শিরোনাম
রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি সঠিক পথে

গৌতম লাহিড়ী, নয়াদিল্লি

ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি সঠিক পথে

নোবেলজয়ী অভিজিৎ ব্যানার্জি

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ ব্যানার্জি বলেছেন, ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি সঠিক পথে এগোচ্ছে। নয়াদিল্লি থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন। এক প্রশ্নের জবাবে অভিজিৎ বলেন, ‘চীন একটা বিষয় অত্যন্ত সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করেছে। সেটা হলো নিবিড় কর্মসংস্থানের জন্য ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পের বিকাশ। ভারতে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা ও পরিষেবায় চাকরির সুযোগ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে কিছুই করা হয়নি। ম্যানুফ্যাকচারিং ব্যাপারটি বাংলাদেশ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করছে এবং লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছে। অভিজিৎ ব্যানার্জি বলেন, কর্মসংস্থান এবং গরিবদের হাতে টাকা পৌঁছে দিলেই পণ্য কেনার ক্ষমতা বাড়ে। তাতে শিল্প বিকাশ হয়। ভারতের শাসক দল বিজেপি নেতারা অবশ্য অভিজিতের তত্ত্বের সঙ্গে একমত নন। বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল প্রকাশ্যেই তার সমালোচনা করে বলেছেন, অভিজিৎ আদতে বামঘেঁষা অর্থনীতিবিদ। তার তত্ত্ব তো লোকসভা ভোটে কোনো কাজই করেনি। মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। লোকসভা ভোটের সময়ে জাতীয় কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, প্রত্যেক বেকারকে মাসে ছয় হাজার টাকা দেওয়া হবে, যদি তারা ক্ষমতায় আসেন। রাহুল গান্ধী ওই প্রকল্পের নাম দিয়েছিলেন ‘ন্যায়’। অর্থনীতিবিদ অভিজিৎই এই প্রকল্পের সুপারিশ করেছিলেন রাহুল গান্ধীকে। তাই মন্ত্রী পীযূষ বলছেন, ন্যায় তো প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিজিৎ বলেন, নির্দিষ্ট পরিসংখ্যানের ভিত্তিতেই আমি বলেছিলাম ন্যূনতম কত টাকা দেওয়া উচিত। আমি এর জন্য মোটেই রক্ষণাত্মক নই। যদি বিজেপি জানতে চাইত তাহলে আমি তাদেরও এই কথা বলতাম। প্রশ্ন হয়আপনাকে কোনটা বেশি চিন্তিত করে? আর্থিক মন্দা নাকি বহুল সংখ্যবাদ রাজনীতি। জবাবে বলেন, ‘এই দুটোই একে অপরের পরিপূরক। আর্থিক মন্দা ভারতে এখন সত্য। সরকারও মানছে ধীরে ধীরে। পাঁচ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আজকের মতো ভালো হলেও এরপর এই হার আরও কমবে। এতদিন বলা হতো ভারতের আর্থিক বিকাশ চমকপ্রদ। এখন আর তা নয়। যেহেতু আর্থিক বিকাশের বার্তা দেওয়া যাচ্ছে না, তাই এখন ভোটে জেতার জন্য অন্য ধরনের বার্তা দেওয়া হচ্ছে। আপনার তিহার জেলে বন্দী হওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন? জবাবে অভিজিৎ বলেন, ‘ভারতের জেলে ব্রিটিশ আমল থেকে নিয়ম স্নাতক না হলে খাবারে ঢেঁড়স পাওয়া যাবে না। তাই নিয়ে আমরা লড়াই করেছিলাম। শেষ পর্যন্ত জেল কর্তৃপক্ষ রাজি হয়েছিল।

সর্বশেষ খবর