একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং জাতীয় সংসদের আদিবাসী ও সংখ্যালঘুবিষয়ক ককাসের যৌথ উদ্যোগে গঠিত গণকমিশনের কোনো আইনি ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, গণকমিশনের নামে কেউ বিশৃঙ্খলা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের ২৭তম বার্ষিক সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গণকমিশনের তালিকা সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা একটি বই প্রকাশ করেছে ২০০৩ সন্ত্রাস। এর ভেতরে কী লিখেছে আমি জানি না। তারা যাদের নামে সন্ত্রাস কিংবা দুর্নীতির দায়ভার দিচ্ছে, সেটা আমরা দেখিনি, তাই এর সম্পর্কে কিছু বলতে পারব না। গণকমিশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনে নামার ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেউ আইন হাতে নিলে আমাদের যা করণীয়, সেটাই করব। এটা স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছি। অভিযোগের কোনো প্রমাণ না থাকলে সে অভিযোগ আমলে নেওয়া হয় না বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সম্প্রতি ১১৬ ওয়াজেরিনের (ধর্মীয় বক্তা) একটি তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমন্বয়ে গঠিত মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন। দুদক চেয়ারম্যানের কাছে দেওয়া ২২০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনের ৭৬০ ও ৭৬১ পৃষ্ঠায় ধর্মীয় বক্তাদের নাম প্রকাশ করা হয়। এদের বিরুদ্ধে জঙ্গি অর্থায়ন ও ওয়াজের মাধ্যমে ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিযোগ আনে গণকমিশন।