পাবনার ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করার ঘটনায় শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। সোমবার সকালে তারা এ বিক্ষোভ করেন। এর এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ফটকের তালা ভেঙে ফেলেন।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। কলেজের অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
শিক্ষকদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, কলেজের সামনের ১.৩৩ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি নিয়ে কলেজের সাথে দীর্ঘদিন মামলা-মোকদ্দমা চলছে। এই মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। রবিবার রাতের কোন এক সময় কলেজের প্রধান ফটকে কর্তৃপক্ষ তালা লাগিয়ে দেয়। সোমবার সকালে কলেজের প্রধান ফটকের তালা লাগানো দেখে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে, বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন।
কলেজের সামনের জমির মামলার বাদী মহিউদ্দিন ফোনে জানান, আমরা সকল ক্ষেত্রেই আদালতের রায় পেয়েছি। এর আগে হাইকোর্ট ওই জমি মন্ত্রণালয় হতে অধিগ্রহণের জন্য কলেজের অধ্যক্ষকে কার্যক্রম করার আদেশ দেন। কিন্তু অধ্যক্ষ অধিগ্রহণের কার্যক্রম না করে আপীল করেন। এজন্য উচ্চ আদালত আজ সোমবার অধ্যক্ষকে আদালতে স্বশরীরে হাজির হওয়ার জন্য তলব করেছে।
প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করার বিষয়ে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুরারী মোহন দাস বলেন, অধ্যক্ষ স্যার ফোনে নির্দেশ দেয়ায় প্রধান ফটকে তালা মারা হয়েছিল। তবে পশ্চিম পাশের পকেট গেট খোলা ছিল।
উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ওই কলেজের ছাত্র রাকিবুল হাসান রনি প্রধান ফটকে তালা মারার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ভুমিদস্যূদের মদদে অসৎ উদ্দেশ্যে অধ্যক্ষ গেট তালাবদ্ধ করেছেন। এ সময় তিনি অধ্যক্ষ ও ৪ জন শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানান।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আব্দুর রহিম বলেন, কলেজ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী ও মাদকসেবী রাতে যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য রাতে প্রধান ফটকে তালা দেয়ার নির্দেশনা ছিল। হাইকোর্টে তলবের সত্যতা স্বীকার করে তিনি আরো বলেন, বিচারাধীন মামলা প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করতে চাই না। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেকই কাজ করছি। জমি-জমা নিয়ে মামলা-মোকদ্দমার বিষয়ে আমরা শিক্ষক মানুষ কিছুই বুঝি না। তাই আমি ও উপাধ্যক্ষ বদলীর জন্য ইতোমধ্যেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল