পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংসদে জানিয়েছেন, গত ১০ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপির) প্রায় ৮৫ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। এই সময়ে মোট ১১ লাখ ৯৮ হাজার ১৮১ কোটি টাকার এডিপির বিপরীতে খরচ হয়েছে ১০ লাখ ১৪ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা। শতাংশ হিসেবে বাস্তবায়নের হার ৮৪ দশমিক ৭১ ভাগ। তবে করোনার কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো চলতি ও বিগত অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল কম। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের ১১ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৫৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বাজেট অধিবেশনে গতকাল প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। পরিকল্পনামন্ত্রীর উপস্থাপিত বিবরণে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের ১১ মাসের (মে, ২০২১ পর্যন্ত) তথ্য এসেছে। চলতি মাসের এডিপি বাস্তবায়ন যুক্ত হলে এ হার কিছুটা বাড়বে।
পরিকল্পনামন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে। ওই অর্থবছরে বাস্তবায়নের হার ৯৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। অন্য অর্থবছরগুলোর বাস্তবায়ন হার ছিল ৯০ শতাংশের বেশি। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়ন হার ছিল সবচেয়ে কম। এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, করোনা মহামারীতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২ লাখ ১ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা উন্নয়ন বরাদ্দের বিপরীতে খরচ হয় ১ লাখ ৬১ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা (৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ)। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছর ২ লাখ ১ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা উন্নয়ন বরাদ্দের বিপরীতে ১১ মাসে (মে, ২০২১ পর্যন্ত) খরচ হয় ১ লাখ ২২ হাজার ১৩১ কোটি টাকা (৫৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ)।
