হত্যার অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক ড. মিয়া মো. মহিউদ্দীনকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন।
রবিবার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম।
অধ্যাপক আব্দুস সালাম জানান, উচ্চ আদালতে তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৪২ ধারা অনুযায়ী ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পদ ও চাকরি থেকে তাকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে, ২০০৬ সালে ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমপাড়া আবাসিক কোয়ার্টারের ড্রেন থেকে অধ্যাপক তাহের আহমেদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পরদিন তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এই মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দু'জনকে খালাস দেন।
ফাঁসির দণ্ড পাওয়া আসামিরা আপিল করেন। এতে দু'জনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করা হয়। কিন্তু ড. মহিউদ্দীন ও ড. তাহেরের বাসার তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রাখেন আদালত।
জেল কোড অনুযায়ী অভিযুক্ত দুই আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে জুলাই মাসেই। কারাবিধি অনুযায়ী আগামী ২৫ জুলাই থেকে আগামী ১ আগস্টের মধ্যে যেকোনো দিন রাতেই ফাঁসি কার্যকর করা যাবে। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন নাকচের চিঠি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে পৌঁছায় এর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বর্তমানে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে বন্দি আছেন ড. মহিউদ্দীন এবং জাহাঙ্গীর আলম।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত