শুক্রবার, ২৮ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

লক্ষ্য এখন হোয়াইটওয়াশ

মেজবাহ্-উল-হক

লক্ষ্য এখন হোয়াইটওয়াশ

তৃতীয় ওয়ানডের আগে গতকাল মুশফিকদের প্রস্তুতি

সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে। আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগেও শীর্ষে উঠে গেছে বাংলাদেশ। আজ তৃতীয় ও সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কাকে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামছেন টাইগাররা।

সিরিজ জিতলেও আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন না ক্রিকেটাররা। বরং প্রথম দুই ম্যাচের মতো আজও জয়ের জন্য সেই ক্ষুধার্ত বাংলাদেশকেই দেখা যাবে মিরপুরে। শেষ ম্যাচ থেকে পূর্ণ ১০ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগে নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ় করতে চান তামিমরা।

বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ে ভরসা দিচ্ছেন তিন সিনিয়র মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সাকিব আল হাসান ব্যাট হাতে এখনো আলো ছড়াতে পারেননি। কে জানে, হয়তো শেষ ম্যাচেই খোলস থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

গতকাল সে কথাই বললেন মাহমুদুল্লাহ, ‘সাকিবকে নিয়ে বলার কিছু নেই। সে তার খেলা সম্পর্কে ভালো জানে। ও জানে ওর ব্যাটিং কখন করা প্রয়োজন, কখন কতটুকু ব্যাটিং করলে ওর জন্য ভালো হবে। হয়তোবা প্রথম ম্যাচে ভালো একটা শুরু পেয়েছিল। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। আমি নিশ্চিত যে কালকের (আজ) ম্যাচে ভালো ইনিংস খেলবে।’

দুই ম্যাচেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন মুশফিকুর রহিম। মিস্টার ডিপেন্ডেবলখ্যাত এই ব্যাটসম্যান দুই ম্যাচে করেছেন ২০৯ রান। কুমার সাঙ্গাকারা, মহেন্দ্র সিং ধোনি, অ্যাডাম গিলক্রিস্টের পর চতুর্থ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে ৬ হাজার রানের ল্যান্ডমার্ক স্পর্শ করেছেন। লেট-মিডল অর্ডারে মাহদুল্লাহর সঙ্গে ১০৯ ও ৮৭ রানের দুই জুটিই দুই ম্যাচে বড় সংগ্রহ এনে দিয়েছে। পুরস্কারও হাতে-নাতে পেয়েছেন মুশি। দুই ওয়ানডেতেই ম্যাচসেরা, আইসিসি ব্যাটিং র‌্যাঙ্কিংয়েও ক্যারিয়ার সেরা ১৪তম স্থানে উঠেছেন।

র‌্যাঙ্কিংয়ের বড় চমক দেখিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুই ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ে দুই নম্বরে উঠে এসেছেন। দাপুটে বোলিং করে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো সেরা ১০-এ জায়গা করে নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমানও। দুই ম্যাচে দুই তারকা নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছেন লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের। শেষ ম্যাচে আজ মাইলফলক অপেক্ষা করছে সাকিবের জন্যও। আর মাত্র একটি উইকেট পেলেই মাশরাফিকে টপকে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার হয়ে যাবেন তিনি। শেষ ম্যাচটি তাই সাকিবের কাছে যেন একটু বেশিই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রথম দুই ম্যাচে হারায় শেষ ম্যাচে লঙ্কানরাও জয়ের জন্য থাকবে আগ্রাসী। অন্তত একটি জয়ের স্বস্তি নিয়ে তারা ফিরতে চাইবে দেশে। কিন্তু দুই ম্যাচে সফরকারীরা সেভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়ে তুলতে পারেনি দ্বীপরাষ্ট্রটি। কেবল দুই ম্যাচে দুটি ঘটনা নজর কেড়েছে ক্রীড়ামোদীদের। প্রথম ম্যাচে হাসারাঙ্গার ঝড়ো ইনিংস এবং দ্বিতীয় ম্যাচে দুষমন্ত চামিরার প্রথম ওভারে বাংলাদেশের দুই তারকা তামিম-সাকিবকে আউট করা। দলীয়ভাবে দাপুটে পারফরম্যান্স দেখাতে না পারলে ছন্দে থাকা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয় পাওয়া কঠিনই। মাস দুয়েক আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করার পর যেন জয়ের ট্রেন থেকে ছিটকে পড়েছিল লাল-সবুজরা! টানা ১০ ম্যাচে  (টেস্ট, ওয়ানডে, টি-২০ মিলে) হতাশার পর লঙ্কানদের বিরুদ্ধে স্টেশন খুঁজে পেয়েছে স্বাগতিকরা। শেষ ম্যাচে জিতে জয়ের ট্রেনের গতিটা বাড়ানোই প্রধান লক্ষ্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর