বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্র করে গত ১৭ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা নিয়ে দু-দিন পরে বন্ধ করে দেওয়া হয় ছাত্রীদের একমাত্র আবাসস্থল বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলটিও।
শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ করার পরই ৬ আগস্ট খুলেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
এদিকে ক্যাম্পাস খুললেও দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর, রেজিস্ট্রার কিংবা প্রশাসনিক কোনো কর্মকর্তাকে। একইসঙ্গে আওয়ামীলীগ পন্থী কোন শিক্ষককে দেখা যায়নি। তবে বিএনপিপন্থী একাধিক শিক্ষকদের দেখা গেছে। এছাড়া বিএনপিপন্থী চাকুরীচ্যুত শিক্ষকেরা ফিরে এসেছে ক্যাম্পাসে।
সরকার প্রধানের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পরই দেশের চলমান পরিস্থিতিতে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। এ বিষয়ে উপাচার্য সাদেকা হালিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা পদত্যাগ করবে এবং আমিও করব। তবে কবে নাগাদ পদত্যাগপত্র জমা দিবেন এ বিষয় এড়িয়ে যান তিনি।
এছাড়া গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ছাত্রী হল খুলে ভিতরে প্রবেশ করেছে ঢাকায় অবস্থানরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের ছাত্রীদের হলে প্রবেশ করার খবর পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আইনুল ইসলাম বলেন, আজকে কয়েকজন শিক্ষার্থী এসেছিল হল খোলার বিষয়ে। আমরা তাদের বলেছি, নিরাপত্তারজনিত কারণে হলের প্রভোস্ট এবং আবাসিক শিক্ষকেরা কেউ আসতে চাচ্ছেন না। তবে কিছু শিক্ষার্থী আজ হলে প্রবেশ করেছে শুনেছি।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল