বসুন্ধরা শুভসংঘ মনপুরা উপজেলা শাখার আয়োজনে যৌতুকবিরোধী সচেতনতামূলক সেমিনার ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৬ আগস্ট) মনপুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ওই আয়োজনটি সম্পন্ন হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মনপুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিলন চন্দ্র বিশ্বাস এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মনপুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জনাব রাজিব হোসেন।
বসুন্ধরা শুভসংঘ মনপুরা উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ ফজলে রাব্বীর সভাপতিত্বে যৌতুকবিরোধী সচেতনতামূলক সেমিনার ও কুইজ প্রতিযোগিতায় মনপুরা উপজেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিহাদ মুন্সী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সামি, ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জাহিদ, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক জাফরুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সিয়াম কার্যকরী সদস্য ইমাম হোসেন রিফাত ও রামকৃষ্ণ দাসসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে আয়োজিত কুইজ প্রতিযোগিতায় মনপুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেনির শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে আয়েশা সিদ্দিকা বর্ষা, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে মালিহা বেগম এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে মাহফুজুর রহমান। কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের পক্ষ থেকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান হয়।
মনপুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিলন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, যৌতুক বন্ধ করতে, কেবল আইন প্রয়োগই যথেষ্ট নয়; প্রয়োজন সচেতনতা, সুশিক্ষা ও মানবিক মূল্যবোধের চর্চা।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পরিবারে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবং সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীকে সম্মান এবং মর্যাদা দেওয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটিয়ে।
বসুন্ধরা শুভসংঘ মনপুরা উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ ফজলে রাব্বী বলেন, যৌতুক শুধু একটি পরিবার নয়, ধ্বংস করে দেয় একটি প্রজন্মের সম্ভাবনা। এটি একটি সামাজিক ব্যাধি, যার বিরুদ্ধে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে একযোগে রুখে দাঁড়াতে হবে। নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা, অধিকার হরণ ও বৈষম্য যেকোনো সভ্য সমাজের জন্য লজ্জাজনক।
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি সত্যিকার অর্থে উন্নত জাতি গঠন করতে চাই, তবে নারী-পুরুষের সমঅধিকারে বিশ্বাস রাখতে হবে এবং যৌতুকপ্রথার বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে ঘরে ঘরে।
বসুন্ধরা শুভসংঘ মনপুরা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সামি বলেন, যৌতুক প্রথা একটি নীরব সামাজিক দুর্বিপাক, যা কেবল একটি পরিবার নয়—সমগ্র সমাজব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এই অপসংস্কৃতি থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের শিক্ষার আলোকে আরো বিস্তৃত করতে হবে।
সেমিনারে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, 'বসুন্ধরা শুভসংঘের যৌতুক বিরোধী সেমিনারের মাধ্যমে আমরা যৌতুক প্রথা বন্ধে সরকারের আইন ও বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছি, এজন্য বসুন্ধরা শুভসংঘকে ধন্যবাদ জানাই।
বসুন্ধরা শুভসংঘের এই আয়োজনগুলোর মাধ্যমে নারী ও শিশু অধিকারের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে নতুন আলো ছড়াবে বলে বিশ্বাস করেন বসুন্ধরা শুভসংঘের বন্ধুরা।