২৫ জুন, ২০১৯ ১২:৪১

বাংলাদেশ ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’ নয় : সাকিব

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশ ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’ নয় : সাকিব

বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের দিনে আফগানিস্তানকে ৬২ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের ২৬২ রানের জবাবে ২০০ রানেই গুটিয়ে যায় আফগানদের ইনিংস।

সাকিবও আবার প্রমাণ দিয়েছেন কেন তিনি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ থেকে হাসছে তার ব্যাট, বোলিংয়ে গুঁড়িয়ে দিচ্ছেন প্রতিপক্ষকে। তার অসাধারণ পারফর্ম্যান্সে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে টাইগাররা। 

সাকিবের অর্ধশতকের উপর ভর করে আফগানদের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ২৬২ রান করে বাংলাদেশ। পরে বল হাতে ২৯ রানে ৫ উইকেট নিয়ে জয়ের নায়কও তিনি। হাফসেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে ‍যুবরাজ সিংয়ের সঙ্গে এক সিংহাসনে বসেছেন সাকিব। ২০১১ বিশ্বকাপে এই অনন্য রেকর্ডটি গড়েছিল যুবরাজের।

সোমবার আফগানদের বিপক্ষে অনবদ্য এক চিত্রনাট্যের সমাপ্তির পর সাকিব ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পাঁচ উইকেট নেয়া বিশেষ কিছু। দেখুন আমরা এমন টাইপের স্পিনার যারা দেশকে সাহায্য করে। আমার মনে হয় আজকের উইকেটটা আমাদের বেশি সাহায্য করেছিল। এটা দরকার ছিল এবং আমার প্রেক্ষিতে এটা দলের প্রয়োজন ছিল। সৌভাগ্যবশত আমি তা করতে পেরেছি। এবং তা করতে পেরে সত্যি খুশি। 

তিনি বলেন, আমি ভালো প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু নিজেকে প্রমাণের তেমন কিছুই অনুভব করিনি।’ 

নিজে অলরাউন্ড পারফর্ম্যান্স করতে পারলে সন্তুষ্টি পান জানিয়ে সাকিব আরো বলেন, বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি নিয়ে আমি যা করতে পারতাম আমি তাই করেছি। এটা আমাকে প্রচুর সাহায্য করছে। আমি নিজের পারর্ফম্যান্স নিয়ে কোনো প্রকার র‌্যাংক করি না। কিন্তু যখন আমি ব্যাট ও বল হাতে অবদান রাখি তখন সন্তুষ্ট হই। এটা এক খাতে অবদানের চেয়ে আমাকে আরো বেশি সন্তুষ্টি দেয়।

পারর্ফম্যান্সের পেছনে নিজের ফিটনেসকে ক্রেডিট দিচ্ছেন সাকিব, দেড় মাস আমি ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছি এবং এটাই আমাকে সাহায্য করছে। ফিটনেস আমাকে কঠিন সময় ও পরিবেশে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করছে। আমি ফিটনেসের কারণে কঠিন সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম। কারণ আমি অন্যকিছু পরিবর্তন করতে পারবো না এটা ছাড়া। আমি যা করছি তাতে ফিটনেস খুব সাহায্য করছে।

বাংলাদেশ ওয়ান ম্যান আর্মি-কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘না, আমরা ওয়ান ম্যান আর্মি নয়। আপনি যদি ম্যাচ দেখেন, তাহলে দেখবেন, মুশফিকের ইনিংস, রিয়াদ-তামিম এবং মোসাদ্দেকের অবদান। বিশেষ করে এই ধরনের উইকেটে তাদের অবদান ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা ইনিংসকে নির্মাণে সহায়তা করেছে। মোস্তাফিজ এবং সাইফউদ্দীনকে যদি দেখেন, তারা উভয়ে ৯-১০ উইকেট নিয়েছে এই বিশ্বকাপে। তাই আমি মনে করি এটি অনেক বড় অর্জন বাংলাদেশের জন্য। 

বিডি প্রতিদিন/২৫ জুন, ২০১৯/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর