বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে তিন স্কুলছাত্রকে ১৮বছর বয়স দেখিয়ে প্রত্যেককে তিন হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। মাদক সেবনের দায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু. ওবায়দুর রহমান আজ বুধবার বেলা ১০টায় তার কার্যালয়ে এই দন্ডাদেশ দেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রাজদীপ ঘরাই, মঙ্গলদীপ ঘরাই ও দিপতো রায়। দন্ডাদেশে এদের প্রত্যেকের বয়স দেখানো হয়েছে ১৮ বছর। এদের মধ্যে রাজদীপ ও মঙ্গলদীপ ঘরাই এ বছর (২০১৭ সালে) এসিলাহা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পরীক্ষা দিয়েছেন। অপরজন দিপ্ত রায় একই বিদ্যালয়ে এ বছর ১০ম শ্রেণিতে পড়ছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক জানান, এই তিনজনের কারোরই বয়স ১৮বছর হয়নি। সর্বোচ্চ ১৫ এবং ১৪ বছর।
নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সহকারি মোহাম্মদ আলী জানান, দন্ডপ্রাপ্ত ওই তিনজনকে আজ বুধবার বেলা পৌনে ৯টায় লতিফিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার পিছন থেকে নির্বাহী কর্মকর্তা নিজেই আটক করেন। এ সময় তিনি পুলিশের সহযোগিতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছিলেন বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে থানার ওসি মো. রাশেদুল আলম, আটককৃতদের অভিভাবক, মোরেলগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কমিশনার তপন কুমার পোদ্দার ও স্থানীয়রা জানান, রাজদীপ ঘরাই, মঙ্গলদীপ ঘরাই ও দিপ্ত রায়কে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে নদীর পাড় থেকে পুলিশের একটি দল আটক করে থানায় নিয়ে যায়। রাতে তাদেরকে থানা হাজতে রেখে আজ মোবাইলকোর্টে হাজির করা হলে নির্বাহী কর্মকর্তা তাদেরকে অর্থদন্ডাদেশ দেন।
এদিকে দণ্ড নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ বলছেন, অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেদের প্রাপ্তবয়স্ক দেখিয়ে সাজা দেওয়া আইনসম্মত নয়। আবার কেউ বলছেন, এলাকাকে মাদকমুক্ত করতে এমন সাজার দরকার আছে। এটা ওই পরিবারগুলোকে আরও সচেতন করবে তাদের সন্তানদের বিষয়ে। কারণ, অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তান রাত সাড়ে ১০ টায়ও বাড়ি না ফিরে মাদক সেবন করলে এর দায়ভার পরিবারের ঘাড়েই বর্তায়।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ