ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) এক নবীন শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২ - ২৩ শিক্ষাবর্ষের হিউমান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্র।
এ ঘটনায় রবিবার পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মোধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কমিটিতে ব্যবসা প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে আহবায়ক ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) আলীবদ্দীন খানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আনিসুর রহমান ও ফিনান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক মিথুন বৈরাগী।
কমিটির আহ্বায়ক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, এখনো অফিসিয়ালি চিঠি হাতে পাইনি। পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিব।
প্রসঙ্গত, গত ৫ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর মেইল করে অভিযোগ জানায়। পরে দুপুরে অভিযোগের একটি কপি রেজিস্ট্রার অফিস থেকে প্রক্টর অফিসে পাঠানো হয়।
ওই মেইলে ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, মাননীয় হাইকোর্ট ঘোষণা করেছেন যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং আইনত নিষিদ্ধ এবং কেউ এটি করলে শাস্তি পাবে এবং তার ছাত্রত্ব বাতিল হবে। অথচ আমার ছেলে গত সপ্তাহে ভর্তি হয়ে র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছে এবং তার সাথে থাকা ৭-৮ জনও র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আমার সন্তানকে শৃঙ্খলা শেখানোর জন্য ডেকে তাদের ক্রিকেট খেলার সময় পানি বহন করিয়ে নেয়, মা-বাবাকে নিয়ে গালিগালাজ করে, মোবাইল চেক করে, এছাড়া আরও বিভিন্নভাবে হয়রানি করে। এর ফলে আমার ছেলে ভয় পেয়ে রাতে ঘুমাতে পারেনি।
রেজিস্ট্রার বরাবর ওই মেইলে ভুক্তভোগীর বাবা রেজিস্ট্রারের কাছে সাহায্য চান এবং বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার অনুরোধ জানায়।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে র্যাগিংয়ের দায়ে ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরাসহ পাঁচ শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া হাইকোর্ট র্যাগিং প্রতিরোধে কাজ করতে বললেও তেমন কোন সুফল মিলছে না। একের পর ঘটেই চলছে র্যাগিং।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল