শনিবার, ২৬ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

জিয়াউর রহমান বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেন

-নজরুল ইসলাম খান

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘একাত্তরের রণাঙ্গনে জিয়াউর রহমান একজন সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন অন্যতম সংগঠক, সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের প্রধান। ২৬ মার্চের সূচনায় তিনিই প্রথম পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ‘উই রিভোল্ট’ বলে বিদ্রোহ করে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর ঘোষণা দেন। এরপর কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ‘আমি মেজর জিয়া বলছি’ বলে স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্দীপ্ত করেন।’ তবে জিয়াউর রহমানের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হচ্ছে তিনি বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলেন।

গতকাল বিকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-জেটেব আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, অধ্যক্ষ শফিউল্লাহ শফি, প্রকৌশলী এ বি এম রুহুল আমিন আকন্দ, প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ। নজরুল ইসলাম খান বলেন, জিয়াউর রহমানের সততার তুলনা হয় না। স্বজনপ্রীতি শব্দটা রাষ্ট্রপতি জিয়ার অভিধানে ছিল না। দুর্নীতিসংক্রান্ত কোনো কাজকে তিনি কখনো প্রশ্রয় দেননি। রাষ্ট্রপতির মতো এত বড় একটি পদে থেকেও তিনি অতি সাধারণ জীবনযাপন করতেন। তাঁর কৃচ্ছ্রতা সাধনের দৃষ্টান্ত বিরল। নিজের পরিবারের জন্য তিনি কিছুই করেননি। নিজের জন্য তো করেনইনি। আত্মীয়স্বজনদের কেউ কোনো তদবিরের জন্য বঙ্গভবনে বা তাঁর বাসভবনে সাক্ষাৎ করতে আসবেন, সেটা ছিল অকল্পনীয় ব্যাপার। তেমন সাহস কারও ছিল না। আত্মীয়স্বজনদের কাউকে তিনি তাঁর কাছে ঘেঁষতে  দিতেন না।

সর্বশেষ খবর