বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ফ্রান্সকে হারিয়েও বিদায় তিউনিসিয়ার

নকআউট পর্বে অস্ট্রেলিয়া

ক্রীড়া প্রতিবেদক, কাতার থেকে

ম্যাচ শেষ হওয়ার মাত্র কয়েকটা সেকেন্ড বাকি ছিল। হঠাৎ তিউনিসিয়ান ডিফেন্ডারের ভুলে বল পেয়ে বল জালে জড়ান ফরাসি তারকা আঁতোয়ান গ্রিজম্যান। মুহূর্তেই এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে থাকা হাজার হাজার ফরাসি সমর্থক উল্লাসে ফেটে পড়েন। কিন্তু একি! রেফারি ম্যাচটা থামিয়ে দিলেন কেন? ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্স রেফারির (ভার) অনুরোধে গোলটা চেক করতে গেলেন নিউজিল্যান্ডের রেফারি ম্যাথু কোনগার। সেখানে স্পষ্ট দেখা গেল, গ্রিজম্যান অফসাইড ছিলেন।

গোলটা বাতিল হলো। এবার তিউনিসিয়ার উল্লাসের পালা। এ উল্লাস যেন থামবার নয়। ডিফেন্ডিং বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন (দুবারের) ফ্রান্সকে হারিয়ে বাঁধভাঙা উৎসবে মেতে উঠল তিউনিসিয়া। ষষ্ঠবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে তৃতীয় জয়ের দেখা পেল দলটি। এর আগে ১৯৭৮ সালে মেক্সিকোকে ৩-১ গোলে এবং ২০১৮ সালে পানামাকে ২-১ গোলে হারায় তিউনিসিয়া। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফ্রান্সের প্রথম একাদশে থাকা দুজন পরের ম্যাচে বদলে গিয়েছিলেন। প্যাভার্ড আর কোনাতের স্থানে নেমেছিলেন কোনডে ও ভারানে। কিন্তু গতকাল ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশম বড় ধরনের একটা পাগলামিই করলেন। ভিন্নভাবেও বলা যায়, নিজের শিষ্যদের পরীক্ষা করে নিলেন তিনি তিউনিসিয়ার বিপক্ষে। প্রথম দুই ম্যাচে দারুণ জয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করার পর গতকাল সাইড বেঞ্চ পরীক্ষা করলেন দেশম। প্রথম দুই ম্যাচে একটি করে ম্যাচ খেলা তিনজনকে রেখে বাকি সবাইকে বদলে দিলেন। এ তিনজন ছিলেন রাফায়েল ভারানে, কোনাতে ও অরেলিন টিচুয়ামেনি। পরীক্ষা নিতে গিয়ে কি ভুল করলেন দিদিয়ের দেশম? প্রথম একাদশের ছন্নছাড়া খেলা বদলি নেমে খুব বেশি ঠিক করতে পারেননি কিলিয়ান এমবাপ্পে (৬৩ মিনিটে) এবং আঁতোয়ান গ্রিজম্যানরা (৭৩ মিনিটে)। ততক্ষণে ফ্রান্সের জালে একবার বল জড়িয়েছে তিউনিসিয়া। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে গোলটা করেন ওয়াহবি খাজরি। এরপর এমবাপ্পেরা নেমে সাঁড়াশি আক্রমণ করলেও তিউনিসিয়াকে টলাতে পারেননি। পরাজয়ের লজ্জা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। ১৯৭১ সালের পর প্রথমবারের মতো ফ্রান্সকে হারাল তিউনিসিয়া। মাঝখানের এতগুলো বছরে আরও চারবার মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। দুবার জিতেছে ফ্রান্স, দুবার ড্র হয়েছে। তিউনিসিয়ার কাছে হারলেও ডি গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবেই নকআউট পর্ব খেলবে ফ্রান্স। এই গ্রুপ থেকে ডেনমার্ককে ১-০ গোলে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া চলে গেছে নকআউট পর্বে । দলের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন ম্যাথু লেকি।

৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে অস্ট্রেলিয়াও। তবে গোলব্যবধানে (-১) পিছিয়ে থাকায় গ্রুপের রানার্সআপ হিসেবেই তাদের খেলতে হবে নকআউট পর্ব। শেষ ষোলোতে ফ্রান্স খেলবে সি গ্রুপের রানার্সআপ এবং অস্ট্রেলিয়া খেলবে সি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দলের সঙ্গে।

সর্বশেষ খবর