সোমবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

দেশে করোনার নতুন উপধরন শনাক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে করোনার নতুন উপধরন শনাক্ত

চীন ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনার নতুন উপধরন ‘বিএফ-৭’ বাংলাদেশেও পাওয়া গেছে। গত সোমবার চীন থেকে আসা করোনায় আক্রান্ত দেশটির চার নাগরিকের মধ্যে একজনের শরীরে এ ধরন পেয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামা ওই চারজনের র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হলে করোনা পজিটিভ আসে। পরে তাদের রাজধানীর মহাখালী ডিএনসিসি কভিড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে জিনোম সিকোয়েন্স করলে তাদের একজনের মধ্যে আইইডিসিআর ওমিক্রনের উপধরন ‘বিএ-৫’-এর নতুন উপধরন ‘বিএফ-৭’ শনাক্ত করে। এর ফলে ইতোমধ্যেই চীনে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়া করোনার এ নতুন উপধরন প্রথমবারের মতো বাংলাদেশেও পাওয়া গেল। এর আগে এই উপধরনটি চীন, ভারত, মঙ্গোলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানসহ আরও কয়েকটি দেশেও ছড়িয়েছে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, চীনে দেখা দেওয়া করোনার নতুন উপধরন বাংলাদেশে পাওয়া গেছে। দেশে আসা প্রথম যে চারজন চীনা নাগরিকের মধ্যে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে, তাদের সবার জিনোম সিকোয়েন্স করে একজনের মধ্যে এ উপধরন শনাক্ত হয়েছে। তিনিসহ ওই চারজন এখনো ডিএনসিসি কভিড হাসপাতালে আইসোলেশনে আছেন। দেশে  শনাক্ত করোনার নতুন উপধরনটি করোনার অন্যান্য ধরন ও উপধরনের মতো অতটা মারাত্মক না হলেও এটি দ্রুত ও বেশি ছড়ায় বলে সতর্ক করেছেন আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো শনাক্ত ‘বিএফ-৭’ ওমিক্রনের উপধরনের উপধরন। এটি ওমিক্রনের উপধরন ‘বিএ-৫’ এর উপধরন। এই উপধরনটি ওমিক্রনের অন্যান্য ধরন ও উপধরনের মতো এতটা মারাত্মক নয়। তবে এই উপধরনটি বেশি ছড়ায় বলে এটা এখনো টিকে আছে। যে ধরন বেশি সংক্রমণ করে, সেটাই টিকে থাকে। আগে টিকা নেওয়া থাকলে বা আগে সংক্রমিত থাকলেও এই উপধরন আবার সংক্রমিত করছে। কিন্তু এখন পযন্ত এ উপধরনের কারণে বেশি হাসপাতালে বা আইসিইউতে যাওয়া, কিংবা বেশি মৃত্যুর কোনো রেকর্ড নেই।’ গত রবিবার স্বাস্থ্য অধিদফতর বাংলাদেশে চীনের উপধরনটি ঠেকাতে ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে। সেদিন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, নতুন উপধরন ‘বিএফ-৭’ মূলত ‘বিএ-৫’-এর আরেকটি উপধরন। এটি একজন থেকে ১৮ জনকে সংক্রমিত করতে পারে। তার মানে অন্য ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে এটার সংক্রমণ ক্ষমতা চার গুণ বেশি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর