সারাদেশের ন্যায় ইলিশ জোনভুক্ত কুড়িগ্রাম জেলার নদনদীতেও ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। এরপরই মিলতে শুরু করেছে ব্রহ্মপুত্র নদে ইলিশের বিচরণ। আর এতে খুশি এখানকার এতদিন নিষেধাজ্ঞা মান্য করে থাকা এ অঞ্চলের জেলেরা।
প্রজনন মৌসুমে গত ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ সময়ে জেলার ৫ উপজেলা জুড়ে ব্রহ্মপুত্র নদে ইলিশের বিচরণ শুরু হয়েছে। তবে শুক্রবার (৬ নভেম্বর) সরেজমিনে জানা যায়, জেলেরা নদীতে জাল ফেলে ব্রহ্মপুত্র নদে মাছ শিকার করছে। এবারে বিগত বছরের তুলনায় ইলিশের পরিমাণ অত্যন্ত কম পাচ্ছেন। তবুও ইলিশ প্রাপ্তির আশায় সকাল থেকে ব্রহ্মপুত্র নদে জাল দিয়ে মাছ ধরতে দেখা গেছে প্রচন্ড ভীড়।
এদিকে, কয়েকদিন আগের নিষেধাজ্ঞার সময় জেলা মৎস্য বিভাগ ২২ দিনে ২১৭ টি অভিযানে ব্রহ্মপুত্র থেকে প্রায় দুই লক্ষাধিক মিটার জাল জব্দ করেছে বলে জানা গেছে। এসব জালে ইলিশ মিলেছে মাত্র ৩৫ কেজি। কিন্তু আশার কথা হলো নিষেধাজ্ঞা শেষে ব্রহ্মপুত্রে ইলিশের পরিমাণ বাড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ।
জেলা মৎস বিভাগ জানায়, ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞা সময়ে ২২ দিনে অভিযানে মোবাইল কোর্ট ছিল ৯টি। ৫ জেলেকে দুই হাজার ২০০ টাকা জরিমানা ছাড়াও জাল জব্দ করা হয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮৫০ মিটার। জব্দকৃত বিপুল পরিমাণ এ জাল থেকে ইলিশ মিলেছে মাত্র ৩৫ কেজি। তবে নিষেধাজ্ঞার ১৮ দিনের পর ব্রহ্মপুত্রে ইলিশের উপস্থিতি বাড়তে শুরু করেছে।
জেলেরা বলছেন, এ বছর ব্রহ্মপুত্রে ইলিশের পরিমাণ অত্যন্ত কম। নদ জুড়ে জেলে নৌকা আর ইলিশ জালের ছড়াছড়ি থাকলেও ইলিশ মিলেছে কদাচিৎ। তবে জেলা মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, প্রথম দিকে ব্রহ্মপুত্রে ইলিশের বিচরণ কম থাকলেও ৩১ অক্টোবরের পর থেকে ইলিশের পরিমাণ বাড়তে শুরু করেছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালিপদ রায় জানান, ইলিশ শিকার বন্ধে জেলেদের প্রণোদনা হিসেবে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার জনকে মোট ১৫০ মেট্রিট টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা আবারও স্বাভাবিক নিয়মে নদ-নদীতে মৎস্য শিকারে নেমেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ