২৪ নভেম্বর, ২০২০ ২১:১১

রাবিতে ‘বিধি লঙ্ঘন’ করে শিক্ষিকাকে পদোন্নতি দেওয়ায় আইইআর পরিচালকের পদত্যাগ

রাবি প্রতিনিধি

রাবিতে ‘বিধি লঙ্ঘন’ করে শিক্ষিকাকে পদোন্নতি দেওয়ায় আইইআর পরিচালকের পদত্যাগ

ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন অধ্যাপক গোলাম কবীর। দায়িত্ব নেওয়ার ৯ মাসের মাথায় মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর এই পদত্যাগ পত্র জমা দেন তিনি। ‘বিধি লঙ্ঘন’ করে বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের শিক্ষিকাকে পদোন্নতি দিতে চাপ সৃষ্টি করায় পদত্যাগ করেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে, দায়িত্ব নেওয়ার এক বছর হওয়ার আগেই চলতি বছর মার্চে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন আইইআরের নবম পরিচালক অধ্যাপক আবুল হাসান চৌধুরী। পরে দশম পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেন অধ্যাপক গোলাম কবীর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক জানান, নিয়োগ ও পদোন্নতিতে স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়ম নিয়ে উপাচার্য আব্দুস সোবহানের সঙ্গে বিরোধের সৃষ্টি হয় অধ্যাপক গোলাম কবীরের। এই বিরোধের জেরে আইআইআরের পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও আইইআর সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক এফ এম হায়দারের স্ত্রী দীর্ঘদিন একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে আইইআরের আগের পরিচালকের সময়ে রাবি স্কুল অ্যান্ড কলেজে নিয়োগ পান। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী আগের চাকরি থেকে ছাড়পত্র জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও তিনি তা এখনো বিশ্ববিদ্যালয়কে জমা দেননি।

এদিকে, পদোন্নতির জন্য ওই শিক্ষিকা আগের সার্ভিস কাউন্টের আবেদন করেন। নিয়ম বহির্ভূত হওয়ায় আবেদনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, আইইআরের আগের পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের অধ্যক্ষ নাকচ করে দেন।

সম্প্রতি ওই শিক্ষিকাকে পদন্নোতি দিতে তোড়জোড় শুরু হয়। উপাচার্য আইইআরের পরিচালক অধ্যাপক গোলাম কবীরের কাছ থেকে নথিপত্র চেয়ে পাঠান। 

তিনি দাবি করেন, ওই নথিতে আগেরবার নাকচ হওয়া পদোন্নতির আবেদনটি থাকলেও উপাচার্যকে দেওয়ার পর তা আর পাওয়া যায়নি। পরে ওই শিক্ষিকাকে নতুন করে পদোন্নতির আবেদনে অনুমোদন দিতে চাপ প্রয়োগ করা হলে অধ্যাপক গোলাম কবীর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। মঙ্গলবার সকালে উপাচার্যকে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। উপাচার্য পদত্যাগ পত্রটি জমা নিতে অস্বীকৃতি জানালে পরে রেজিস্ট্রারকে জমা দেন।

এই বিষয়ে অধ্যাপক গোলাম কবীর বলেন, আমার আগের পরিচালকের সময়ে ওই শিক্ষিকা আগের চাকরির ছাড়পত্র জমা না দিয়েই চাকরি পেয়ে যান। নিয়ম অনুযায়ী ওই ছাড়পত্র দেওয়া বাধ্যতামূলক। ছাড়পত্র জমা না দিয়েই তিনি আগের চাকরির সার্ভিস কাউন্ট করে পদোন্নতির আবেদন করেন। তৎকালীন রেজিস্ট্রার, আইইআরের পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের প্রিন্সিপাল সেটি নাকচ করে দেন। এখন আবার ওই শিক্ষিকাকে পদোন্নতি দিতে আমাকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ম বহির্ভূত হওয়ায় আইইআরের পরিচালক পদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য সকল অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে আমি পদত্যাগ করেছি।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর