আমাদের মস্তিষ্ক মনে হয় সত্যিই বিকৃত হয়ে যাচ্ছে। নীতি নৈতিকতা বলতে যেন কিছুই অবশিষ্ট রাখছি না। যে শব্দটা উচ্চারণ করতেই কেমন লাগে সবসময়, এখন সেই শব্দটা সবার মুখে মুখে। বিভৎস সব ঘটনা। স্কুল-কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, কর্মজীবী নারী, ভাসমান নারী, অবুঝ বাচ্চা, ৩/৪ সন্তানের জননী, সত্তর বছরের বৃদ্ধা কেউই রক্ষা পাচ্ছে না ধর্ষণের হাত থেকে।
নারী ভাড়াটিয়াকে বাড়িওয়ালা ধর্ষণ করছে, পাবলিক টয়লেটে যাত্রী শ্লীলতাহানীর শিকার হচ্ছে, রাস্তাঘাটে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কোথায় যাবেন আর কাকে বিশ্বাস করবেন? নিজের ঘরের মধ্যেই অনেকে নিরাপদ থাকছে না। কতটা অসভ্য হয়ে যাচ্ছি আমরা! এখন ধর্ষণ প্রতিরোধের জন্য রাস্তায় মানববন্ধন হচ্ছে। কেমন যেন মহামারি আকার ধারণ করতে চলেছে।
ধর্ষকদের কাউন্সিলিং করে কোন লাভ হবে না। জেল জরিমানায় ছাড়া পেলে, সম্ভাব্য ধর্ষকদের কাছে নতুন কোন বার্তা পৌঁছায় না। এজন্য প্রয়োজন দ্রুত কঠোর বিচার। আর অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি কার্যকর করতে হবে আরো দ্রুত সময়ের মধ্যে।
প্রকাশিত তথ্য মতে, কয়েকটি দেশের ধর্ষণের মতো অপরাধের বিচার আমরাও বিবেচনা করে দেখতে পারি:
১. চীনঃ ধর্ষণ প্রমাণ হলেই আর কোনও সাজা নয়, বিশেষ অঙ্গ কর্তন এবং সরাসরি মৃত্যুদণ্ড। অন্য কোন শাস্তি নেই।
২. ইরানঃ ধর্ষককে ফাঁসি, না হয় সোজাসুজি গুলি করা হয়। এভাবেই ধর্ষককে সেদেশে শাস্তি দেওয়া হয় ।
৩. আফগানিস্থানঃ ধর্ষণ করে ধরা পড়লে চার দিনের মধ্যে ধর্ষকের মাথায় সোজা গুলি করে মারা হয় ।
৪. উত্তর কোরিয়াঃ অভিযোগ, গ্রেফতার আর তারপর অভিযোগ প্রমাণ হলে গুলি করে হত্যা করা হয়।
৫. সৌদি আরবঃ জুম্মার নামাযের পর ধর্ষককে প্রকাশ্যেই শিরচ্ছেদ করা হয়।
৬. সংযুক্ত আরব আমিরাতঃ সাত দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
৭. মঙ্গোলিয়াঃ ধর্ষিতার পরিবারের হাত দিয়ে ধর্ষককে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
৮. মিশরঃ ধর্ষককে জনসমক্ষে ফাঁসি দেওয়া হয়।
উপরের দেশগুলোতে ধর্ষণের মাত্রাও খুব কম। মৃত্যুদণ্ডের মতো ভালো ঔষুধ আর হতে পারে না। এর দুটি ভালো দিক আছে।
এক. বর্তমান অপরাধী নির্মূল করে।
দুই. একই অপরাধের জন্য নতুন অপরাধী খুবই কম তৈরি হবে।
আমাদের সাথেই বসবাস করা অসভ্য, বর্বর মানুষগুলোকে দ্রুত বিচারের আওতায় না আনলে, আরো নতুন অসভ্য শ্রেণি তৈরি হবে। তাছাড়া, অনেক অপরাধীর কাছে জেলখানা অনেক নিরাপদ একটা জায়গা।
লেখকঃ উপ পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা