সীমান্তবর্তী স্থান সিকিমের বিতর্কিত ডোকালাম এলাকা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে ভারত-চীন। যুদ্ধের হুমকি দিয়ে চীন ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে- ফের যুদ্ধ হলে ফল ১৯৬২ থেকেও ভয়াবহ হবে। দুই দেশের এই সমস্যার মধ্যে চীনা বিশেষজ্ঞরা দাবি ভারত বেশ কিছু ক্ষেত্রে দুর্বল। কলকাতা টুয়েন্টিফোর'র খবরে বলা হয়েছে, সাংহাই অ্যাকাডেমি অব সোশ্যাল সায়েন্সের রিসার্চ ফেলো সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ১৯৬২ সালে লজিস্টিক্স ভালো না হওয়া সত্ত্বেও চীন জয় লাভ করেছিল। বর্তমান পরিস্থিতি একেবারে অন্যরকম। তাই ভারত যেন কোন পদক্ষেপ না নেয়, এমনই হুঁশিয়ারি দিল চীন।
চীনের সামরিক বিশেষজ্ঞ সোং ঝোংপিং ভারতের সামরিক ক্ষেত্র নিয়ে তার মতামত একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়ে বলেন-
১) ভারতের বেশিরভাগ অস্ত্র বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। সেক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে যুদ্ধ হলে ভারতে কিভাবে তার মোকাবিলা করবে সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছে চীন।
২) ভারতের লজিস্টিক্স নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে চীন। মিলিটারি লজিস্টিক্সের উন্নয়নের জন্য ২০২০সাল পর্যন্ত ৭৩টি বাইওয়ে তৈরির পরিকল্পনা থাকলেও এখনও পর্যন্ত তার এক তৃতীয়াংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে চীনের দাবি।
৩) অন্যদেশ থেকে আমদানি করা ভারতের হাতিয়ার নিয়েও বিশেষ চিন্তার কারণ নেই বলেই মত চীনের।
চীনের পক্ষ থেকে সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হয়, চীনের কাছাকাছি সীমান্তে ভারত প্রায় ২ লাখেরও বেশি সেনা মোতায়েন করেছে। পাহাড়ে নিজের শক্তি ধরে রাখতে ভারত অ্যাটেক হেলিকপ্টার থেকে বেশ কিছু উন্নত ধরনের অস্ত্রও মজুত করে রেখেছে বলে চীনের দাবি। তবে বেশ কিছুদিন আগেই ভারতের অর্থ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, এই ভারত ৬২-এর ভারত নয়, ২০১৭ সালের ভারত।
এদিকে সাংহাই অ্যাকাডেমি অফ সোশ্যাল সায়েন্সের এক গবেষক হু ঝিইয়ং এই বিষয়টি নিয়ে আলোকপাত করেন। তিনি জানিয়েছেন, এটি ১৯৬২-র চীন নয়। আজকের চীনের সঙ্গে ১৯৬২-র চীনের বিস্তর তফাৎ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এমনকি তিনি আরো বলেন, চীন যথাসাধ্য চেষ্টা করছে শান্তিপূর্ণভাবে এই বিষয়টির মোকাবিলা করার। কিন্তু ভারত যদি চীনের চুক্তি না মেনে নেয় তবে, যেকোন মুহূর্তে যুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার