রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ জোহা চত্বরে এ সমাবেশ হয়।
এসময় অবিলম্বে এই কোটা বাতিল করা না হলে প্রশাসন ভবনে তালা দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা রাখার কোন যৌক্তিকতা নেই। এই কোটা অযৌক্তিক এবং বৈষম্য সৃষ্টি ছাড়া কিছুই নয়। এমন অযৌক্তিক কোটা বৈষম্যহীন বাংলাদেশে রাখার সুযোগ নেই।
শিক্ষার্থী মেহেদী মারুফ বলেন, 'জুলাই বিপ্লবের লক্ষ্য ছিলো অযৌক্তিক কোনো কোটা থাকবে না, কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো পোষ্য কোটা বিদ্যমান। এই কোটার কবর রচনা করতে প্রয়োজনে রক্ত দেব, তবুও এই কোটা মেনে নেয়া হবে না।'
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, 'জুলাই বিপ্লবের মূল লক্ষ্য ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার, আমরা শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটা নয়, সকল প্রকার কোটার অবসান চেয়েছি। এখনও পোষ্য কোটা বহাল রাখা বিপ্লবের চেতনা বিরোধী। সকল কোটা হারাম, কিন্তু পোষ্য কোটা আরাম তা হবে না। স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো প্রকার বৈষম্যমূলক পোষ্য কোটা থাকবে না।'
এর আগে, গত ১৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা। ফলে এই কোটা বিষয়ক পর্যালোচনা কমিটি করে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে কার্যকরী কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারে নি তারা।
বিডি প্রতিদিন/এমএস