সীমান্তে এক বাংলাদেশি যুবককে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অনুভব আত্রে'র কোর্ট মার্শাল শুরু হয়েছে। অনুভব আত্রে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর ১১৩ নম্বর ব্যাটালিয়ানের অ্যাসিসটেন্ট কমাডেন্ট।
গত বছরের ১৪ মে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামের বাণপুর সীমান্তে কর্মরত ছিলেন অনুভব আত্রে। সে সময় সীমান্তে গুলি চালিয়ে এক বাংলাদেশি যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে।
ওই ঘটনায় দেশজুড়ে শুরু হয় তোলপাড়। এরপর ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ'র বৈঠকে বিএসএফ ডিজি কে কে. শর্মার কাছেও অভিযুক্ত ওই বিএসএফ সদস্যের শাস্তির দাবি তোলা হয়। সে সময় ভারত সরকারের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি (কোর্ট অব এনকোয়ারি) গঠন করা হয়। সেখানেই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয় অনুভব আত্রের।
ওই ঘটনার পরপরই বাণপুর সীমান্ত থেকে সরিয়ে তাকে তার ব্যাটালিয়নের সঙ্গে সামবা এলাকায় স্থনান্তরিত করা হয়। সেখানেই কোট মার্শালের তদন্তের মুখোমুখি হতে হবে বলে অনুভব আত্রের কাছে চিঠি পাঠানো।
এই ঘটনায় বিএসএফ বাহিনীর ভুল পরিকল্পনাকেই দায়ী করে 'কোর্ট অব এনকোয়ারি'। যদিও সে সময় বাহিনীর বিরুদ্ধে কোন কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করা হয়নি। কিন্তু ওই ঘটনায় অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অনুভবকে অভিযোগ থেকে রেহাইও দেওয়া হয়নি। তার বয়ান নথিভুক্ত করার জন্য ফের তাকে ডেকে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে বিএসএফের এক কর্মকর্তা জানান, তদন্তের স্বার্থেই 'কোর্ট অব এনকোয়ারি' হলো একটা স্বচ্ছ প্রক্রিয়া। ওই ঘটনার পরই অনুভব আত্রের দাবির সত্যতা খতিয়ে দেখতে সীমান্ত পর্যবেক্ষণে যায় বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। কিন্তু অনুভবের তরফে ওই বাংলাদেশি নাগরিকের কোমরের নিচে গুলি চালানো হয়েছিল বলে-যে দাবি করা হয়েছিল তা সঠিক ছিল না।
এর আগে ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার সীমান্তে ফেলানিকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত বিএসএফের সদস্য অমিয় ঘোষকে কোর্ট মার্শালের মুখোমুখি করা হয়েছিল।
বিডি প্রতিদিন/০৬ জুলাই ২০১৭/আরাফাত