রাঙামাটি প্রবেশ মুখেই আবর্জনার স্তুপ। এসব ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে দূষণসহ পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে রাঙামাটিবাসী।দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন আশপাশের বসবাসরত স্থানীয়রাও। তারা দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে আবর্জনার স্তুপ কেন্দ্রটি রাঙামাটি শহর থেকে দূরে কোথাও সড়িয়ে নিতে বার বার দাবি জানালেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি শহরের বেতার এলাকায় প্রধান সড়কের পাশে এই আবর্জনা কেন্দ্রটি। উৎকট দুর্গদ্ধে ওই এলাকার সড়কে হাঁটতেও ভয় পায় পথচারীরা। কিন্তু প্রধান সড়ক হওয়ার কারণে বাধ্য হয়ে চলাচল করছে
তাদের। রাঙামাটি শহরের সব ময়লা-আবর্জনা জমানো হয় এ স্থানটিতে। এসব ময়লা-আবর্জনার গন্ধ বাতাসে ভেসে আসে প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত। যত্রতত্র ময়লা ফেলার কারণে কুকুর-বিড়াল এসব আবর্জনা টেনে আনছে সড়কের উপর। ফলে পথচারীদের জন্য একেবারে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি।
অন্যদিকে ময়লার বেশিরভাগ অংশ যাচ্ছে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে। ফলে মারাত্মক দূষিত হচ্ছে হ্রদের পানি। এতে পানিবাহিত রোগ থেকে রেহায় পাচ্ছেন না হ্রদ তীরবর্তী বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, পৌরসভার উদাসীনতায় অযত্ম, অবহেলা আর অব্যবস্থাপনায় রূপ বৈচিত্র্য হারাতে বসেছে রাঙামাটি। অপরিকল্পীত নগরায়ণ। যত্রতত্র হাট-বাজার। সড়কে সড়কে অবৈধ স্থাপনা। যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ। নিয়ম-নীতি থাকলেও তোয়াক্কা করে না কেউ। ফুটপাত ও সড়ক দখল করে গড়ে তুলা হচ্ছে হাজারো অবৈধ স্থাপনা। এসব স্থাপনার ময়লা জমছে সড়কে। তবুও নজড়দারি নেই পৌর কর্তৃপক্ষের।
এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদও। তিনি বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়রা অভিযোগ দিয়ে আসছে রাঙামাটি শহরের প্রবেশ মুখ থেকে আবর্জনার স্তুপ কেন্দ্রটি সরিয়ে নিতে। আমি এ বিষয়ে অনেক বার পৌর মেয়রের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছিল এটি সরিয়ে নিবে। কিন্তু এখনো কোনো কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
এ ব্যাপারে রাঙামাটি পৌর প্যানেল মেয়র মো. জামাল উদ্দীন জানান, পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রতিদিন রাঙামাটি শহরের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার-পরিছন্ন করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় মানুষদের নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া ময়লা-অবর্জনা যত্রতত্র না ফেলার জন্য সচেতন করা হয়েছে। কিন্তু কিছু অসচেতন মানুষের জন্য মাঝে মাঝে সমস্যায় পড়তে হয়। আর শহরের আবর্জনা ফেলার স্থানটি স্থানান্তরিত করার জন্য এরই মধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শহরের আসামবস্তি এলাকায় একটি জায়গাও নির্ধারণ করা হয়েছে। জমি বিক্রি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেলে খুব দ্রুত আবর্জনা কেন্দ্রটি সরিয়ে নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন