প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, বিচার বিভাগকে সংবিধান ও আইনের আওতার মধ্যে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে তা ঠিকমতো চর্চা করতে দেওয়া হলে দেশে অনেকাংশে দুর্নীতি, অপরাধ প্রবণতা এমনকি সন্ত্রাস কমে যাবে। বিচার বিভাগকে ঠিকমতো কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলেই এসব হচ্ছে। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গতকাল রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধান বিচারপতি বলেন, বিভিন্ন সময় বিচার বিভাগের ব্যাপারে প্রশাসনকে ভুল বোঝানো হয়েছে। কখনো বলা হয়ে থাকে, বিচার বিভাগ প্রশাসনের প্রতিপক্ষ। এটা অত্যন্ত ভুল ধারণা। কোনো দিনই বিচার বিভাগ প্রশাসন বা সরকারের প্রতিপক্ষ হয়নি। তিনি বলেন, পলিটিক্যাল গভর্নমেন্ট কী করবে তা সংবিধানে পরিষ্কার বলা আছে। বিচার বিভাগ কী করবে, তার সীমারেখা পরিষ্কার বলা আছে। যখনই দেখা যাবে, পলিটিক্যাল গভর্নমেন্ট যা করছে তা পলিটিক্যাল চিন্তাধারা থেকে, সংবিধান অনুযায়ী কাজ করছে না। তখন সুপ্রিম কোর্ট এগিয়ে আসবে, বিচার বিভাগ এগিয়ে আসবে। না হলে সেই দেশের সভ্যতা থাকবে না। প্রধান বিচারপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে রাজনীতিবিদরা এটাকে আইনগত বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বিচার বিভাগ এগিয়ে আসে। এভাবে জেলহত্যা মামলা, যুদ্ধাপরাধ মামলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিচার বিভাগ এগিয়ে এসেছে। অধস্তন আদালতে জেলা জজের ছয়টিসহ মোট ৩৬০ পদ খালি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে মামলা জট বাড়ছে। জেলা জজের পদে নতুন নিয়োগ দেওয়া হলেও আগের মামলাগুলো অনিষ্পন্ন মামলা হিসেবেই থেকে যাবে। কেননা নতুন বিচারক নিয়োগ পাওয়ার পর তিনি নতুন মামলার শুনানি করবেন, আগের মামলাগুলো থেকে যাবে। মামলা জটের এটাই একমাত্র কারণ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি পাবলিক পরীক্ষায় এমনকি পাবলিক সার্ভিস কমিশনেও বেশকিছু দিন আগে পর্যন্ত প্রশ্নপত্র ফাঁস হতো। আজকে আমরা গর্ব করে বলতে পারি, জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের একটি পরীক্ষায়ও প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। এক্ষেত্রে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে কঠোর গোপনীয়তার বিষয়টি তিনি উল্লেখ করেন। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিশেষ অতিথি আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক খোন্দকার মূসা খালেদ, জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সদস্য বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জী।
শিরোনাম
- গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি কঠোর করে ইরানের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস
- বিএনপির বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার হাওয়ায় মিলে গেছে : রিজভী
- গাকৃবিতে গমের ব্লাস্ট রোগ দমনে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ
- নোয়াখালীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ
- নারায়ণগঞ্জে দেশের প্রথম ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন
- রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
- রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি
- ই-স্পোর্টসকে ‘ক্রীড়া’ হিসেবে ঘোষণা
- বরিশালে পৃথক অভিযানে মাদক ও জালনোটসহ আটক ৪
- সিভাসুতে রাজনৈতিক পদায়ন পাওয়া তিন কর্মকর্তাকে পদাবনতি
- খাগড়াছড়িতে মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের সমাবেশ
- দেশ ও দলের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে: নবীউল্লাহ নবী
- অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পেট্রোল ঢেলে হত্যার চেষ্টায় স্বামী গ্রেফতার
- ১৩ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা
- নেত্রকোনার ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু
- রাজবাড়ীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
- গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
- মুখে ভালো কথা বলে সবার ওপর বোমা মারেন পুতিন, বললেন ট্রাম্প
- সিলেটে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
- পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা