বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

খালেদা যোগ দিলে ব্যবস্থা নেবেন আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদক

খালেদা যোগ দিলে ব্যবস্থা নেবেন আদালত

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বিএনপি সমাবেশের নামে যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্টের চেষ্টা করে তবে তারা ভুল করবে। আর ১০ ডিসেম্বর ডাকা ওই সমাবেশে খালেদা জিয়া যদি যোগ দেন তাহলে আদালত ব্যবস্থা নেবেন। গতকাল রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ‘নারী পুলিশের গৌরবময় যাত্রা ও অর্জন, ১৯৭৪-২০২২’ শীর্ষক বার্ষিক প্রশিক্ষণ সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সমাবেশে অনেক মানুষের সমাগম হবে। তাই তারা দুটি জায়গা চেয়েছিল। এর মধ্যে একটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, অন্যটি মানিক মিয়া এভিনিউ। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সব ধরনের জনসমাগম হয় আর মানিক মিয়া এভিনিউ আগে থেকেই সবার জন্য বন্ধ। সেখানে জাতীয় সংসদ। তাই ওখানে কাউকেই অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয় না। ডিএমপি কমিশনার বিএনপির দাবি বিবেচনা করেই সমাবেশ করার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দিয়েছেন। সেখানে ছাত্রলীগের কিছু অনুষ্ঠান ছিল। কিন্তু ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশের কারণে সেই অনুষ্ঠানগুলো এগিয়ে আনা হয়েছে। তারা যেহেতু অনেক মানুষ নিয়ে আসবে, তাই যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে অনুষ্ঠানটি করতে পারে সে জন্য তাদের এ ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় বলে আসছি, আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করুন। আপনারা কোনোভাবেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারবেন না এবং এর চেষ্টাও করবেন না। কারণ বাংলাদেশ এখন একটা পর্যায়ে চলে গেছে, এগিয়ে চলছে।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে অহেতুক কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী মেনে নেবে না।’

নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আপনারা নয়াপল্টনে রাস্তার অবস্থা সম্পর্কে জানেন। তারা বলছেন, কয়েক লাখ লোকের সমাগম হবে। আর তারা যদি রাস্তায় সমাবেশ করে তবে কী পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে সেটা আপনারাও ভালো জানেন। এসব বিষয় চিন্তা করেই তাদের বড় একটা জায়গা দেওয়া হয়েছে। এখন তারা যদি সেখানে সমাবেশ না করে সরকারের কী করার আছে। বিএনপিকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, তারা যদি আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করে বা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে, তবে তারা ভুল করবে।’

এর আগে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্কের (বিপিডব্লিউএন) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, সহিংসতার শিকার নারী-শিশুর চিকিৎসা সহায়তা, আইনগত ব্যবস্থা, সাময়িক আশ্রয় দানসহ মনঃসামাজিক কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে নিষ্ঠার সঙ্গে জেন্ডার সংবেদনশীল সেবা দিতে নিয়োজিত রয়েছেন নারী পুলিশ সদস্যরা। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী পদক্ষেপে নারী পুলিশের সংখ্যা কয়েকটি ধাপে বৃদ্ধি পেয়ে এখন ১৫ হাজার ৫৬১ জন হয়েছে, যা সামগ্রিক পুলিশ সদস্যের ৮ দশমিক ১৯ শতাংশ। মাঠপর্যায়ের পুলিশি কাজের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নারী পুলিশ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। জেলা পুলিশ, মেট্রো পুলিশসহ বিশেষায়িত নৌপুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, রেলওয়ে ও হাইওয়ে পুলিশ এবং শিল্প পুলিশে নারী সদস্যরা কার্যক্রমে গতি সঞ্চার করেছেন।

অনুষ্ঠানে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বাংলাদেশ পুলিশে আজ ১৫ হাজার ৫৬১ জন নারী পুলিশ সদস্য কর্মরত রয়েছেন। এটি শুধু একটি সংখ্যা নয়, এটি জনবান্ধব পুলিশিং, সেবা ও আস্থার এক সম্মিলিত উচ্চারণ। নারীর সাহসী ও সক্রিয় ভূমিকা দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে। নারী-শিশুর নিরাপত্তাবোধ তৈরিসহ মানবাধিকার সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যদের প্রতি অধিক জনপ্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে।

সর্বশেষ খবর