ফেনীতে বহুল আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির পরিবারের সদস্যদের জন্য ঈদ উপহার পাঠিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
শনিবার পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানের পক্ষ থেকে নুসরাতের দাদা মাওলানা মোশারফ হোসেনের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেন সোনাগাজীর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মঈন উদ্দিন আহমেদ।
উপহার সামগ্রীর মধ্যে কাপড় চোপড় ও সেমাই চিনি রয়েছে বলে জানা যায়।
এসময় পুলিশ সুপারের বরাত দিয়ে মঈন উদ্দিন আহমেদ বলেন, পুলিশ প্রশাসন সব সময় নুসরাতের পরিবারের সঙ্গে রয়েছে। নুসরাতের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তাসহ পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে। অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর থেকে পুলিশ নুসরাতের পরিবারকে নিরাপত্তা দিয়ে আসছে। তারা চাইলে যেকোন সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত আছে পুলিশ।
এসময় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান, ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান, স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৬ এপ্রিল সকালে নুসরাত আলিমের আরবি (প্রথমপত্র) পরীক্ষা দিতে গেলে মাদ্রাসায় দুর্বৃত্তরা গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে মারা যায়।
পরদিন ১১ এপ্রিল বিকেলে তার জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে নুসরাতে ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এজহার নামীয় ৮ জনসহ ২১ জনকে গ্রেফতার করে পিবিআই। এদের মধ্যে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ১২ জন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ২৯ মে পিবিআই ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/কালাম