শুক্রবার, ৬ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা
শেষ প্রচ্ছদ

স্টাইলিশ ইয়াং

ফ্যাশন আর আরাম, দুটোই চায় আজকালের তরুণরা। কারণ, রোদ-ঝলমলে দিন। এমন দিনে কেমন হবে তারুণ্যের পোশাক, তা ঠিক করে নিতে হবে। তবে তা হতে হবে আরাম এবং ফ্যাশনের।

এ কে রাসেল

স্টাইলিশ ইয়াং

বাহারি জিন্সের সঙ্গে এক রঙা শার্ট ছেলেদের ফ্যাশনে নিয়ে আসতে পারে অন্যরকম আভিজাত্য। ♦ মডেল : আলিফ অনিক ♦ পোশাক : ইজি ♦ ছবি : অরণ্য জিয়া

তরুণদের পোশাক-আশাক নিয়ে কথা উঠলে মনে আসে শার্ট, টি-শার্ট বা পোলো শার্টের কথা। সঙ্গে  জিন্স প্যান্ট। কারণ, ক্লাস, আড্ডা এমনকি বিনোদনের সময় পাল্টে যায় তাদের পোশাক পরিচ্ছেদ। স্টাইলিশ  থাকার জন্য পাশাপাশি প্রয়োজন শু, বেল্ট এবং সময়োপযোগী রোদচশমা। আর নিয়মিত ত্বক ও চুলের সঠিক পরিচর্যা না করলে যে সব আয়োজন বৃথা। তাই সব কিছু মাথায় রেখে তরুণদের স্টাইলিশ হওয়ার পরামর্শ দেন ফ্যাশন পরামর্শকরা।

 

বিপণিবিতানের হ্যাঙ্গারে যেসব ঝুলছে, তা দেখে দিব্যি বলে দেওয়া যায় এখন সুতি পোশাকের সময়। তবে সুতির মধ্যেও আছে নানা রকম। কোনোটা পাতলা ফিনফিনে, কোনোটা আবার নরম। এর মধ্যে আছে অ্যান্ডি কটন, রিমি কটন, আদ্দি, পিকে বা ল্যাকোস্ট ফেব্রিকে তৈরি শার্ট, টি-শার্ট ইত্যাদি। বসন্তের শেষ দিক। আসছে গরমের মৌসুম। এমন সময় সুতি পোশাক তো বটেই, তবে পাতলা হওয়াটা জরুরি। এখন দিনের বেলা একরঙা সাদা, লেমন, হালকা নীল, সামুদ্রিক নীল, গ্রিন, হালকা মেরুন, অফ হোয়াইট শার্ট পরলে ভালো দেখাবে।

 

ফুল হাতা ও হাফ হাতা দুই ধরনের শার্টই পরা যাবে এখন। তবে ফুলহাতা শার্ট পরলে হাতা গুটিয়ে রাখলে ভালো দেখাবে। আর হাফ হাতার শার্ট পরার এখনই সবচেয়ে ভালো সময়। মাঝ বয়সীদের এই সময়ে হাফ হাতার হাওয়াই শার্ট মিলবে। প্রিন্ট করা শার্ট এখন ফ্যাশনে ঢুকে গেছে দারুণভাবে। তবে দিনের চেয়ে রাতের বেলা বেশি ভালো দেখাবে প্রিন্টের শার্ট।

 

দেখতে রুচিশীল এবং পরিপাটি আর অল্প ঝামেলার আরেক নাম জিন্স। কম সময়ে খুব সহজেই এই ড্রেস পরে যাওয়া যায় সবখানে। বর্তমান সময়ে লুজ প্যান্টের চাহিদা একদম নেই বললেই চলে, যার জায়গাটা এখন বেশ সংকীর্ণ। পুরোটাই নিয়ে নিয়েছে জিন্স প্যান্ট। নিজের বডির সঙ্গে মিল রেখে জিন্স আর শার্ট ম্যাচ করে পরলে ভালো লাগার সবটুকুই প্রকাশ পায় পোশাকে। শুধু তরুণরাই নয়, মধ্য বয়স্করাও কম যান না এই ড্রেসের সঙ্গে। তবে বিভিন্ন দশকে জিন্সের ফিটিং এবং কাটিংয়ে এসেছে পরিবর্তন।

 

স্টাইলিস তারুণ্য বরাবর ফ্যাশন সচেতন। তবে সেক্ষেত্রে যে নতুন কাপড় লাগবে সেটাও মুখ্য বিষয় নয়। আলমারিতে তুলে রাখা পোশাকগুলো পরিষ্কার কিনা সেদিকটায় খেয়াল রাখতে হবে। একই পোশাক বারবার পরবেন, সমস্যা নেই। তা শুধু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলেই চলবে। তবে এক দিনের পোশাক অন্যদিন না পরাই ভালো। পোশাকগুলো পরিষ্কারের পর শুকিয়ে ইস্তিরি করে রাখলে পোশাক ভালো থাকবে। পাশাপাশি পোশাকের সামঞ্জস্যতা বজায় রাখার দিকে জোর দিচ্ছে অনেক ফ্যাশন পরামর্শক।

 

অর্থাৎ শার্টের সঙ্গে প্যান্ট বা জুতাটা কেমন পরছেন, তা মাথায় রাখতে হবে। সঙ্গে রোদচশমা, ঘড়ি, বেল্ট কোথায়, কীভাবে ব্যবহার করছেন, তার ওপর ফ্যাশনের অনেকটা নির্ভর করছে।

 

অনেকেই প্রথম দেখায় পায়ের দিকে নজর দেন। আসলে জুতা শুধু পরিধেয় অনুষঙ্গ নয়, এর মাধ্যমে প্রকাশ পায় সবার ব্যক্তিত্ব। তাই তারুণ্যের চেহারা সুন্দর রাখার পাশাপাশি জুতাও চকচকে রাখা প্রয়োজন। সম্ভব হলে ভালো মানের জুতা সংগ্রহে রাখার চেষ্টা করুন।

 

পাশাপাশি বদলে নিন আন্ডারওয়্যার। কারণ, একটা ভালো মানের আন্ডারওয়্যার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে। সারা দিন ফুরফুরে থাকতে আন্ডারওয়্যার টনিকের মতো কাজ করবে। ছয় মাস ব্যবহৃত হলে আন্ডারওয়্যার ব্যবহার না করে নতুন কেনা উচিত।

 

ছেলেদের হেয়ার স্টাইল স্মার্ট লুকের একটি বিশেষ দিক। কেননা, হেয়ার স্টাইল সহজেই বদলে দিতে পারে ছেলেদের লুক। তার মানে এই নয় যে, ঘন ঘন চুল ছাঁটতে হবে। আপনার চুল বেশি বাড়তে থাকলে ছয় সপ্তাহে একবার করে ছেঁটে নেওয়া ভালো। চাহিদামতো ট্রিম করালেও ভালো দেখাবে। তবে মুখের গড়ন বুঝে চুলের ছাঁট দিন, স্টাইলিশ দেখাবে। এই বয়সে যারা শেভ করেন, তাদের ভালো মানের রেজর, ফোম বা জেল, আফটার শেভিং লোশন ব্যবহার করতে হবে। আর হ্যাঁ, নিয়মিত ফেশিয়াল ও শ্যাম্পু ব্যবহার করলে অবশ্যই আপনার মুখ এবং চুল থাকবে সতেজ।

 

স্টাইলিশ তারুণ্য বরাবর স্বাস্থ্য সচেতন। শরীরের বাড়তি ওজন এই বয়সের ছেলেদের স্টাইল ও জীবনযাপনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই স্টাইল  স্টেটমেন্ট ঠিক রাখতে নিয়ম মেনে ওয়ার্কআউটের মাধ্যমে করতে হবে বডি বিল্ডিং। সুঠাম দেহ শুধু আকর্ষণীয়তার জন্য নয়, আত্মবিশ্বাস সঞ্চারেও সক্ষম। তাই দেখেশুনে খানিকটা সময় বের করে ভর্তি হতে পারেন কাছের কোনো জিমে। আপনি অতিরিক্ত মোটা হলে যতই ভালো কাপড় পরুন না কেন, আকর্ষণীয় দেখাবে না। তাই ফিট থাকতে প্রতিদিন ব্যায়াম করুন এবং নিয়ম মেনে খাবার খান।

 

যেহেতু আসছে গরমকাল। তাই আবহাওয়া উত্তপ্ত থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। বাইরে যাওয়ার আগে নিজের প্রস্তুতি নিজেকেই নিতে হবে। শার্ট হোক বা টি-শার্ট, স্বস্তি মেলে এমন পোশাক বেছে নেওয়াই নিরাপদ। এতে ফ্যাশন আর আরাম দুটোই পাওয়া যাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর