরপর পেরিয়ে গেছে দুই দশক। গত ২০ বছরে ভাগ্য ফেরেনি ইরাকিদের। নিরাপত্তাহীনতা ও দরিদ্রতার সঙ্গে রাজনৈতিক অস্থিরতা সাধারণ ইরাকিদের সংকট শুধু বাড়িয়েছে। ঘটেছে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের হামলা। এখনো ইরাক অন্ধকারে ঘুরপাক খাচ্ছে। বাগদাদের ফিরদৌস চত্বরে সাদ্দামের ব্রোঞ্জ মূর্তিটি যে কংক্রিটের স্তম্ভের উপরে দাঁড়িয়ে ছিল, সেটি আজও খালি পড়ে রয়েছে। যেন সাদ্দাম ট্র্যাজেডির সাক্ষী হয়ে রয়েছে এটি। অথচ এই মূর্তিটিকে উল্লাসের ধ্বনিতে টেনে মাটিতে নামানো হয়েছিল। মার্কিন অভিযানের পর থেকে ইরাকে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা শুধু কাগজেই মেলে। আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো যখন সাধারণ ইরাকিদের বর্তমান চিত্র তুলে আনতে ছোটেন তখনো পুরনো প্রশ্নটাই ঘুরে ফিরে আসে। এখনো বহু ইরাকি জানেন না ২০ বছর আগের মার্কিন অভিযান তাদের কতটা শান্তি এনে দিতে পেরেছে।  ইরাক এখনো দাঁড়াতে পারেনি বলেই মত দেন অনেকে। ‘ইরাকের জন্য স্বাধীনতা’ নামধারী সামরিক অভিযানটিকে ইরাকের ‘লিবারেশন’ বা মুক্তি বলে গণ্য করেন না অনেকে। ইরাকের বর্তমান সমস্যাগুলোর জন্যও মার্কিনিদের তৈরি শাসন ও আইনগুলোকেই দায়ী করা হয়। মার্কিন ইশারায় ইরাকের শাসনতন্ত্র নিয়ে জনগণের অভিযোগের অন্ত নেই। রাজনীতিকদের উচ্চ বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে। জনগণের স্বার্থকে পেছনে ফেলে এ ধরনের নীতি রাষ্ট্র পরিচালকদের আরও উদাসীন হতেই সাহায্য করছে। এই বিরূপ পরিস্থিতি সামলে নিয়ে ইরাকিদের নিত্যজীবন চলছে। সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বিশেষভাবে সুরক্ষিত সরকারি ‘গ্রিন জোন’ রয়েছে। সাধারণ মানুয়ের জন্য গ্রিন জোন নেই। কিন্তু বাস্তবতা এর থেকে বহু দূরে রয়েছে। উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি দেশে। নিরাপত্তা হুমকি মাথায় নিয়ে পথ চলতে হয়। সাদ্দাম যুগের পর শুধু ইরাকে চিত্র বদলে যায়নি। সারা বিশ্বের রাজনৈতিক হালচালও বদলে গেছে। ইরাক এক পা এক পা করে এগিয়ে যাচ্ছে। গৃহযুদ্ধের ভয়াবহতা ভুলে মানুষ ফিরদৌস চত্বরের চারপাশে রাত-দুপুর  ভিড় করতে শুরু করেছে। নাটক, গানের জলসাতে ছুটছে তারা। খাবারের রেস্তোরাঁয় ঢুঁ মারছে তারা। সাদ্দামের আমলে টেলিভিশনের জন্য ডিশ অ্যান্টেনা লাগানোও নিষিদ্ধ ছিল। একনায়কের বাড়াবাড়ির কথা ভুলে যায়নি মানুষ। আমেরিকানদের হাতে ভাগ্য সঁপে দিয়ে নিশ্চিন্ত নন সাধারণ ইরাকিরা।

এই বিভাগের আরও খবর
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
সর্বশেষ খবর
বিএনপি গণতন্ত্রকে দেশের মানুষের হাতে ফিরিয়ে দেবে: মিল্লাত
বিএনপি গণতন্ত্রকে দেশের মানুষের হাতে ফিরিয়ে দেবে: মিল্লাত

এই মাত্র | রাজনীতি

চট্টগ্রাম থেকে আমিরাতে আরও তিন জাহাজ রপ্তানি
চট্টগ্রাম থেকে আমিরাতে আরও তিন জাহাজ রপ্তানি

১ মিনিট আগে | অর্থনীতি

ডেমরায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু
ডেমরায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু

১ মিনিট আগে | নগর জীবন

ভারতকে ৯৩ মিলিয়ন ডলারের জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ দেবে যুক্তরাষ্ট্র
ভারতকে ৯৩ মিলিয়ন ডলারের জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ দেবে যুক্তরাষ্ট্র

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এই রায়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে: বদিউল আলম
এই রায়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে: বদিউল আলম

৯ মিনিট আগে | জাতীয়

এনভিডিয়ার শেয়ারের অবিশ্বাস্য উত্থান
এনভিডিয়ার শেয়ারের অবিশ্বাস্য উত্থান

১০ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

আজ বাজারে যে দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ
আজ বাজারে যে দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ

১৩ মিনিট আগে | অর্থনীতি

শীতে এলার্জির সমস্যা রোধে ৫ উপায়
শীতে এলার্জির সমস্যা রোধে ৫ উপায়

১৭ মিনিট আগে | জীবন ধারা

অর্থ আত্মসাৎ মামলা তদন্তে সাকিবসহ ১৫ জনকে দুদকে তলব
অর্থ আত্মসাৎ মামলা তদন্তে সাকিবসহ ১৫ জনকে দুদকে তলব

১৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ছায়ানটে বসছে লোকসংগীতের সন্ধ্যা
ছায়ানটে বসছে লোকসংগীতের সন্ধ্যা

২০ মিনিট আগে | শোবিজ

জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে নোয়াখালীতে মানববন্ধন
জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে নোয়াখালীতে মানববন্ধন

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ছাত্রদলের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের সাপ্তাহিক স্কুল শুরু
ছাত্রদলের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের সাপ্তাহিক স্কুল শুরু

২৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

কৈলাশটিলায় বন্ধ কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
কৈলাশটিলায় বন্ধ কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

২৭ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

ফটিকছড়িতে কৃষকের পাকা ধান পুড়িয়ে দিলো দুর্বৃত্তরা
ফটিকছড়িতে কৃষকের পাকা ধান পুড়িয়ে দিলো দুর্বৃত্তরা

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, ফিলিপাইনের সাবেক মেয়রের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, ফিলিপাইনের সাবেক মেয়রের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

৩১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভিনগ্রহীদের ঘাঁটি টিন্ডায়া পর্বত?
ভিনগ্রহীদের ঘাঁটি টিন্ডায়া পর্বত?

৩২ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

শ্রীপুরে তারেক রহমানের জন্মদিনে এতিমদের খাবার বিতরণ
শ্রীপুরে তারেক রহমানের জন্মদিনে এতিমদের খাবার বিতরণ

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার
৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার

৩৫ মিনিট আগে | জাতীয়

এবারও আঁধার কাটল না শ্যামপুর ও সেতাবগঞ্জ চিনিকলে, হতাশ চাষিরা
এবারও আঁধার কাটল না শ্যামপুর ও সেতাবগঞ্জ চিনিকলে, হতাশ চাষিরা

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৭৪৫
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৭৪৫

৩৭ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

নিউইয়র্কের রাস্তায় এড শিরানের অদ্ভুত যাত্রা
নিউইয়র্কের রাস্তায় এড শিরানের অদ্ভুত যাত্রা

৩৮ মিনিট আগে | শোবিজ

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব গৃহীত
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব গৃহীত

৩৮ মিনিট আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ সফরে কমনওয়েলথ মহাসচিব
বাংলাদেশ সফরে কমনওয়েলথ মহাসচিব

৪৩ মিনিট আগে | জাতীয়

বরিশালে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে রক্তদান ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
বরিশালে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে রক্তদান ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘ট্রাইব্যুনালের রায় পরিবর্তনের সুযোগ নেই, অবশ্যই কার্যকর হবে’
‘ট্রাইব্যুনালের রায় পরিবর্তনের সুযোগ নেই, অবশ্যই কার্যকর হবে’

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ধানের তুষের নিচে মিললো কোটি টাকার মসলা
ধানের তুষের নিচে মিললো কোটি টাকার মসলা

৫০ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

শান্তি পরিকল্পনার মধ্যেই ইউক্রেনে গেলেন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা
শান্তি পরিকল্পনার মধ্যেই ইউক্রেনে গেলেন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা

৫১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শরীয়তপুরে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী গণসংযোগ
শরীয়তপুরে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী গণসংযোগ

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বলপ্রয়োগে কাজ হবে না, ট্রাম্পকে খামেনির উপদেষ্টা
বলপ্রয়োগে কাজ হবে না, ট্রাম্পকে খামেনির উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী ‘রায় সাহেবের বাড়ি’
ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী ‘রায় সাহেবের বাড়ি’

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত
নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার
মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসছে ‘দাবাং ৪’, পরিচালনায় থাকছেন অভিনব কাশ্যপ!
আসছে ‘দাবাং ৪’, পরিচালনায় থাকছেন অভিনব কাশ্যপ!

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন
হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন

রকমারি নগর পরিক্রমা

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন
খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে
ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে

নগর জীবন

দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

পেছনের পৃষ্ঠা

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার
গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার

নগর জীবন

আতঙ্কের নাম বাস
আতঙ্কের নাম বাস

রকমারি নগর পরিক্রমা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা