অন্য জাতের ধানের চেয়ে চাহিদা ও ভালো দাম পাওয়ায় দিনাজপুরের বিভিন্ন স্থানে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কাটারি ধানের আবাদ। তবে এবার হাকিমপুর, সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় ধানের ক্ষেতে পোকার আক্রমণে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
ছাতনি গ্রামের কৃষক আলমাস আলী বলেন, গত বছর দুই বিঘা জমিতে কাটারি জাতের ধান চাষ করি। ফলন ভালো এবং দামও ভালো পেয়েছি। এবারেও ভালো দাম পাওয়ার আশায় এনজিও থেকে ঋন নিয়ে আবাদ বাড়িয়ে ৩ বিঘা জমিতে কাটারি ধান লাগিয়েছি। কিন্তু যে সময় ধান বের হবে সেই সময় ধানে ফটকা পোকা ধরেছে। এবার যে অবস্থা দেখছি তাতে করে লোকসান গুনতে হবে বলে মনে হচ্ছে।
হাকিমপুরের জালালপুর গ্রামের আব্দুস সালাম জানান, অন্যান্য ধানের তুলনায় চিকন ধানের ভালো দাম পাওয়ার কারণে বেশি করে চিকন ধানের আবাদ করছেন কৃষকরা। এবারও সেই আশায় কাটারি ধান চাষ করছেন। কিন্তু এখন যে অবস্থা, পচারির মতো একধরনের রোগ ধরে পুড়ে যাওয়ার অবস্থা। এটা মাজরা না কারেন্ট পোকা তাও বোঝা যাচ্ছে না। তিন থেকে চার বার ওষুধ ছিটিয়েছি তারপরেও ধান ভালো করতে পারছি না। যে সব ধানের শীষ বের হচ্ছে, তার মধ্যে পোকায় পুরো ধানের শীষ সাদা হয়ে যাচ্ছে। আবার অনেক গাছে কোন ধরনের শীষও আসছে না। প্রতিবছর বিঘা প্রতি ১২ মণ করে ধান পেলেও এবারে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে তাতে করে ৬ মণ ধান পাবো কিনা আশঙ্কা।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আরজেনা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, দিন দিন চিকন ধানের আবাদ বাড়ছে। গতবছর এই উপজেলায় ১ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে চিকন ধানের আবাদ হলেও এবারে তা বেড়ে ৩ হাজার ৭২৯ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। চলতি মৌসুমে পোকা মাকড়ের আক্রমণ তেমন একটা নেই। কিছু বিচ্ছিন্ন সমস্যা রয়েছে। এতে বড় কোনও সমস্যা হবে না আশা করি। মাঠ কর্মীরা নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করছেন এবং আমরাও তাদেরকে নিয়মিত মনিটরিং করছি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ