শিরোনাম

মুক্তিযুদ্ধ লইয়া ছবি হয় না কেন : আলমগীর কবিরের উত্তর

সলিমুল্লাহ খান
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
মুক্তিযুদ্ধ লইয়া ছবি হয় না কেন : আলমগীর কবিরের উত্তর

চলচ্চিত্রকার পরিচয়ে দেখা দিবার আগে আলমগীর কবির (১৯৩৮-১৯৮৯) অনেক দিন ধরিয়া চিত্র সমালোচনা লিখিতেন। দেশ স্বাধীন হইবার আগে তিনি পাকিস্তানের চলচ্চিত্র শিল্প বিষয়ে একটি ইংরেজি বই লিখিয়াছিলেন। দশ বছর পর—১৯৭৯ নাগাদ—সেই বইটির নতুন নামে নতুন সংস্করণও একটি প্রকাশিত হইয়াছিল। আলমগীর কবির কোনদিন বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন না, রাজনৈতিক চিন্তাধারায় তিনি ছিলেন যাহাকে বলে ‘মাওবাদী’ বা চিনাপন্থি সেই ঘরানার। তিনি তারপরও কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়াছিলেন। আশ্রয়ের সন্ধানে গিয়াছিলেন পাশের দেশ ভারতে। এই লইয়া তাহার কোনো ‘ব্যক্তিগত হীনমন্যতা’ ছিল না।

তিনি যুদ্ধকালীন সরকারের মাত্র প্রধান সংবাদদাতার পদ অলঙ্কৃত করিয়াই ক্ষান্ত হন নাই। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ইংরেজি অনুষ্ঠানটি তিনিই গড়িয়া তুলিয়াছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে পঠিত তাহার নিজের লেখা একাশিটি নিবন্ধ তিনি নিজেই জীবদ্দশায় প্রকাশ করিয়া গিয়াছিলেন। সম্প্রতি সেই নিবন্ধ সংকলনের দ্বিতীয় মুদ্রণ হইয়াছে। প্রথম সংস্করণ বড় অযত্নে বাহির হইয়াছিল, বইটির সূচিপত্র ছিল না। দ্বিতীয় সংস্করণে সূচিপত্র থাকিলেও কোনো নির্দেশিকা যোগ হয় নাই। আর কবিরের জীবনী বলিয়া যাহা যোগ হইয়াছে তাহাও মজার মজার যত ভুলে ভরা।

তারপরও একটি সুখবর আছে। আলমগীর কবিরকে যাহারা কখনও সশরীরে দেখেন নাই, কিংবা দেখিলেও যাহাদের মনে থাকিবার কথা নহে তেমন ছয়-সাতজন নবীন আলমগীর কবির ভক্ত তাহার এই ইংরেজি বহিটির বাংলা তর্জমা করিয়াছেন। আশা করি, বেশি বিলম্ব ঘটিবার আগেই তর্জমাটি আত্মপ্রকাশ করিবে। আমার সৌভাগ্য হইয়াছে, প্রকাশনার আগেই বহিটির বেশির ভাগ পাতা পড়িতে পারিয়াছি। তর্জমাকারগণের প্রশ্রয় পাইয়া আমাকে এই বইয়ের ভূমিকামত একটা লেখাও লিখিতে হইয়াছে। বহির নাম আপাতত স্থির হইয়াছে ‘১৯৭১ : স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’।

আলমগীর কবির চলচ্চিত্র বিষয়ে এত লেখা লিখিয়াছিলেন কিন্তু সেইগুলি একত্র করিয়া এতদিন কোন বহি প্রকাশ করা হয় নাই—এ কথা জানিতে পারিলাম মাত্র সেদিন। ‘১৯৭১ : স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ বইটি যাহারা তর্জমা করিয়াছেন তাহারাই আবারও আলমগীর কবিরের চলচ্চিত্র বিষয়ক নিবন্ধের একটি বড় সংগ্রহ সম্পাদনা করিয়া আমাকে অবাক করিয়াছেন। গত মাসখানেক ধরিয়া এই সকল নিবন্ধ পড়িতেছি আর ভাবিতেছি, সত্যি কি বিচিত্র, কি অকৃতজ্ঞ আমার দেশ! ভাবিতেছি আমার দেশবাসী আরও অবাক হইবেন যখন তাহারা জানিবেন কি অমূল্য সম্পদ এতদিন আমাদের চোখের আড়ালে ছিল।

আমাদের ছয় অতি নবীন সম্পাদক তাহাদের আলমগীর কবির সংগ্রহের নাম রাখিয়াছেন ‘চলচ্চিত্র ব্যবসায়’। এই ব্যবসায়ে প্রায় তিরিশটি নিবন্ধ আছে, দেখিতে পাইলাম। আলমগীর কবিরের সকল লেখাতেই জানিবার কথা আছে প্রচুর। আর ভাবিবার কথা আছে ঢের। আজ এই নিবন্ধে আমি নমুনাস্বরূপ তাহার একটি মাত্র নিবন্ধ আমলে লইয়া সন্তুষ্ট থাকিব। কারণ আমার এই মুহূর্তে সময়ের—আর বলাবাহুল্য—জায়গার বড়ই অভাব। শুদ্ধ বলিয়া রাখি, আলমগীর কবিরের প্রতিটি নিবন্ধই আমাদের শ্রদ্ধেয় সমালোচনার যোগ্য।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ লইয়া যুদ্ধের সময় এবং যুদ্ধের পর পর এদেশে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মিত হইয়াছিল। কিন্তু একসময় মুক্তিযুদ্ধ লইয়া ছবি বানানো বন্ধ হইয়া যায়। ‘আমাদের চলচ্চিত্রের বিষয়বস্তুতে এখন মুক্তিসংগ্রাম আগের মত স্থান পাচ্ছে না কেন’—এই রকম একটা প্রশ্ন সেদিন পেশ করিয়াছিলেন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র বিষয়ক সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘চিত্রালী’। ১৯৮১ সালের ২৭ মার্চ তারিখের কথা। তখনও জেনারেল জিয়াউর রহমান বাঁচিয়া ছিলেন। সেই প্রশ্নের উত্তরে আলমগীর কবির সেদিন বেশ কিছু কড়া কথা প্রাণখোলা বলিয়াছিলেন। আমার আজিকার নিবন্ধের পুঁজি সেই দিনের উত্তর হইতেই সংগ্রহ করিয়াছি।

আলমগীর কবির বলিতেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর পর মুক্তিযুদ্ধকে বিষয় করিয়া আট হইতে দশটি ছবি বানানো হইয়াছিল। দুর্ভাগ্যের মধ্যে, সেই সকল ছবির মধ্যে অনেকগুলিতেই মুক্তিযুদ্ধকে সার্থকভাবে উপস্থাপন করা হয় নাই। পরিবর্তে যাহা করা হইয়াছিল তাহা আলমগীর কবিরের অনুমোদন মোটেও লাভ করে নাই। তিনি বলিতেছিলেন, এইসব ছবির মধ্যে ‘মুক্তিযুদ্ধকে উপস্থাপন করার চাইতে সে সময়কার একটি দুর্ঘটনা—আমাদের মা-বোনদের শ্লীলতাহানির বিষয়টিকে বাণিজ্যিক উপাদান হিসেবে ব্যবহার করার অপচেষ্টা করা হয়।’ ফলে—অন্যান্যের মধ্যে—এসব ছবি ব্যবসায়িক সফলতা অর্জন করিতেও ব্যর্থ হয়।

চিত্র নির্মাতাদের এই ব্যর্থতার কারণও অনুসন্ধান করিয়াছিলেন তিনি। তাহার মতে, ‘যেসব নির্মাতা বাণিজ্যিক ছবি করতে এগিয়ে এসেছিলেন তাদের প্রায় সকলেরই মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে ধারণা ছিল ভাসাভাসা। তারা মুক্তিযুদ্ধকে গভীরভাবে দেখাতে পারেননি। কিংবা তাদের দেখার ক্ষমতা ছিল না। আর এই অক্ষমতা নিয়ে তারা মুক্তিযুদ্ধের একটি ব্যাপারকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেন।’

তাহাকে জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নের উত্তরে ‘চিত্রালী’ পত্রিকাকে আলমগীর কবির মাত্র তিনটি উদাহরণেই সামাল দিয়াছিলেন। অন্যান্য নিবন্ধে তিনি আরো উদাহরণের যোগান দিতে দ্বিধা করেন নাই। ‘চিত্রালী’র প্রশ্নের উত্তরে তাহার প্রথম দুইটি উদাহরণ ছিল এই রকম : ‘যেমন ‘বাঘা বাঙালী’, যেমন মমতাজ আলীর ‘রক্তাক্ত বাংলা’। শেষোক্ত ছবিটিতে তো পরিচালক একজন ধর্ষিতা রমণীর রক্ত দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র এঁকে ফেলেন! এমনকি সুভাষ দত্ত যে ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’ বানান সেখানেও তিনি যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের মূল সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে একটি অপ্রধান সমস্যা—বীরাঙ্গনার সন্তানকেই প্রধান করে তুলে ধরেন।’

আলমগীর কবির নিজেকেও রেহাই দেন নাই এই ক্ষমাহীন বিশ্লেষণের হাত হইতে। এই মহান উদাহরণকে আমরা তাহার শৈল্পিক ও বৈজ্ঞানিক সততার পরম প্রমাণ জ্ঞানে গ্রহণ না করি তো বড় অন্যায় করিব। কবির বলিয়াছিলেন, “এবার ‘ধীর বহে মেঘনা’ সম্পর্কে বলি। আমার সামনে সমস্যা ছিল—ছবি তৈরির আগে দীর্ঘদিন আমি (চিত্র) সমালোচনা লিখেছি। সে সব সমালোচনায় আমি প্রচলিত ফর্মকে আঘাত করেছি, সেই ফর্মে আমার পক্ষে ছবি তৈরি সম্ভব ছিল না। তাই ‘ধীরে বহে মেঘনা’কে আমি সিনেমাটিকে কোলাজ হিসেবে তৈরি করি। এ ছবির সমস্ত ঘটনাই ছিল বাস্তব থেকে নেয়া।”

তারপরও—আলমগীর কবির স্বীকার করিয়া বলিয়াছেন—এই ছবি মুক্তিযুদ্ধের সার্থকনামা ছবি হয় নাই। তিনি প্রথমেই আত্ম-সমালোচনা করিয়া লইয়াছিলেন, “আমার মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধা ছিল বলেই এ ছবিটি আমি বানাই। অথচ এর পরে আমি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আর কোনো ছবি বানাইনি। আমি পরিষ্কার বলতে পারি : এর কারণ ছিল আমি তখন মুক্তিযুদ্ধকে ঠিক বুঝতে পারিনি। কেননা আমি জানতাম সত্য এক জিনিশ আর বাস্তব আরেক জিনিশ। আমি বুঝতে পারিনি মুক্তিযুদ্ধে কে ভিলেন এবং কে নায়ক। আমি বুঝতে পারিনি কে দালাল আর কে প্রকৃত মুক্তিকামী। তখন স্বল্প সময়ের ব্যবধানে আমি এসব বুঝতে পারিনি।”

আলমগীর কবির সেদিন স্মরণ করিতেছিলেন, “পাঁচ বছর স্থায়ী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে একমাত্র সোবিয়েত ইউনিয়নে দুহাজার ছবি হয়েছে। পশ্চিমে এ নিয়ে আরো অন্তত দুহাজার ছবি বানান হয়েছে।” তাহার মতে, ‘বাংলাদেশের নয় মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে অন্তত পঞ্চাশটি ছবি তৈরি হওয়া উচিত।’ অথচ তাহার অকপট বিচারে সেদিন অর্থাৎ ১৯৮১ পর্যন্ত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ লইয়া একটাও সার্থকনামা ছবি তৈয়ার হয় নাই।

হয় যে নাই এই সত্যে সন্দেহ ছিল না আলমগীর কবিরের। কিন্তু তিনি জানিতেন, ‘সত্য এক জিনিশ’ আর ‘বাস্তব আরেক জিনিশ’। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠিবে, বাস্তব কি বস্তু? আলমগীর কবির সেই প্রশ্নের উত্তরই দিয়াছেন এই ভাষায় : ‘আমাদের এখানে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ছবি তৈরি না হবার কারণ হচ্ছে, যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেছেন তারা তা হৃদয়ে অনুভব করেন না। আর যারা অনুভব করেন তারা মুক্তিযুদ্ধ সেভাবে দেখেননি।’

কবিরের এই অভিযোগ কি সত্যসত্যই সত্য? আর সত্য হলেও তাহার কতখানি পর্যন্ত সত্য? এই প্রশ্নটি আমার মনেও উঠিয়াছে বলিয়া আমি আরেকটু অনুসন্ধান করিতে চাহিলাম। দেখিলাম, কবিরের এই সাক্ষাৎকার বা নিবন্ধের গোটা পাঁচ-ছয় বছর পর—অনুমান করি ১৯৮৬ সাল নাগাদ—আমাদের মহান লেখক আহমদ ছফাও প্রায় একই কথাই বলিয়াছিলেন। আহমদ ছফার ব্যবসায় ছিল সাহিত্যের। তিনি মুখে মুখে এক সাংবাদিককে তখন বলিতেছিলেন, “অথচ মুক্তিযুদ্ধকে অবলম্বন করে লেখা সাহিত্যে যুদ্ধের জীবন অনুপস্থিত। আসলে যুদ্ধের শুরু কীভাবে, কারা ভারতে গেল, কীভাবে গেল, শরণার্থী শিবিরে কারা কীভাবে ছিল, কারা শরণার্থী শিবিরে ছিল না, কারা থিয়েটার রোডে ছিল কিংবা কারা ঘরে ফিরে এলো, কারা ফিরতে পারল না—সে সব বিষয়ের দিকে দৃষ্টিপাত না করে একটা যুদ্ধ হয়ে গেছে মনে করে একটি কল্পনার নায়ক বানিয়ে পাক বাহিনীকে কষে গাল দিলে, দুয়েকজন ধর্ষিতা বোনের চিত্র অঙ্কন করলে, একটি যুদ্ধের সাহিত্য রচনা করা যায়—এরকম একটা অপচেষ্টায় আমাদের পেয়ে বসেছে। এই প্রবণতা সাহিত্যক্ষেত্রে আমাদের কোথায় নিয়ে যাবে জানি না।”

আরো এক যুগ পরে—একেবারে ১৯৯৮ সালে পৌঁছিয়া—আহমদ ছফা আবারও (এবং অধিক দৃঢ়তার সহিত) লিখিয়াছিলেন, ‘অধিকাংশ লেখকই মুক্তিযুদ্ধের ওপর সাহিত্য রচনা করে একটা রিচুয়াল পালন করেছেন মাত্র। তার অধিক অগ্রসর হওয়া কারো পক্ষেই সম্ভব হয়নি।’ আহমদ ছফা উদাহরণও দিয়াছেন : ‘মুক্তিযুদ্ধের বিবরণ দিতে গিয়ে তারা এন্তার বীভৎস দৃশ্য রচনা করেছেন। দেখা যাবে পাকিস্তানি সৈন্যরা দেদার মানুষ খুন করছে এবং নারী ধর্ষণ করে চলেছে।’

প্রশ্ন হইতেছে, ইহা সাহিত্য হইয়াছে কিনা। নাকি ইহাতে মুক্তিযুদ্ধের সার্থক পরিচয় পাওয়া গিয়াছে? আহমদ ছফা লিখিয়াছেন, “পাকিস্তানি সৈন্য খুন কিংবা ধর্ষণ করেনি—ওটা বলা আমার উদ্দেশ্য নয়। অবশ্যই তারা খুন করেছে এবং ধর্ষণও করেছে। আমাদের কথা হলো, খুন এবং ধর্ষণ মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র চিত্র নয়। এগুলো উপলক্ষ, মূল লক্ষ্য নয়। এগুলো এসেছে প্রসঙ্গক্রমে। একটি বিশাল জনগোষ্ঠী যে ইতিহাসে আত্মপরিচয় নিয়ে মাথা তুলে দাঁড়াতে চাইছে সে জিনিশটিই উপেক্ষিত থেকে গেছে। সেই মহাবেদনা, মহাউল্লাস, মহাউত্থান—এই সকল রচনাতে পরিদৃশ্যমান নয়। খুন এবং ধর্ষণ—এগুলোর প্রতি মানবসাধারণের মনে যে ঘৃণা কাজ করে সেই জায়গাটি স্পর্শ করাই যেন এই লোকদের আসল লক্ষ্য। খুন এবং ধর্ষণ নিশ্চয়ই জঘন্য ধরনের অপরাধ। কিন্তু তার বাইরে আরো অনেক ধরনের অপরাধ রয়েছে। খুনের সংখ্যাবৃদ্ধি দেখালে কিংবা ধর্ষণের বিভীষিকাসঞ্চারী চিত্র ভোঁতাকলমে আঁকলেই যে মুক্তিযুদ্ধের যথার্থ চিত্র দাঁড়িয়ে যায় সেটা মোটেই সত্য নয়।”

আলমগীর কবির ১৯৮১ সালে বড় অসহায় অবস্থায় বলিয়াছিলেন, ‘মনে করুন এখন যদি মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি নিয়ে ছবি করতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরি, তাহলে সেটা দেখান সম্ভব হবে কিনা জানি না।’ সেদিন তিনি সিদ্ধান্ত নিয়াছিলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নতুন ছবি চিন্তা করা কঠিন।’ অথচ ১৯৭৭ সালে মানে চার বছর আগে তিনি আরেকটি ভয়ের কথাও উচ্চারণ করিয়াছিলেন। ভালো গল্পের বা সাহিত্যের বড়ই অভাব, বড়ই টান পড়িয়াছে দেশে। তিনি বলিয়াছিলেন, ‘চলচ্চিত্রকার হিসেবে আমার করণীয় কি— সে সম্বন্ধে আমার খুব একটা দ্বন্দ্ব নেই। চলচ্চিত্রে নতুন গল্প বলা আমার মতে চলচ্চিত্রকারের দায়িত্ব নয়। কারণ নতুন গল্প বা প্লট আবিষ্কার করার দায়িত্ব লেখকের। চলচ্চিত্রকারের দায়িত্ব হলো নতুন বা পুরনো যে কোনো আখ্যানের নতুন সিনেমাটিক ট্রিটমেন্ট বা ইন্টারপ্রিটেশন তৈরি করা।’ এতদিনে দেখিতেছি, কবিরের ভয়টা মোটেও অমূলক ছিল না।

তাহার একটি প্রমাণ নিচের গল্পেও পাওয়া যাইতেছে। এই মহান চলচ্চিত্রকারের অকালমৃত্যুর বয়স পদে পদে আজ প্রায় তিরিশ বছর হইতে চলিল। এদেশের ধনাঢ্য চিত্র ব্যবসায়ীদের জনৈক অবিসংবাদিত প্রতিনিধি এই এত বছর পরও এক ভয়াল সাক্ষাৎকারে পুরানা ভয়ের কথাটা আবার প্রমাণ করিয়াছেন। বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মোগল’ বলিয়া খ্যাত ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর খান সম্প্রতি নতুন করিয়া ছাড়পত্র দিয়াছেন, ‘আলমগীর কবির শিক্ষিত লোক। আমাদের দেশের সবচেয়ে নামকরা পরিচালক জহির রায়হানের তিনি সহকারী ছিলেন। সাংবাদিকও ছিলেন। এক্ষেত্রেও তার ক্যারিয়ার আছে। লন্ডন থেকে বোধ হয় ফটোগ্রাফি ও ডিরেকশনের ওপর পড়ালেখা করে এসেছিলেন, কিন্তু তিনি ফিল্ম ব্যবসা বুঝতে পারেননি। তার কোনো ছবিই ব্যবসা করেনি, কিন্তু তিনি সুনাম অর্জন করেছেন।’ জাহাঙ্গীর খান অকপটে অধিক বলিয়াছেন, ‘চাষী নজরুল আমার পছন্দের পরিচালক। চাষী [নজরুল], আলমগীর কবির আর শিবলী সাদিককে ভালো ও গুণী পরিচালক বলে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছি। এফ কবীর, অশোক ঘোষ আর আজিজুর রহমান আমাকে পয়সা এনে দিয়েছেন। তারা ডেডিকেটেড, দর্শকদের চাহিদা বুঝতে পারতেন, ভালো গল্প বানাতে পারতেন।’

আলমগীর কবির সম্পর্কে তাহার দুই দুইটি ছবির— ‘সূর্যকন্যা’ আর ‘সীমানা পেরিয়ে’র—প্রযোজক একেএম জাহাঙ্গীর খান অন্তিম শ্রদ্ধাটা এইভাবেই নিবেদন করিয়াছেন : “তিনি ভালো পরিচালক, যুগ যুগ ধরে—যতদিন আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প থাকবে—তার ‘সূর্যকন্যা’, ‘সীমানা পেরিয়ে’ [টিকে থাকবে]। ২০-৩০ বছর পরও মনে হবে [এগুলো] নতুন ছবি, নতুন আঙ্গিকের ছবি।” দুঃখের মধ্যে, জাহাঙ্গীর খানের আক্ষেপ, আলমগীর কবিরের ‘সূর্যকন্যা’ দিয়া তিনি রংপুর হইতে মাত্র ছয় হাজার টাকা পাইয়াছিলেন। অথচ আর এক পরিচালকের সুবাদে তিনি একই রংপুর হইতেই পাইয়াছিলেন তের লাখ টাকা। এদিকে আর আর পরিচালকের কোনো কোনো ছবি হইতে তিনি আড়াই কোটি টাকা পর্যন্ত কামাইয়াছিলেন।

 

দোহাই

 

১.         আহমদ ছফা, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও আমাদের সাহিত্য : অপূর্ণতার দিক’, মানবজমিন, ১৬ ডিসেম্বর ১৯৯৮।

২.         আহমদ ছফা, ‘মুক্তিযুদ্ধের ওপর তেমন কোন উল্লেখযোগ্য বিশুদ্ধ বই আমি দেখিনি’, সচিত্র স্বদেশ,  ১৯৮৬ (আনুমানিক)।

৩.        আলমগীর কবির, চলচ্চিত্র ব্যবসায়, আরাস্তু লেনিন খান প্রমুখ (সম্পাদিত) (ঢাকা : আগামী প্রকাশনী, প্রকাশিতব্য)।

৪.         আলমগীর কবির, ১৯৭১ : স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, আরাস্তু লেনিন খান প্রমুখ (অনূদিত) (ঢাকা : আগামী প্রকাশনী, প্রকাশিতব্য)।

৫.         একেএম জাহাঙ্গীর খান, ‘ফিল্ম সেক্টরটি হলো ভাগ্য’, কালের কণ্ঠ, ২৫ নভেম্বর ২০১৬।

6.         Alamgir Kabir, Cinema in Pakistan (Dacca : Sandhani Publications, 1969).

7.         Alamgir Kabir, Film in Bangladesh (Dacca: Bangla Academy, 1979).

8.         Alamgir Kabir, This was Radio Bangladesh: 1971, 2nd ed. (Dhaka : Bangla Academy, 2016) , 1st ed. 1984.

 

 লেখক : শিক্ষাবিদ।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে আটক ২৯ জন
যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে আটক ২৯ জন

৫০ মিনিট আগে | জাতীয়

জয়ের পরই বাবার মৃত্যুর খবর পেলেন লঙ্কান ক্রিকেটার
জয়ের পরই বাবার মৃত্যুর খবর পেলেন লঙ্কান ক্রিকেটার

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ
সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফ্রাইলিঙ্কের রেকর্ডগড়া ফিফটিতে জিম্বাবুয়েকে হারাল নামিবিয়া
ফ্রাইলিঙ্কের রেকর্ডগড়া ফিফটিতে জিম্বাবুয়েকে হারাল নামিবিয়া

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মানুষকে বঞ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার অধিকার কারো নেই: ফয়েজ আহমদ
মানুষকে বঞ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার অধিকার কারো নেই: ফয়েজ আহমদ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নবীর তাণ্ডবে আফগানিস্তানের লড়াকু পুঁজি, শঙ্কায় বাংলাদেশ
নবীর তাণ্ডবে আফগানিস্তানের লড়াকু পুঁজি, শঙ্কায় বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্রামীণফোনের রিচার্জ সেবা
১৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্রামীণফোনের রিচার্জ সেবা

৫ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

শিশু নিপীড়নের অভিযোগে যুবক আটক
শিশু নিপীড়নের অভিযোগে যুবক আটক

৫ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার
সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিকের উপাদান তৈরি বিজ্ঞানীদের
ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিকের উপাদান তৈরি বিজ্ঞানীদের

৫ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

পিআর নিয়ে আন্দোলন নির্বাচন নস্যাতের ষড়যন্ত্র: প্রিন্স
পিআর নিয়ে আন্দোলন নির্বাচন নস্যাতের ষড়যন্ত্র: প্রিন্স

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার
সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার

৫ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান
৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নওগাঁয় সৌহার্দ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত
নওগাঁয় সৌহার্দ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বরিশালে নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার
বরিশালে নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে : নবীউল্লাহ নবী
নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে : নবীউল্লাহ নবী

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা
সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা

৬ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক
লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পটিয়ায় বাসচাপায় নারীর মৃত্যু
পটিয়ায় বাসচাপায় নারীর মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা
স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ
পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল
আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ
বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ
কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক
রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প
ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য
ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ
আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

১১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য
ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে
সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র
নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের
দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র
গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান
নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

১২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন
ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন

১৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা
পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা

১৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

দূরন্ত গতিতে পৃথিবী থেকে দূরে সরছে চাঁদ
দূরন্ত গতিতে পৃথিবী থেকে দূরে সরছে চাঁদ

১২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

প্রিন্ট সর্বাধিক
কুমিল্লায় মাইকিং করে মাজারে হামলা আগুন
কুমিল্লায় মাইকিং করে মাজারে হামলা আগুন

পেছনের পৃষ্ঠা

চার মাসের কর্মসূচি নিচ্ছে বিএনপি
চার মাসের কর্মসূচি নিচ্ছে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভ্রান্ত বিশ্বাসীদের সঙ্গে নির্বাচনে জোট নয়
ভ্রান্ত বিশ্বাসীদের সঙ্গে নির্বাচনে জোট নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিন্ন দাবিতে সাত ইসলামি দলের বিক্ষোভ সমাবেশ
অভিন্ন দাবিতে সাত ইসলামি দলের বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

গাজা ছাড়ছে সাধারণ মানুষ
গাজা ছাড়ছে সাধারণ মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক
দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক

সম্পাদকীয়

বিএনপির প্রার্থী হতে চান তিন নেতা, অন্যদের একক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান তিন নেতা, অন্যদের একক

নগর জীবন

ইইউ প্রতিনিধিদল সন্তুষ্ট মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে
ইইউ প্রতিনিধিদল সন্তুষ্ট মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির তিন মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যদের একক প্রার্থী
বিএনপির তিন মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

নির্ধারিত রুটে ১৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা বিমানের
নির্ধারিত রুটে ১৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা বিমানের

পেছনের পৃষ্ঠা

এক যুগ পর সেই ফেলানীর ভাইকে চাকরি দিল বিজিবি
এক যুগ পর সেই ফেলানীর ভাইকে চাকরি দিল বিজিবি

পেছনের পৃষ্ঠা

বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে
বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে

সম্পাদকীয়

বিলম্ব সিদ্ধান্তে অর্থনীতির ক্ষতি
বিলম্ব সিদ্ধান্তে অর্থনীতির ক্ষতি

প্রথম পৃষ্ঠা

সীমানা নিয়ে আদালতের দিকে তাকিয়ে ইসি
সীমানা নিয়ে আদালতের দিকে তাকিয়ে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

কবরস্থানে নবজাতক  বন্ধ হাসপাতালের কার্যক্রম
কবরস্থানে নবজাতক বন্ধ হাসপাতালের কার্যক্রম

দেশগ্রাম

সিলেটে ঠিকানায় ফিরছে হকার
সিলেটে ঠিকানায় ফিরছে হকার

নগর জীবন

কিংসের দ্বিতীয় না মোহামেডানের প্রথম
কিংসের দ্বিতীয় না মোহামেডানের প্রথম

মাঠে ময়দানে

জমি বিরোধে হাতুড়ি নিয়ে হামলা
জমি বিরোধে হাতুড়ি নিয়ে হামলা

দেশগ্রাম

ইভ্যালির রাসেল শামীমার তিন বছরের কারাদণ্ড
ইভ্যালির রাসেল শামীমার তিন বছরের কারাদণ্ড

নগর জীবন

বিএনপি রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায়
বিএনপি রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায়

নগর জীবন

আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত
আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গা যুবকের কাছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা
রোহিঙ্গা যুবকের কাছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা

দেশগ্রাম

ফেব্রুয়ারিতেই ভোট
ফেব্রুয়ারিতেই ভোট

সম্পাদকীয়

দুবাইয়ে ১৭৮ যাত্রী নিয়ে আটকা বিমানের ফ্লাইট
দুবাইয়ে ১৭৮ যাত্রী নিয়ে আটকা বিমানের ফ্লাইট

নগর জীবন

একই সঙ্গে কোরআনে হাফেজ দুই ভাই
একই সঙ্গে কোরআনে হাফেজ দুই ভাই

নগর জীবন

সমঝোতা স্মারক সই
সমঝোতা স্মারক সই

নগর জীবন

বগুড়ায় সাত আসনের খসড়া ভোটার ও কেন্দ্র তালিকা সম্পন্ন
বগুড়ায় সাত আসনের খসড়া ভোটার ও কেন্দ্র তালিকা সম্পন্ন

নগর জীবন

এক নামে দুই কলেজ, ভর্তিতে বিভ্রান্তি
এক নামে দুই কলেজ, ভর্তিতে বিভ্রান্তি

নগর জীবন

সম্মেলন ঘিরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
সম্মেলন ঘিরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

দেশগ্রাম