রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে আরও চারজন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষীরা হলেন পুলিশ পরিদর্শক তপন চন্দ্র শাহ, এএসআই রবিউল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম ও হাসান মাহমুদ।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ সাক্ষীদের জাবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষীদের জেরা করেন। পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামিকাল মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সাক্ষ্য গ্রহনের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। এ নিয়ে ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাহেদ করিমকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে। পরে একই আদালত ২৭ আগস্ট আসমির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
চার্জশিটে বলা হয়, অস্ত্রটি আসামি সাহেদের কেনা। তবে সেটি অবৈধ। অস্ত্রটি কেনার পর কোথাও ব্যবহার করা হয়নি। এজন্য ব্যালাস্টিক পরীক্ষায় কোনো হাতের ছাপ আসেনি। মামলার তদন্ত কালে প্রামাণিত হয়েছে, আসামি সাহেদ অবৈধভাবে অস্ত্র ও গুলি তার নিজ দখলে রেখেছে। এর আগে গোয়েন্দা পুলিশের রিমান্ড চলাকালীন অবস্থায় সাহেবকে নিয়ে উত্তরার একটি বাসায় অভিযান চালানো হয়। পরে সেখান থেকে অস্ত্র, গুলি মাদক উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ডিবি আলাদা দুটি মামলা করে।
গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয় সাহেদকে। পরদিন করোনা পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্টসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। রিমান্ড চলা কালিন সময়ে সাহেদ করিমকে নিয়ে ১৮ জুলাই রাতে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা হয়।
এর আগে গত ৬ জুলাই সাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুরের দুই শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা টেস্টের রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। ওই দিনই রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখাকেই সিলগালা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর সন্ধ্যায় হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ