তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সরকারই যথেষ্ট। এর জন্য বাইরের রাষ্ট্রে আরজি করার কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, সরকারের শক্ত অবস্থানের কারণেই ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ধর্মচর্চার অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার সম্প্রীতি রক্ষা করছে। গত বছর কোরবানির ঈদের পাশাপাশি যেভাবে পূজা উদযাপন হয়েছে তা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত। সরকার নিরাপত্তা দিতে পারছে বলেই তারা তাদের ধর্মচর্চার সুযোগ পাচ্ছে। সুতরাং আমি মনে করি না, বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধান করতে বাইরের কোনো রাষ্ট্রনায়কের কাছে আরজি করার প্রয়োজন আছে। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে হাসানুল হক ইনু বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় জঙ্গি লালন-পালন করা হতো। তখন দেশে ধর্মীয় ও ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু গত সাত বছরে এ রকম হামলার ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করে, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। আদিবাসী এবং ক্ষুদ্র জাতিসত্তার অধিকারে বিশ্বাস করে বলেই একটা পার্থক্য তৈরি হয়েছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর অতীতে যেভাবে আক্রমণ পরিচালনা করা হয়েছিল, আজকে সেভাবে আর নেই। সরকার শক্তভাবে দমন করে তাদের ধর্মচর্চার অধিকার নিশ্চিত করেছে। হাসানুল হক ইনু বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার উত্খাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে চক্রান্ত চলছে। সেই চক্রান্তের অংশ হিসেবে তারা সাধারণ নাগরিকের গায়েও যেভাবে হাত দিচ্ছে, তেমনি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের গায়েও হাত দিচ্ছে। তিনি বলেন, অগণতান্ত্রিক পন্থায় সরকারকে উচ্ছেদ করার জন্যই সংখ্যালঘুসহ বিভিন্ন গুপ্তহত্যা করা হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি মন্তব্যের প্রতিবাদ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় পার্লামেন্টর মন্তব্য আমাদের নির্বাচিত সরকার ও সংসদের প্রতি সম্মানজনক নয় এবং দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে সংলাপের কথা বলেছে, সেটা শুধু প্রকৃত গণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে চলে। গণতন্ত্রের মুখোশ পরা জঙ্গিবাদী-মৌলবাদী-উগ্রবাদী শক্তির পৃষ্ঠপোষকদের সঙ্গে সংলাপ কোনো সুফল বয়ে আনে না। বরং তাদের স্বীকৃতি ও উৎসাহ দেয়।
শিরোনাম
- অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
- শেখ হাসিনাকে বন্দী বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ফিরিয়ে রায় কার্যকর করতে হবে : দুলু
- সাইফের স্ট্যালিয়ন্সকে হারাল তাসকিনের নর্দান ওয়ারিয়র্স
- তা’মীরুল মিল্লাত মাদরাসার টঙ্গী শাখা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
- ৪২ বছর বয়সে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেলেন স্কটিশ গোলরক্ষক গর্ডন
- দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
- জিয়া পরিবার ফোবিয়ায় যারা ভোগেন, তাদের জনভিত্তি নেই : প্রিন্স
- বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলো ডেনমার্ক
- গণভোট নিয়ে অধ্যাদেশ জারির পর করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপ : সিইসি
- শান্তি প্রচেষ্টা জোরদারে আলোচনার জন্য তুরস্কে জেলেনস্কি
- সাংবাদিক খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৌদি যুবরাজের পক্ষ নিলেন ট্রাম্প
- কিবরিয়া হত্যায় ৩০ হাজার টাকার চুক্তি হয় : র্যাব
- লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
- শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনীর সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করলো বসুন্ধরা নিবাসী চবিয়ানরা
- ইউক্রেনে রাতভর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার, নিহত ৯
- জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ৯ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ থাকবে উন্মুক্ত লাইব্রেরি
- লক্ষ্মীপুরে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
- হত্যাচেষ্টা মামলায় তাপস-কামরুলসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
- নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে হবিগঞ্জে নৌ র্যালি
সংখ্যালঘু নিরাপত্তায় অন্য দেশ প্রয়োজন নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর