শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

শান্তশিষ্ট এসপারা

কেউ ফুরফুরে, কেউ সুঠাম। এদের মধ্যে রয়েছে হাজারো ধরন। বিচিত্র চরিত্র এদের। তবে, সবাই সহনশীল।

সাইফ ইমন

শান্তশিষ্ট এসপারা

শৌখিন এসপারা বেশ শান্তশিষ্ট। এদের মধ্যে রয়েছে নানা ধরন এবং নানা চরিত্র। সবগুলো কিন্তু এসপারা পরিবারের অন্তর্ভুক্তই। ইনডোর প্লান্ট হিসেবে এরা দারুণ মানানসই। এসপারা পরিবারে প্রতিটি প্লান্ট বেশ সহনশীল এবং এদের চাহিদাও কম।

 

এসপারা বেশ ঝিরঝিরে ফুরফুরে মেজাজের। গাছগুলো সুঠাম দেহের অধিকারী। যাকে ব্রডবিল্ট বলা যাবে অনায়াসেই। নানা নামে পরিচিত এই এসপারা পরিবার। আপনার ঘরের শোভাবর্ধনের জন্য আদর্শ। সুঠাম চেহারার বহু জায়গায় এদের দেখা যায়। চওড়া পাতা, গায়ে লম্বাটে ডোরা ডোরা ডিজাইনও দেখা যায় এসপারার অনেক প্রজাতিতে। কালচে সবুজ ও হলুদ রঙের কম্বিনেশনে এরা বেশ আকর্ষণীয়। গড়নের জন্য এদের স্নেক প্রন্টও বলা হয়ে থাকে। পাতার তীক্ষ্ন গড়নের জন্যও এরা আকর্ষণীয়। এদের প্রতিপালনে ঝামেলা নেই বললেই চলে।

 

এসপারা প্লান্ট বেশ শক্তপোক্ত। আহ্লাদে কেউই বেড়ে ওঠেনি তাই এরা সহনশীল। যাদের হাতে সময় কম, অথচ গাছপালার শখ,  তাদের জন্য এ গাছগুলো আদর্শ। তবে শক্তপোক্ত বলে এদের অবহেলা করা চলবে না। প্রয়োজনটুকু মেটাতেই হবে।

 

এসপারা গাছের রোদ এদের পছন্দ তবে অল্প আলোতেও নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে। উজ্জ্বল আলো এদের জন্য ভালো।  হাত-পা ছেড়ে তরতরিয়ে বেড়ে ওঠে। কম আলোয় এরা বাড়ে কম। খুব বেশি পানি এদের পছন্দ নয়। তাই পানি দিতে হবে বুঝে। মাটি শুকনো হলে তবেই পানি দিন। ভিজে মাটিতে পানি দিলে এসপারা গোষ্ঠীর শিকড় পচে যেতে পারে। এসপারার পাতার গায়ে কালো ছিটছিট দাগ হলে বুঝবেন যে এদের প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পানি দেওয়া হচ্ছে। যা এদের সহ্য নয়।

 

শীতকালে খুবই কম পানি লাগে এই গাছের। টব থেকে শিকড় বেরিয়ে এলে টব পাল্টানোর কথা চিন্তা করুন। গাছের গোড়ায় ছোট ছোট চাড়া বেরোলে আলাদা টবে লাগাতে পারেন। টবের গাছে মাঝে মাঝে সারও দিতে পারেন। তবে নতুন চাড়ার শিকড় বেরিয়ে একটু পোক্ত হলে তবেই এদের নতুন টবে জায়গা দিন। ধুলোবালিতে নোংরা হলে ভালো করে গোসল বা ভিজে কাপড় দিয়ে হালকা হাতে মুছে দিন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর