বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেছেন, জনগণকে নিজের প্রয়োজনেই মাস্ক পরতে হবে। এ উপলব্ধিটা প্রত্যেক মানুষের মনে জাগ্রত করতে হবে। সরকারকে যেমন আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে, একইভাবে জনসচেতনতাও বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে ফোনে আলাপচারিতায় তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন ও চর্মরোগ বিভাগের চেয়ারম্যান শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, সাধারণ পরিবেশে এ করোনাভাইরাস থাকলে তা বাতাসে ভেসে বেড়ায়। এটা নাকের ছিদ্র দিয়ে মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। সুতরাং নাসারন্ধ্র বন্ধ রাখা জরুরি। করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে এটাই উপযুক্ত পন্থা। তবে যেসব ভ্যাকসিনের কথা আলোচনায় আছে তা শতকরা ৯৫ ভাগ কার্যকর। ভ্যাকসিন এলে করোনা নিয়ন্ত্রণ অনেকাংশেই সম্ভব। তবে এখন মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, করোনা এমন একটি ভাইরাস যা চিকিৎসা করে ভালো হওয়া যায় না। এখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটাই জরুরি। অনেকে সর্বাধুনিক চিকিৎসা নিয়েও করোনায় মারা যাচ্ছে। এটা থেকে রক্ষা পেতে চিকিৎসা নয়, রোগ প্রতিরোধই মূল ব্যবস্থা। মাস্ক পরার সচেতনতা মানুষের মধ্যে বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে আমাদের আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। অধ্যাপক শহীদুল্লাহ সিকদার আরও বলেন, সরকার চাইলে এ মাস্ক একেবারেই সহজলভ্যে বিতরণ করতে পারে। কাপড়ের দু-তিন লেয়ারের মাস্ক পরা জরুরি। এ মাস্ক ধুয়ে পরা যায়। সরকার এ ক্ষেত্রে ভর্তুকিও দিতে পারে। কেউ চাইলে সার্জিক্যাল মাস্কও ব্যবহার করতে পারে। মোট কথা, সবাইকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে হবে।