গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীতে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। জিও ব্যাগ ও জিও টিউব এবং ব্লক ফেলেও ঠেকানো যাচ্ছে না। ৪৮ ঘণ্টায় ১০টি পরিবারের বসতবাড়ি ও শতাধিক একর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে আরও অন্তত ১০০টি পরিবারের বসতবাড়ি ও ২০০ একর ফসলি জমি।
পানি বাড়ার সঙ্গে এক সপ্তাহ ধরে উপজেলার কাপাসিয়া, হরিপুর, শ্রীপুর ও চণ্ডিপুর ইউনিয়নের তিস্তা চরে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। পরিবারগুলো ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।
জানা গেছে, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চণ্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী। নদী পারের মানুষের দাবি, স্বাধীনতার পরবর্তী দীর্ঘ দিনেও স্থায়ী নদীভাঙন রোধ, ড্রেজিং, নদী খনন ও সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। প্রতি বছর পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি, হাজারের বেশি একর ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে নদীতে। সরকার কোটি টাকা খরচ করে ব্লক, জিও ব্যাগ এবং জিও টিউব ফেলেও ভাঙন ঠেকাতে পারছে না।
কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জু মিয়া বলেন, ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে তার ইউনিয়নের উত্তর লালচামার গ্রামে তিস্তার তীব্র ভাঙনে ১০ পরিবারের বসতবাড়ি ও শতাধিক একর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে শতাধিক পরিবার তাদের বসতবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন। কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাটিকাপাশিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, হঠাৎ নদীভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে তার বসতবাড়ি ও এক বিঘা জমির তোষাপাট নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে শতাধিক বিঘা ফসলি জমি। বন্যা এলে তিস্তার চরাঞ্চলের মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না। দেখার কেউ নেই। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মশিয়ার রহমান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের খোঁজখবর রাখতে বলা হয়েছে। সুন্দরগঞ্জ ইউএনও রাজকুমার বিশ্বাস বলেন, কাপাসিয়া ইউনিয়নে নদী ভাঙনের বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হয়েছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা হচ্ছে। তবে স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধ সরকারের ওপর মহলের সিদ্ধান্তের ব্যাপার।