২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গত বুধবার মধ্যরাত থেকে পদ্মায় ইলিশ শিকারে নেমেছে জেলেরা। পদ্মায় প্রত্যাশিত ইলিশ মাছ না পেয়ে হতাশ হচ্ছে জেলেরা। খোদ জেলা মৎস অফিসের তথ্যমতে এ বছর পদ্মায় ইলিশের আকালের বিষয়টি ওঠে আসে। ২০১৯ সালে ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময় ৩৮ লক্ষ ৭৬ হাজার জালের বিপরীতে ৩.১৩ লক্ষ মেট্রিকটন ইলিশ পাওয়া গেলেও এ বছর ৩১ লক্ষ ৬৪৫ মিটার জালে ০.৭৭৪ লক্ষ মেট্রিক টন ইলিশ পাওয়া যায়।
আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা-যমুনার মোহনা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেক জেলে নদী পাড়ে বসে আছে। কেউ জাল নিয়ে নদীতে যাচ্ছেন, আবার কেউ ফিরে আসছেন।
পদ্মা থেকে ফিরে আসা জেলে মোস্তফা শেখ বলেন, নিষেধাজ্ঞা শুরুর পর থেকে শোনা যাচ্ছিল পদ্মা-যমুনায় এবার ইলিশ নেই। শুক্রবার ভোরে আমরা ৯ জন জেলে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে পদ্মায় গিয়েছিলাম। ৭ ঘন্টা নদীতে ছিলাম মাত্র ৩ কেজি ইলিশ মাছ পেয়েছি। এ বছর আমাদের নৌকা আর জালের খরচ উঠবে না বলে জানান মোস্তফা।
নদীতীরে বসে থাকা জেলেদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ বছর পদ্মায় ইলিশ নেই বললেই চলে। সে কারণে তারা পদ্মা কিংবা যমুনায় ইলিশ শিকারের জাল আর ফেলবেন না। ইলিশ শিকারের জালের পরিবর্তে পদ্মার অন্য মাছ ধরার চেষ্টা করে জীবিকা নির্বাহ করবেন তারা।
দৌলতদিয়া মামা-ভাগ্নে মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ী আল আমিন হোসেন বলেন, গত বছরের বিষেধাজ্ঞা শেষে বাজারে অনেক ইলিশ আসছিলো। দামও সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ছিলো। কিন্তু গত দুই দিনে বাজারে তেমন ইলিশ আসে নাই। যে কারণে ইলিশ মাছ সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। বাজারে যে মাছ আসছে বেশি দামে ধনীরা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল বলেন, এ বছর পদ্মায় অপেক্ষাকৃত ইলিশ কম লক্ষ্য করা গেছে। অভিযান পরিচালনার সময় দেখা যায় ইলিশ কম। পদ্মা নদীতে পানি এবং স্রোত না থাকার কারণে সাগর থেকে ইলিশ আসেনি। এছাড়া পদ্মার বেশির ভাগ জায়গায় চর পড়ার কারণে নদীতে ইলিশের আকাল পড়েছে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন