ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) গঠনতন্ত্র সংস্কার এবং অবিলম্বে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে এ দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা।
সমাবেশে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাবি শাখার সভাপতি নুজিয়া হাসিন রাশা বলেন, “কেবলমাত্র পাঁচ বছর পর জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শুধু গণতন্ত্র কায়েম হয় না। একটি দেশে গণতন্ত্র আনতে শিল্প-কারখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে গণতন্ত্রের চর্চা থাকার পাশাপাশি প্রতিনিধি নির্বাচন থাকতে হয়। স্বৈরাচার এরশাদের পর ডাকসু নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বিগত ১৫ বছরেও কোনও সুষ্ঠু ডাকসু নির্বাচন হয়নি। সবশেষ ২০১৯ সালে যে ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল সেটিও প্রশ্নবিদ্ধ। যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নির্বাচন না হয়, গণতন্ত্র কখনওই ফিরবে না। প্রতিনিয়তই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, আমরা তোমাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলছি। কিন্তু কারা এই প্রতিনিধি! আমরা কি তাদের নির্বাচিত করেছি?”
এ সময় তিনি অবিলম্বে ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্থার করে অবিলম্বে ডাকসুসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানান। এছাড়া অবিলম্বে ঢাবিতে ‘ডাকসু কি এবং কেন চাই, এ নিয়ে আলোচনা’ এর আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি।
ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সামি আবদুল্লাহ বলেন, “আমরা একটি বিপ্লবের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পরও আমাদের যে আকাঙ্ক্ষা সেটি এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি। ৫ আগস্টের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিভিন্ন পদে পরিবর্তন আসার পর তারা বিভিন্ন বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও তারা কিন্তু ডাকসুর বিষয়ে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেননি। এখন পর্যন্ত হলে আবাসন সংকট থেকে শুরু করে বিভাগগুলোতে সমস্যা রয়ে গেছে। আমরা চাই শিক্ষার্থীর সমস্যা নিরসনে ডাকসুর গঠনতন্ত্রে ক্ষমতা কাঠামো সংস্কার করে অবিলম্বে যেন নির্বাচন যেন দেওয়া হয়।”
বিডি প্রতিদিন/একেএ