এক দেশের শক্তি প্রদর্শন বিভাজন তৈরি করে দিয়েছে অন্য বড় দুই শক্তির মধ্যে। মঙ্গলবার দূর পাল্লার আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ছু়ড়ে গোটা বিশ্বেই চিন্তা বাড়িয়েছে উত্তর কোরিয়া। আর তাদের এই পরীক্ষা নিয়ে অবস্থান বদলে গিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের।
বেইজিংয়ের সঙ্গে সুর মিলিয়েছে মস্কোও। তাদের মতে, আপাতত বিষয়টি আপসের পথে যাওয়াই শ্রেয়। যুক্তরাষ্ট্র এ নিয়ে কোনও রকম আলোচনার প্রসঙ্গে ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। বরং পাল্টা শক্তি জাহির করে মিত্র দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মিলে বুধবার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে মহড়া শুরু করেছে মার্কিন প্রশাসন।
রাশিয়া এবং চীন যৌথ সাংবাদিক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র এবং পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ করুক। আর আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়া তাদের ভবিষ্যতের সব যৌথ সেনা মহড়া বন্ধ করুক।’
কিন্তু ওই বিবৃতি জারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়া ঘোষণা করে, উত্তর কোরিয়াকে বার্তা দিতে এবং তাদের অনৈতিক কাজ বন্ধ করতে তারা যৌথ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া চালিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রালয়ের দাবি, ‘জরুরি অবস্থায় যাতে প্রস্তুত থাকা যায়, তার জন্যই এই মহড়া।’
মঙ্গলবার চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দেখা হয় মস্কোয়। পুতিন বলেন, কোরীয় দ্বীপপুঞ্জে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা রাখা দরকার। তার কথায়, ‘‘কোরীয় সমস্যা দূর করতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া বন্ধ করা দরকার। দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন অস্ত্র মোতায়েনের নিয়েও ভাবা দরকার।’’
১৯৫০ সালের কোরীয় যুদ্ধে লড়ার সময় থেকে আমেরিকার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার মৈত্রীর শুরু। এদিকে রাশিয়া ও চীনের মতো দেশ উত্তর কোরিয়ার পাশে রয়েছে। গত মে মাস থেকেই মার্কিন চোখরাঙানি বন্ধে সরব রয়েছে তারা।
বিডি-প্রতিদিন/ ৬ জুলাই, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-৩